General Election 2019: দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। ক’দিন বাদেই উনিশের ভোটের লড়াইয়ের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। তার আগে আজই পুরোদমে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ শুক্রবার, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে কলকাতার রাজপথে মিছিল করল তৃণমূল নেতৃত্ব। যে সে মিছিল নয়, একেবারে হাইভোল্টেজ মিছিল। কারণ, মিছিলে হাঁটলেন স্বয়ং দলনেত্রী। এদিন বড়বাজারের শ্রদ্ধানন্দ পার্ক থেকে মিছিল শুরু হয়। মমতার নেতৃত্বে এই মিছিল পৌঁছোয় ধর্মতলায়। তবে শুধু কলকাতায় নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও তৃণমূল এদিন মিছিল কর্মসূচি করছে বলে জানা যাচ্ছে।
![]()
প্রসঙ্গত, একাধিক বার নির্বাচনের আগে নারী দিবসেই রাজনৈতিক কর্মসূচি কার্যকর করতে দেখা গিয়ছে মমতার তৃণমূলকে। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনেও নারী দিবসে মিছিল করে প্রচারের সূচনা করেছিল ঘাসফুল শিবির। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিলে হেঁটেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। গতবারের লোকসভা ভোটে ‘আশানুরূপ’ ফল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগেও তৃণমূলের প্রচার শুরু হয়েছিল এই নারী দিবসেই। আর এবারও লোকসভা ভোটের আগে প্রচারের জন্য নারী দিবসকেই বেছে নিল ‘মা-মাটি-মানুষের’ দল।
আরও পড়ুন, ‘‘মোদীর মতো শৌচালয় উদ্বোধনে চলে যাই না’’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, নারী দিবস তৃণমূলের কাছে ‘শুভ’ এবং রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণও। রাজ্যে একাধিক সামাজিক প্রকল্পের সূচনা করেছে মমতা সরকার। যার মধ্যে অন্যতম ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে সম্মানিত হয়েছে। এছাড়াও পঞ্চায়েত স্তরে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণও করেছেন তিনি। দলের সাংসদদের তালিকায় মহিলাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ৩২ জন সাংসদের মধ্যে ১২জনই মহিলা। ফলে নারী দিবসে প্রচারের মাধ্যমে বিশেষ বার্তা নিহিত রয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
উনিশের নির্বাচনে ‘বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ’-এর টার্গেট দিয়েছেন দলনেত্রী। ‘মোদী-শাহদের সাইনবোর্ড হঠানোই’ মমতার এবার প্রধান লক্ষ্য। এদিনের মিছিল থেকেও সেরকমই বার্তা মমতা দিতে পারেন মনে করছে রাজনৈতিক মহল।