General Election 2019: মমতা টার্গেট দিয়েছেন, ‘‘বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ।’’ অমিত শাহ বলেছেন, ‘‘বাংলায় ২৩ আসনে জিতবে বিজেপি।’’ কিন্তু লক্ষ্যপূরণ কি আদৌ হবে? চলতি বছরের ২৩ মের আগে এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে না। তবু মানুষের ভাবনা চিন্তা কোন খাতে বইছে, তা আঁচ করা যেতেই পারে। তাই লোকসভা ভোটের আগেই পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের ফলাফল কেমন হতে পারে, তার একটা আভাস ধরা পড়ল জনমত সমীক্ষায়। এবিপি আনন্দে সম্প্রচারিত দ্য নিয়েলসেন কোম্পানির জনমত সমীক্ষায় বাংলার ৪২টি আসন কার দখলে থাকছে, তার আন্দাজ পাওয়া গেল। তবে এ নেহাতই জনমত সমীক্ষা।
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার মমতার লক্ষ্যপূরণ না হলেও লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সবুজ ঝড়ই বইবে। মনে করা হচ্ছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসনের মধ্যে ৩১টি দখলে রাখবে জোড়াফুল শিবির। অন্যদিকে, গেরুয়া হাওয়ার দৌলতে বিজেপি জিততে পারে এ রাজ্যের ৮টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৩টি আসন। তবে সমীক্ষা অনুযায়ী উনিশের ভোটের ফলাফলে এ রাজ্যে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বামেরা। এবার বাংলায় একটি আসনও দখল করতে পারবে না বামেরা বলে জানাচ্ছে সমীক্ষার রিপোর্ট।
আরও পড়ুন, Lok Sabha Election 2019: মোদীর ছবি কেন? দুই মন্ত্রককে নোটিস কমিশনের
নিয়েলসেনের জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে তৃণমূলের জয়ের ধারা অব্যাহত থাকলেও গতবারের নিরিখে ২টি কমছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বাংলায় ৩৪টি আসনে জয়ী হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এবার তা কমে ৩১টি আসন হতে পারে। অন্যদিকে, গতবারের থেকে ৬টি আসন বেশি পেতে পারে পদ্মবাহিনী। গতবার নির্বাচনে ২টি আসন দখল করেছিল বিজেপি, এবার তা বেড়ে হতে পারে ৮টি। তৃণমূলের মতো আসন সংখ্যা কমতে পারে কংগ্রেসেরও। গতবার কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল ৪টি আসনে। এবার ১টি কমে গিয়ে মোট ৩টি আসন পেতে পারেন সোমেন মিত্ররা।
অন্যদিকে, নিয়েলসেনের সমীক্ষা অনুযায়ী, শতাংশের নিরিখে রাজ্যে তৃণমূল ৩৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে। গতবার মমতার দল পেয়েছিল ৩৯ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ ২ শতাংশ ভোট কমতে পারে তৃণমূলের। দিলীপ ঘোষরা এবার পেতে পারেন ২৬ শতাংশ ভোট, যা গতবারের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। সমীক্ষা বলছে, এই লোকসভায় বামেরা পেতে পারে ২৪ শতাংশ ভোট। গতবার তারা পেয়েছিল ৩০ শতাংশ ভোট। গতবারের তুলনায় এবার কংগ্রেসের ১ শতাংশ ভোট কমে হতে পারে ৯ শতাংশ।
তবে এটা নেহাতই জনমত সমীক্ষা। জনমত সমীক্ষার সঙ্গে ভোটের ফলের সরাসরি কোনও যোগ নেই। বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটারের মনোভাবের আঁচ পেতে চান জনমত সমীক্ষকরা। আর তাই প্রতিফলিত হয় সমীক্ষায়।