West Bengal Lok Sabha Election Result: লোকসভা নির্বাচন শেষে দিল্লির মসনদে আবার নরেন্দ্র মোদী। বাংলায় অবশ্য সমানে সমানে লড়াই বহাল রইল। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে ২২টি আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল এবং সব হিসেবনিকেশ উলটে দিয়ে গেরুয়া শিবির এগিয়েছে ১৮টি ভোটে। এদিন প্রথমে পোস্টাল ব্যালটে এবং পরে ইভিএমে শুরু হয় গণনা। বাংলায় শেষ মুহুর্ত অবধি লড়াই জারি তৃণমূল, বিজেপির। গত বছরের তুলনায় বিজেপির এই ফলাফলে কিছুটা হতাশ হরিশ মুখার্জি স্ট্রিট চত্বর। তবে জয়ীদের অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে রাজ্যে বিজেপির এই উত্থানে গেরুয়া আবির মাখল শহর, চলল মিষ্টিমুখ।
রাজ্যে সমানে সমানে লড়াই তৃণমূল বিজেপির। আসানসোলে বিশাল ব্যবধানে মুনমুন সেনকে পিছনে ফেলে এগোলেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। রেকর্ড ভোটে কলকাতা দক্ষিণে এগিয়ে মালা রায়। যাদবপুরে এগোলেন মিমি চক্রবর্তী। বাঁকুড়ায় পিছিয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অপরদিকে ডায়মন্ড হারবারে বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় সমানে সমানে লড়াই তৃণমূল-বিজেপির। ব্যারাকপুরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বিজেপির অর্জুন সিং এবং তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদীর। এমনকি কলকাতাতেও বজায় রইল পদ্ম শিবিরের লড়াই।
পশ্চিমবঙ্গে ৭ দফায় মোট ৪২টি আসনে ভোটপর্ব সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রথম দফা থেকে ভোটপর্বের শেষ অবধি বাংলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর শিরোনামে উঠে আসলেও, রাজনৈতিক দ্বৈরথের টানটান চিত্রনাট্য দেখেছে বঙ্গভূমির। বাংলার মাটিতে একটানা বাগযুদ্ধে জড়িয়েছেন মোদী-মমতা-অমিত শাহ- রাহুল গান্ধীরা। '৪২ এ ৪২'স্লোগান তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল কি জয় করতে পারবে বাংলা? নাকি মোদী ম্যাজিকেই মাত হবে বাংলা? প্রশ্ন ছিল অনেক, তবে উত্তর দিল জনতা। জনতার রায়েই দিল্লির কুর্সিতে আবার এলেন মোদী। শেষবেলায় ভোটগণনা ঘিরে আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল নিরাপত্তা। ১৯ মে শেষ দফার ভোট শেষ হতেই শুরু হয়ে গিয়েছিল হিসেব-নিকেশ। কে জিতবে? আর কে হারবে? সব বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফলে মুখের হাসি চওড়া হয়েছে মোদী-শাহদের। এদিকে, এক্সিট পোলে শুধু নয় জনতার রায়কেও যেন কিছুতেই মেলাতে পারছে না বিরোধীরা।
২০১৪-র ভোটে ৩৪টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। এ অবস্থায় দাঁড়িয়ে মমতার বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ এনেকটা কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পের প্রতিশ্রুতির মতই শোনাচ্ছে। এবারের ভোটে বিজেপির তৈরি করা প্রশ্নমালার উত্তর মমতা ব্যানার্জির কাছে ছিল না। রাজ্যে সে অর্থে ভূমিহীন বিজেপির ইস্যু ছিল- তৃণমূল এবং মমতা তোষণের রাজনীতি করছেন। এ ছাড়া প্রার্থী বাছাইয়ের সময়েও বেশ চমকপ্রদ কিছু পদক্ষেপ করেছিল বিজেপি। এ ব্যাপারে শুধু অমিত শাহ-কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপরেই ভরসা করেনি তারা, কাজে লাগিয়েছিল মমতার একদা দক্ষিণ হস্ত মুকুল রায়কেও। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, যিনি দল ছাড়ার সময় থেকে নিজেকে বেশি সামনে আনতে দেননি, তিনিই এবারের পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় জয়টা অর্জন করেছেন। ভোটে না লড়েই। বিস্তারিত পড়ুন, ‘গদ্দার’ চাণক্যই বিজেপির বাংলা জয়ের কারিগর