General Election 2019: রাজ্যের ‘কালো তালিকাভুক্ত’ পুলিশ আধিকারিকদের দিয়ে লোকসভা নির্বাচন নয়, এ দাবি তুলেই এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। সোমবার এ দাবি নিয়ে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে মুকুল রায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। উল্লেখ্য, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স(এসটিএফ)-এর অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার পরই এ নিয়ে সরব হয়েছে পদ্মবাহিনী।
এ প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, ‘‘কয়েকজন পুলিশ সুপারকে সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু বদলির পরও তাঁরা সেইসব জেলায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককে তাঁদের পদ থেকে সরানো হয়েছে। কিন্তু একই জেলায় রয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে এসটিএফে বদলি করা হয়েছে। যেটা কলকাতা পুলিশেরই অন্তর্গত। কালো তালিকাভুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের দিয়ে ভোট করাতে চায় রাজ্য সরকার। আমরা কমিশনকে জানিয়েছি, ওই পুলিশ আধিকারিকদের দিয়ে যেন ভোট না করানো হয়। সেরকম হলে রাজ্যে নির্বাচন স্থগিত করা হোক।’’
আরও পড়ুন, Lok Sabha Election 2019: উনিশের নির্বাচনে ‘কিং মেকার’ কে? ২৮২টি আসনে দাপট প্রথম ভোটারদের
এ প্রসঙ্গে মুকুল আরও বলেন, কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক তো রাজ্য সরকারের ‘প্রিয়পাত্র’ হয়ে উঠেছেন। বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নায় বসেন এক ব্যক্তি। তাঁকে ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’
অন্যদিকে, রবিবার বিজেপির ‘বিজয় সংকল্প’ যাত্রা কর্মসূচিতে প্রশাসনের অনুমতি না মেলা প্রসঙ্গে মুকুল বলেন, ‘‘বাংলায় কোনও গণতন্ত্র নেই। রাজ্যে আমাদের বিজয় সংকল্প যাত্রা আটকেছে পুলিশ। আমাদের কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন এই পুলিশকর্মীরা। ভোটের কাজে এই পুলিশকর্মীদের নিয়োগ করলে, নিরপেক্ষভাবে ভোট হবে না। নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচনের জন্য কমিশনের কাছে আর্জি রেখেছি আমরা।’’
যদিও এ ব্যাপারে এখনও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Read the full story in English