General Election 2019: শেষ দফার ভোটের আগে আবারও তৃণমূল-বিজেপি সংঘাতে উত্তেজনা ছড়াল খাস কলকাতায়। বৃহস্পতিবার রাতে দমদমের নাগেরবাজারে বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও দমদমের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও হামলার সময় গাড়িতে ছিলেন না মুকুল ও শমীক। সিপিএম নেতা পল্টু দাশগুপ্তের সঙ্গে গোপন বৈঠকে বসেছিলেন মুকুল রায়রা। সেসময়ই কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। বাড়ির নীচে থাকা কয়েকটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। যদিও সিপিএম নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন মুকুল রায়। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, ভোট লুঠের ছক কষতেই সিপিএম নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মুকুল রায়রা। টাকার লেনদেন হচ্ছিল। বিজেপির লোকেরাই গাড়ি ভাঙচুর করে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, এ ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
West Bengal: Vehicles of BJP Lok Sabha candidate from Dum Dum, Samik Bhattacharya & party leader Mukul Roy were attacked by unidentified people in Nagerbazar area of the constituency earlier tonight. Bhattacharya & Roy were not present in the vehicles at the time of the incident. pic.twitter.com/v3DpZt9ls6
— ANI (@ANI) May 16, 2019
ঠিক কী ঘটেছে?
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে দমদমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার পর নাগেরবাজারে সিপিএম নেতা পল্টু দাশগুপ্তের সঙ্গে একটি বাড়িতে ‘গোপন বৈঠকে’ বসেন মুকুল রায় ও শমীক ভট্টাচার্য। সে সময়ই কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। বাড়ির নীচে থাকা কয়েকটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। সিপিএম-বিজেপি বৈঠকের অভিযোগ ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাবুল সুপ্রিয়ের কনভয়ে ‘হামলা’
তৃণমূলের কী অভিযোগ?
এ ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘পল্টু দাশগুপ্ত সিপিএমের নেতা ছিলেন, সিপিএম তাঁর হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। রাজনীতিতে ওঁকে এখন মৃতপ্রায় বলা চলে। তাঁকে নিয়ে মুকুল রায়, শমীক ভট্টাচার্য বৈঠক করেছিলেন। কী করে ভোট ম্যানেজ করা যায় এ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। টাকার লেনদেন হচ্ছিল। আমার কর্মীরা খবর দিয়েছিলেন। ওঁদের ওখান থেকে চলে আসতে বলি’’। গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘শমীক নিজের গাড়ি নিজেদের লোককে দিয়ে ভেঙেছে, তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। সহানুভূতি আদায়ের জন্য এসব করেছে’’।
বিজেপির কী অভিযোগ?
তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে মুকুল রায়ের সহযোগী রাজু সরকার বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ওঁরা এসেছিলেন। উপহার দিয়েছেন। পুলিশ আধিকারিকরা গিয়ে দেখে এসেছেন’’। বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে কোনও সিপিএম নেতার কথা হয়নি। অরাজকতা চলছে। টাকা-পয়সা থাকলে লেনদেন হল কোথায়?’’ দমদমের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তৃণমূল আতঙ্কিত, কারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করতে চলেছে। সামাজিক অনুষ্ঠানে আসা যাবে না?