General Election 2019: 'চোর', 'তৃণমূলের উচ্ছিষ্ট’। একদা তৃণমূলের 'দু'নম্বর' থেকে অধুনা 'গদ্দর' মুকুলকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার জলপাইগুড়ির নির্বাচনী সভায় মুকুলের নাম না করে অভিষেক বলেন, ‘‘কয়েকটা উচ্ছিষ্টকে আমরা ভ্যাটের বাক্সে, ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছি। তাঁদের নিয়ে মাতামাতি করছে বিজেপি। কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী একজন স্মাগলারের হাত ধরে বলছে, ভোট দিন। স্মাগলারও চৌকিদার, দু’নম্বরিও চৌকিদার, ভাঁওতাবাজও চৌকিদার, ডাকাতও চৌকিদার। চোরেদের একটাই ঠিকানা, বিজেপি। পচা পদ্মের এমন জাদু, যোগ দিলেই চোর সাধু।’’
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
প্রসঙ্গত, সারদাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল তৃণমূলের একসময়ের শীর্ষ নেতা মুকুল রায়ের। এরপরই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় মুকুলের। পরে মমতার দীর্ঘদিনের সঙ্গী মুকুল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। রাজনীতির কারবারিদের মতে, সারদাকাণ্ডের তদন্তে নিজেকে আড়াল করতেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মুকুল। সারদাকাণ্ডের তদন্তে মোদী-শাহদের নির্দেশ মাফিকই সিবিআই কাজ করছে বলে বারবার সরব করে আসছে মমতার দল।
আরও পড়ুন: মমতা কি বিজেপির হাত ধরবে? মুকুলের মন্তব্যে জল্পনা
অন্যদিকে, বিজেপিকে আক্রমণ করে নরম হিন্দুত্বের লাইন নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি এদিন এদিন বলেন, ‘‘ আমি স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বে বিশ্বাস করি। নরেন্দ্র মোদী , অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথের ভাঁওতা হিন্দুত্বে বিশ্বাস করিনা...আমি ব্রাহ্মণের ছেলে, গায়ত্রী মন্ত্র জপ করি, দুর্গাপুজোয় দুর্গাস্তব করি, আবার ঈদে আল্লার কাছে দুয়া করি।’’ এরপরই বাংলার পূর্বতন বাম সরকার ও মোদী সরকারকে একযোগে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘‘যারা ৩৪ বছর মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি, ৫ বছর অচ্ছে দিনের নামে সরকার চালিয়েছে, মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি...পাড়ার চায়ের দোকানে একটা কুকুরকে বিস্কুটও খাওয়ায়নি, তাদের কাছে তৃণমূলকে সংহতি, ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবসেবা শিখতে হবে না।’’
আরও পড়ুন: ডেলোয় গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গেও বৈঠকে বসেছিলেন মমতা, চাঞ্চল্যকর দাবি মুকুলের
মোদীকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘‘মোদী বলেছিল বাংলায় কোটি কোটি টাকা দেব, তারপর বুড়ো আঙুল, কাঁচকলা দেখিয়েছে। মমতা ছিলেন বলে বাংলার মানুষকে পেটে মারতে পারেনি। ক্ষমতা থাকলে মমতার কেশাগ্র স্পর্শ করে দেখাও।’’
এদিনের ভাষণে মমতার ভ্রাতুষ্পুত্র বলেন, "যারা রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করতে পারে না, তারা ধর্মের ভরসায় লড়াই করে। আমার ধর্ম বিভাজনের রাজনীতি শেখায়নি।"