General Election 2019: ‘‘লোকে বলে চৌকিদার চোর হ্যায়। আমি বলি না, আমি বলি, চৌকিদার ঝুটা হ্যায়।’’ এ ভাষাতেই মাথাভাঙার সভা থেকে নরেন্দ্র মোদীর চৌকিদার 'অবতার'কে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাজ্যে ভোটপ্রচারে এসে মমতাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকালই দিনহাটার সভা থেকে মোদীকে ইস্যু ধরে ধরে পাল্টা জবাব দেন মমতা। বৃহস্পতিবারও মাথাভাঙার সভা থেকে মোদীকে চড়া সুরে আক্রমণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা কটাক্ষের সুরে বলেন ‘‘আগে চাওয়ালা ছিল, এখন চৌকিদার। পরে কাঁচাকলার দোকান খোলো!’
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
মাথাভাঙার সভায় মোদীকে নিশানা করে মমতা ঠিক কী কী বলেছেন, জেনে নিন একনজরে...
* মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন, মমতা না থাকলে ছিটমহল হত? আমরা ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছি। কোচবিহারে আমরা অনেক কাজ করেছি। ওদের উন্নয়নের জন্য ১১০০ কোটি টাকা দিয়েছি।
*মোদীবাবু চাওয়ালা বলে সবার চাকরি খেয়ে নিয়েছে। ৫ বছর আগে ক্ষমতায় আসার সময় নিজেকে বলেছিলেন চাওয়ালা। আর এখন বলছে আমি চৌকিদার। আর লোকে তো বলছে চৌকিদার চোর হ্যায়। আমি বলছি, চৌকিদার ঝুটা হ্যায়। মিথ্যা কথা ছাড়া একটাও সত্যি কথা বলছে না। এখন কেটলিও নাই, চাও নেই, চিনিও নেই। ভাঁওতা সবাই বুঝতে পেরে গিয়েছে।
* নির্বাচনের নামে একেক জনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। ভোটের জন্য টাকা বিলোচ্ছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: Lok Sabha Election 2019: টাচ মি ইফ ইউ ক্যান, ‘এক্সপায়ারি বাবুকে’ চ্যালেঞ্জ মমতার
* ভোটের আগে উনি চৌকিদার সেজেছেন। এখন চাও নেই, চিনিও নেই। অনেক জায়গায় আসল চৌকিদাররা মাইনে পাচ্ছেন না। ধাপ্পা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। ৫ বছর আগে ছিলেন চাওয়ালা, এখন চৌকিদার, আগামী দিনে কাঁচাকলার দোকান খোলো।
* মোদীবাবুর এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে গিয়েছে। ওই ওষুধ আর কাজে লাগবে না। উত্তরপ্রদেশে এবার বিজেপি ১০-১৫টা আসন না হয় ২৫টি পাবে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগড়ে খুব বেশি হলে ৩০টি পাবে। গুজরাত, অন্ধ্র, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, বাংলা, সবমিলিয়ে ১৯১টি আসনে ভাল সময়েই ২১টি পেয়েছে, এখন যদি ২৫টি আসনও পায়, সেক্ষেত্রে কত হবে? ৫৪৩-এ ১২৫ পেলে ভাববেন, অনেক ভাল ভাগ্য।
*বেকারদের চাকরি হয়নি কেন? জবাব দিন। কেন কৃষকরা আত্মহত্যা করেছেন, জবাব দিন। গোরক্ষার নামে কেন মানুষ খুন করেছেন? জবাব দিন।
* মোদীবাবুদের তিনটি গুণ, লুঠ-দাঙ্গা-মানুষ খুন। বিজেপি ভারতবর্ষে শূন্য পাবে
* এনআরসির নাম করে ২২ লক্ষ হিন্দু বাঙালির নাম বাদ দিয়েছে। বলছে, বাংলায় এনআরসি করবে। আগে ২টি আসন ছিল, এবার একটও পাবে না। বাংলায় এনআরসি করতে দেব না। বলছে, সবাইকে তাড়িয়ে দেবে। যেন উনি সকলকে খাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন। কী করে যে প্রধানমন্ত্রী হল ভগবান জানে! কথাবর্তায় কোনও সৌজন্যই নেই।
* ৫ বছর পর বলছে, রাজবংশীদের নিয়ে ভাবতে হবে। বিমল গুরুংকে ডেকে পাঠালো দিল্লিতে। পাহাড়ে আগুন জ্বালিয়েছে বিজেপি। পাহাড়ের সঙ্গে বাংলার ঝগড়া বাধিয়েছে বিজেপি।
* মোদী মহম্মদ বিন তুঘলকের ঠাকুরদা, হিটলারের জ্যাঠামশাই। হঠাৎ নোটবাতিল করে দিলেন, হঠাৎ মনে হল জিএসটি করে দিলেন, হঠাৎ মনে হল উনি চৌকিদার হবেন, হঠাৎ মনে হল উনি টিভি চ্যানেল করে ফেললেন, হঠাৎ মনে হল উনি রাজা হয়ে গেলেন, হঠাৎ মনে হল নেহরু কোট নিজের নামে চালালেন। নিজের নামে জামাকাপড় বিক্রি করছেন। নিজের নামে সিনেমা বানিয়ে ফেললেন। লোকে কেন তোমার সিনেমা দেখবে ভাই? তুমি কে? আসলে কী জানেন তো, খরগোশ কখনও কখনও নিজের মুখ লুকিয়ে থাকে, যাতে চেহারা না দেখা যায়।
* ওদের নেতারা এসে বলছেন, বাংলায় মমতা দুর্গাপুজো করতে দেন না। যা ইচ্ছে করে যাচ্ছে। বাংলায় নাকি সরস্বতী পুজো হয় না! বাংলায় নাকি লক্ষ্মী পুজো হয় না!ওঁকে জিজ্ঞেস করুন, দুর্গাপুজোর মন্ত্র জানো, মা দুর্গা কাকে বধ করেছেন জানেন? আগামী দিনে বাংলার মেয়েরা আপনাদের অশুভ শক্তিকে বধ করবেন।
* বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে সংবিধান বদলে দেবে। আর ব্যাঙ্কে টাকা পাবেন না।
* সেনা আমাদের গর্ব, তারা রাজনীতি করে না। আর আজ বলে দেওয়া হচ্ছে মোদীর সেনা। সেনাকে অসম্মান করার জন্য নতুন নাটক শুরু করেছে।
* বিএসএনএল বলেছে, তাদের ৩৫ হাজার কর্মীর ২ মাস বাদে চাকরি যাবে।
* এদের সারা শরীরে দাঙ্গার রক্ত লেগে রয়েছে।