General Election 2019: ভোটপ্রচারে এসে ভাইপোর প্রেমকাহিনী ফাঁস করলেন ‘পিসি’। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লাভস্টোরি’ প্রকাশ্যে এনে কলকাতা বিমানবন্দরে অভিষেকের স্ত্রীর ব্যাগ তল্লাশির ঘটনায় মোদীকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারের সভায় মমতা বলেন, ‘‘অভিষেক যাকে বিয়ে করেছে, ও বাচ্চা মেয়ে। দিল্লিতে প্রেম করত। ও পাঞ্জাবি মেয়ে। প্রেম করেছে, আমরা বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। ওই মেয়েটার পিছনেও পড়েছে’’। এমনকি, অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারুলার ব্যাগে তল্লাশির প্রসঙ্গ টানতে গিয়ে অভিষেকের সন্তানের কথাও তুলেছেন মমতা।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
ঠিক কী বলেছেন ?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিষেক যাকে বিয়ে করেছে, ও বাচ্চা মেয়ে। দিল্লিতে প্রেম করত ওরা। ও পাঞ্জাবি মেয়ে। ও (অভিষেক) তো আপনাদের এসব বলবে না। প্রেম করেছে, বিয়ে দিয়েছি আমরা। ওই মেয়েটার পিছনেও পড়েছে। প্রেম করতে গিয়ে কেউ জিজ্ঞেস করবে, তোমার বাবার নাম কী? তুমি কবে জন্মেছো? কোথায় থাকো? প্রেম করেছে, বিয়ে করেছে, আমরা নেমন্তন্ন খেয়েছি। ওর বউ বাংলা জানে না’’। এরপরই অভিষেকের সন্তানের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘‘কল্পনা করতে পারবেন না, ওর ৫ বছরের বাচ্চাটা পর্যন্ত আমায় বলছে, দিদি ডু ইউ নো নরেন্দ্র মোদী ইজ অ্যা ব্যাড মেন (জানো, নরেন্দ্র মোদী একজন খারাপ লোক)। আমি বললাম, কেন বাবু কী হয়েছে? বলল, হি ওয়ান্টস টু সেন্ড মাই মাদার ইন জেল (ও আমার মাকে জেলে পাঠাতে চায়)। আমি শুনে বললাম, এটা বড়দের কথা। কান দিও না। তখন বলছে, না দিদি, আমি সব জানি, আমি জয় তৃণমূল। ওইটুকু বাচ্চা, ওর মায়ের উপর অত্যাচার হয়েছে বলে ও এভাবে বলছে’’।
আরও পড়ুন: অভিষেক-পত্নী রুজিরাকে নোটিস কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
এ প্রসঙ্গে মমতা আরও বলেন, ‘‘আমি তো প্রথমে জানতাম না কী হয়েছে। পরে অভিষেকের মা বলল, ব্যাগে সোনার বালা ছিল শুধু। তাই নিয়ে ব্যাটা মোদীর কত জ্বালা। অভিষেককে টান, ওর বউকে টানছিস কেন? নোংরামির একটা সীমা থাকা দরকার’’। উল্লেখ্য, বিমানবন্দরে ব্যাগ তল্লাশির ঘটনায় আগেও সরব হন মমতা। সেসময় বলেছিলেন, এ ঘটনায় অভিষেকের স্ত্রী অবসাদে ভুগছে।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন আগে ব্যাঙ্কক থেকে ফেরার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে অভিষেকের স্ত্রীর ব্যাগে তল্লাশি চালানোর ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। ব্যাঙ্কক থেকে এ দেশে ফেরার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা-সহ ২ মহিলাকে আটক করেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। সুটকেসে করে অভিষেকের স্ত্রী সোনা ও টাকা নিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেসময়ই আচমকাই বিমানবন্দরে শুল্ক দফতরের আওতাধীন এলাকায় ঢুকে পড়ে স্থানীয় পুলিশ। এরপরই সাংসদের স্ত্রীর ব্যাগে তল্লাশি চালানো ঘিরে একপ্রস্ত বচসায় জড়ায় পুলিশ ও শুল্ক দফতর। যা ঘিরে তোলপাড় হয় বাংলার রাজনীতি। এ ঘটনায় পরে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে শো-কজ নোটিস পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ওসিআই ও প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যে তথ্য পেশ করেছেন রুজিরা, তাতে অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রুজিরাকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।