General Election 2019: ভোট পরবর্তী হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। লোকসভা নির্বাচনের পরের দিন সকালে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে আবারও রণক্ষেত্রের চেহারা নিল চোপড়া। শুক্রবার সকালে মকডুমি গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে চলল গুলি। এ ঘটনায় গুলির ঘায়ে জখম হল এক সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। ওই পড়ুয়ার পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। গুলিবিদ্ধ ছাত্রকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকালে চোপড়ায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে গুলি চলে বলেও খবর। পরষ্পরের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল ও বিজেপি। দু’পক্ষের তরফেই চোপড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোট ঘিরে রণক্ষেত্র চোপড়া
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনের দিনও তুমুল গন্ডগোল বাঁধে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের এই এলাকায়। ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে চোপড়া। প্রথমে ৩১নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়দের একাংশ। পরে অবরোধ তোলেন স্থানীয়রা। ভোট দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের নিয়ে বুথের দিকে রওনা দেয় পুলিশ। ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট দেব না’’, কার্যত এমন দাবিই তোলেন স্থানীয়দের একাংশ। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ভোট দিতে যেতে চান না গ্রামবাসীদের একাংশ। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতিও বাধে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়দের একাংশ। স্থানীদের তৎপরতায় এক তৃণমূল কর্মীকে পাকড়াও করে পুলিশ। ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধেই ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এদিকে, এ ঘটনার পর আচমকাই পুলিশের উপর হামলা চালাতে শুরু করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে তাঁদের উপর লাঠিচার্জ চালায় পুলিশ, কাঁদানে গ্যাসও ছোড়া হয়।