Advertisment

লোকসভা ভোটে বাংলার বাইরের পুলিশ পর্যবেক্ষক, রাজ্য দেরি করলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে কমিশনই

"...নির্বাচনী হিংসা নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাত্মক (অল আউট) ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী কেউ অভিযুক্ত হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে আমরা দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করব"।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CRPF in West Bengal

পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত নিজেকেও গুলি করেছে।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এই বাহিনীর দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষকরা। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে আসবেন এইসব পর্যবেক্ষকরা। যদি এ সময় ঘটা হিংসার ঘটনায় পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার দেরি করে, তাহলে নির্বাচন কমিশনই সরাসরি দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। 'ফুল বেঞ্চ' নিয়ে দু'দিন রাজ্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করার পর এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।

Advertisment

নির্বাচনী হিংসায় রাশ টানার ক্ষেত্রে এদিন উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, "আমরা স্পষ্টভাবে ওদের (পশ্চিমবঙ্গ সরকার) জানিয়ে দিয়েছি যে নির্বাচনী হিংসা নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাত্মক (অল আউট) ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী কেউ অভিযুক্ত হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে আমরা দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করব।"

রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিশেষত গতবারের জমে থাকা নির্বাচনী অপরাধ এবং জামিন অযোগ্য অভিযোগের ক্ষেত্রে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির নির্বাচন সদনের কর্তারা।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের কাছে ক্ষমা চাইলেন মমতা

সোশাল মিডিয়ায় 'হেট স্পিচ'-এর বাড়বাড়ন্ত রুখতেও এবার বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কমিশন। অরোরা বলেন, "ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার উমেশ সিনহার নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন এবং এ বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করেছেন। কমিশন সেই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ (জন প্রতিনিধিত্ব আইন) সংশোধনের জন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রকে সংশোধনী পরামর্শ পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে শীঘ্রই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।"

আরও পড়ুন: ইভিএম কারচুপি শুধু কঠিনই নয়, বৈজ্ঞানিকভাবে অসম্ভবও

ইভিএম-এর পরিবর্তে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনার জন্য কমিশনের কাছে বারবার দরবার করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। কিন্তু মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার ইভিএম-এর পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, "আমরা ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়ে যাওয়ার সেই দিনগুলিতে আর ফিরে যেতে চাই না।" এছাড়া, ইভিএম-এ কারচুপি এবং ইভিএম বিকল হওয়া যে এক বিষয় নয়, সে কথাও বারবার জোরের সঙ্গে বলেছেন অরোরা। ইভিএম-কে ত্রুটিমুক্ত করে আরও উন্নত করে তোলার কাজে কমিশন সদা সচেষ্ট বলেও জানিয়েছেন দেশের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার।

Read the full story in English

election commission General Election 2019 West Bengal
Advertisment