WB CM Mamata Banerjee Statements in Lok Sabha Election 2019: এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলা ঘুরে বেড়িয়েছেন। প্রচারযুদ্ধে পা রেখে টানা সভা করেছেন তিনি। কখনও মাইক হাতে অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ মোদী-শাহদের তুলোধনা করেছেন, কখনও আবার তাঁর সরকারের উন্নয়নের কাহিনী শুনিয়েছেন। ৪০ ডিগ্রির গরমও তাঁকে থামাতে পারেনি। কপ্টারে করে বাংলার এ প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে উড়ে বেড়িয়েছেন। কখনও আবার পায়ে হেঁটে প্রচার সেরেছেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে তাঁর ভাষণে সরগরম হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। ‘‘১৪২৬, বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ’’, কিংবা ‘‘দু’হাজার উনিশ, বিজেপি ফিনিশ’’, মমতার এহেন সংলাপে জবরদস্ত ছিল বাংলার ভোটপ্রচার পর্ব। পাশাপাশি মোদীকে কটাক্ষ করে মমতার গলায় শোনা গিয়েছে, ‘‘আগে ছিল চাওয়ালা, এখন হয়েছে চৌকিদার’’। এর পাশাপাশি মমতার ‘মাটির রসগোল্লা’ কিংবা ‘গণতন্ত্রের থাপ্পড়’ মন্তব্যও রাজনীতির আঙিনায় শোরগোল ফেলেছে।
Mamata Banerjee Top Quotes in Lok Sabha Election 2019: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মমতার বাণী:
একনজরে জেনে নিন, উনিশের নির্বাচনী প্রচারে মমতার গলা থেকে কী মন্তব্য ধেয়ে এসেছে...
* দু’হাজার উনিশ, বিজেপি ফিনিশ।
* ১৪২৬, মানুষ বলছে বাংলায় বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ
*যখন আমার নামে, আমার কাজের নামে কেউ কেউ মিথ্যা কথা বলে, ইচ্ছে করে ঠাটিয়ে গণতন্ত্রের থাপ্পড় দিই।
* মাটির রসগোল্লা দেব (মোদীকে)। তাতে কাঁকড় মিশিয়ে দেব। খাবে আর দাঁত ভাঙবে।
* আমি থাপ্পড় মারব বলিনি, মিষ্টি দেব বলেছি। আমি বলেছি ‘গণতন্ত্রের’ থাপ্পড় দেবো। আমি নয় ভোটের মাধ্যমে মানুষই ওঁকে এই গণতন্ত্রের থাপ্পড় দেবে। আর আমি স্টোনচিপের লাড্ডু খাওয়াব।
* তুমি পাঁচ বছরে কি করেছো মোদী বাবু? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়ে আঙুলের যোগ্য তুমি নও।
আরও পড়ুন- বাংলার নির্বাচনী প্রচারে অমিত-বাণী, পড়ুন এক ঝলকে
* নরেন্দ্র মোদীর মতো মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রী দেখিনি। শুধু সকলকে চমকাচ্ছেন। মোদীর কাউন্সিলর হওয়ার যোগ্যতা নেই
* আগে চাওয়ালা ছিলেন, এখন চৌকিদার। আর চৌকিদার ঝুটা হ্যায়, চোর ভি হ্যায়, লুটেরা ভি হ্যায়। আগের বার ভোট চাইতে এসে নাটক করে বলেছিল, আমি চা-ওয়ালা, চা এর ভাঁড় নিয়ে ঘুরলো, কেটলি নিয়ে ঘুরলো, এখন তো আর সঙ্গে কেটলি নেই, সঙ্গে আছে জেটলি। এখন আবার বলছে উনি চা-ওয়ালা নয়, উনি চৌকিদার।
* টাকার হাঙর যারা, তারা এখন হ্যাঙারে মিটিং করে। উনিশে মে হয়ে গেলে, এই হ্যাঙারের মধ্যেই ঢুকে পড়তে হবে (ব্রিগেডে মোদীর সভায় হ্যাঙার টাঙানো প্রসঙ্গে)
* বিজেপি ভয়ঙ্কর দুষ্টু পার্টি। বিজেপি ভয়ঙ্কর ফ্যাসিস্ট দল। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। ভোট এলেই রাম নাম করে। বিজেপি আগে খেতে পেত না, এখন টাকার বাক্স নিয়ে ঘোরে। শুধু গুন্ডাগিরি করে
* ১৯৪২ সালে একটা আন্দোলন হয়েছিল। ভারত ছাড়ো আন্দোলন। তখন গান্ধীজি আওয়াজ তুলেছিলেন, ইংরেজ তুমি ভারত ছাড়ো। এবার বাংলার মানুষ আওয়াজ তুলেছে, মোদী তুমি ভারত ছাড়ো, মোদী তুমি সন্ত্রাস ছাড়ো
* সারা বছর নাক ডেকে ঘুমোয় বিজেপি। শুধু ভোটের সময় ওদের দেখা মেলে। বাকি সময় দাঙ্গা লাগিয়ে বেড়ায়।
* প্রধানমন্ত্রী এখন এক্সপায়ারিবাবু। এখন আর প্রধানমন্ত্রী বলব না, এক্সপায়ারিবাবু বলব।
* নারদা-সারদা-বড়দা, এই ভাবেই আপনারা তৈরি করেন এদের। যে মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনি ভোট চাইবেন সেটা চিটফান্ডের মালিকের জমি, আপনার লজ্জা হওয়া উচিত নরেন্দ্র মোদী (মথুরাপুরে চিটফান্ড মালিকের জমিতে সভা করেছেন মোদী, এ অভিযোগ প্রসঙ্গে)।
* উত্তরপ্রদেশ থেকে বলছে, মূর্তি বানিয়ে দেবে। তোমারটা থোড়াই নেব আমরা। বাংলায় টাকা আছে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বানানোর জন্য। তোমার কাছে বাংলা ভিক্ষা চায় না। ২০০ বছরের ঐতিহ্য ভেঙেছেন। ফেরাতে পারবেন? কান ধরে ওঠবোস করা উচিত। একবার নয়, লক্ষবার করা উচিত। মিথ্যা কথা বলার জন্য। প্রমাণ করুণ, যে আমরা মূর্তি ভেঙেছি, তা না হলে জেলে টানব আপনাকে। আমরা ছেড়ে কথা বলব না।
* একটা কালো মূর্তি থাকবে তোমাদের জন্য। ওটা ফ্যাসিস্টের প্রতীক’’। রাম মন্দির ইস্যুর প্রসঙ্গ টেনে মমতার কটাক্ষ, ‘‘৫ বছরে রাম মন্দির বানাতে পারেনি, আবার বিদ্যাসাগরের মূর্তি বানাবে!
আরও পড়ুন- ‘অহংকারী’ মমতার রাজ্যে উনিশের ভোটে কী কী বললেন মোদী?
* কমিশন বিজেপির কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিজেপির আরেক ভাই। কয়েকটা দুষ্টু লোক সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এ যুগের শয়তান ওঁরা। সত্যি কথা বলতে ভয় পাই না। জেল হলে হবে (বাংলায় শেষ দফার ভোটের প্রচারের সময়সীমা কমানো প্রসঙ্গে)।
* আমরা একটা গেলে ১ লক্ষ তৈরি করি, তৈরি করার মানসিকতা রয়েছে (তৃণমূলের ৪০ বিধায়ক মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এ প্রসঙ্গে)
* দেশের এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী উদ্ধ্বত, দাম্ভিক। ৫ বছরে কি ঢোল বাজিয়েছেন ? মিথ্যে বললে ১০০ বার ওঠবোস করতে হবে।
* কয়েকজন আরএসএসের দালাল আপনাদের মধ্যে কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে টাকা বিলোচ্ছে। নজর রাখুন সবাই। জঙ্গিপুরে আরএসএস-বিজেপি কংগ্রেসকে সমর্থন দিচ্ছে, বহরমপুরেও তাই করছে। জঙ্গিপুরে কংগ্রেসের প্রার্থীর হয়ে কাজ করতে নেমেছে আরএসএস, এদের সমর্থন করি না।
* প্রমাণ দিন, আমার সব প্রার্থীরা কয়লা মাফিয়া।তাহলে আমি সব প্রার্থী তুলে নেব।
* কৃষক মেরে কৃষক প্রেম বিজেপির, জওয়ান মেরে জওয়ান প্রেম বিজেপির।
* বাংলায় এনআরসি-র এন, আর , সি কিছুই করতে দেব না। এনআরসি-র পাল্টা এনবিসি। মানে ন্যাশনাল বিদায় সার্টিফিকেট। আমরা এনবিসি করব, বিজেপিকে বিদায় করব
* বলছে দুর্গাপুজো নাকি হয় না, বলছে লক্ষ্মী পুজো নাকি হয় না। লক্ষ্মী পুজোর মন্ত্র জানেন? সরস্বতীর মন্ত্র বলতে পারবেন না, খ্রিস্টানদের মন্ত্র পারবেন না। ওরা নকল গেরুয়া পরেন, আর ভিতরটা ঝাড়ুয়া, আমি বলছি না, লোকে বলছে।
* বিজেপির ৩টে গুণ, লুঠ-দাঙ্গা-খুন
* মোদী-অমিত শাহর সাইনবোর্ড উঠিয়ে দেব। ওরা গেলে দেশ বাঁচবে।