General Election 2019: ভোটের সকালেই হেনস্থার শিকার হলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। এদিন প্রাক্তন দুঁদে আইপিএসকে মাটিতে পড়ে গিয়ে কাঁদতে দেখল সাধারণ মানুষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের বুথের বাইরে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কেশপুরের চাঁদখালি এলাকায় ভারতী ও তাঁর এজেন্টকে বুথের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আধা সেনার সামনেই তৃণমূল-বিজেপি হাতাহাতি বেঁধে যায়। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। মাটিতে পড়ে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ভারতী ঘোষ। ভারতীর পায়ে চোট লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, বিজেপি এজেন্টদের অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভারতী। এদিকে, এ ঘটনার পর কেশপুরের দোগাছিয়ায় ভারতী ঘোষের গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে ভারতীর নিরাপত্তারক্ষীর। ভারতীকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
এ ঘটনা প্রসঙ্গে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘‘আমায় মেরেছে, আমার এজেন্টকেও মেরেছে। নির্বাচন কমিশন কিছু করেনি। চুপচাপ বসে বসে দেখেছে। তৃণমূলের মহিলা সমর্থকরা আমায় ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। আমার পায়ে আঘাত লেগেছে। পায়ের নখে রক্ত বেরিয়েছে। কোনও মহিলা পুলিশ ছিল না’’। ভারতী আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলের মহিলা সমর্থকরা টাকা নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করেছে। আমার পোলিং এজন্টকে ঢুকতে দেয়নি। সব অভিযোগ জানাব। রাজ্য পুলিশ কিছু করেনি, দাঁড়িয়ে থেকে শুধু দেখেছে’’। অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, ভারতী ঘোষই বুথে এসে অশান্তি তৈরি করেছেন। ভারতীকে ঘিরে এদিন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের মহিলা সমর্থকরা। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ কেশপুরের চাঁদখালির বুথে উত্তেজনা ছড়ায়।
আরও পড়ুন: ভারতী ঘোষের নামে এফআইআর পুলিশের
এদিকে, কেশপুর এলাকায় বিজেপির একাধিক এজেন্টকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। ভারতী বলেন, ‘‘কেশপুরের ২০২ নং বুথে শিশির মাইতি, রমেশ মাইতিকে তৃণমূলের আমজাদ আলি অপহরণ করেছেন। ২৬৬, ২৬৭নং বুথে তপন বেরা, অসিত বেরাকে অপহরণ করা হয়েছে। ১২৬ নং বুথে বিনয় সিংকেও অপহরণ করে রাখা হয়েছে’’।