General Election 2019: কলকাতা, বিধাননগরের কমিশনার-সহ রাজ্যের চার পুলিশকর্তার বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি 'দুর্ভাগ্যজনক', মন্তব্য নির্বাচন কমিশনের। মমতার চিঠির জবাবে পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে নির্বাচন কমিশন রবিবার জানিয়ে দিল, আইন অনুযায়ী নিজেদের এক্তিয়ারের মধ্যে থেকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে কলকাতা ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে বদলির নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। এর পাশাপাশি, ডায়মন্ডহারবার এবং বীরভূমেরর পুলিশ সুপারকেও বদলি করা হয়। এরপরই কমিশনের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ মমতা সুর চড়ান। তিনি বলেন, "বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে কমিশন"।
রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই চার পুলিশকর্তাকে রাতারাতি বদলির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মমতা কমিশনকে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "দিন কয়েক আগে বিজেপি নেতারা এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের শীঘ্রই বদলি করা হবে...আর ঠিক এরপরই কমিশনের এমন নির্দেশ সামনে এল। এ ধরনের ঘটনাপ্রবাহের ফলে কমিশন সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করবে না কি কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির নির্দেশ মেনে কাজ করবে- তা নিয়ে শংসয় তৈরি হচ্ছে
"।
মমতার এই চিঠির জবাবে রবিবার নির্বাচন কমিশন লিখেছে, "আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চলাকালীন কমিশনের গ্রহণ করা একটি সিদ্ধান্তকে এভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নির্দেশানুসারে গ্রহণ করা বলে দেগে দেওয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য এ ধরনের মন্তব্যের প্রত্যুত্তর দেওয়াও সংস্থার জন্য আদৌ সম্মানজনক বা সঠিক হবে না"। ওই চিঠিতে কমিশন আরও লিখেছে যে পশ্চিমবঙ্গের জন্য নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের রিপোর্টের ভিত্তিতেই বদলির নির্দেশ কার্যকর করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের প্রস্তুতি কেমন হয়েছে তা দেখার জন্য নির্বাচন কমিশনের কর্তারা কলকাতায় দু'দিন কাটিয়েছেন। এরপরই কমিশন জানায়, "বদলি হওয়া চার অফিসারের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন যাঁরা, তাঁরাও সমতুল অভিজ্ঞ এবং পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইপিএস। ফলে, তাঁরা রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতির বিষয়ে সম্যক ওয়াকিবহাল রয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে"।
Read the full story in English