ধরাশায়ী বাম-কংগ্রেস। স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম বাম-কংগ্রেস 'শূন্য' বিধানসভা বসতে চলেছে। কেন এই অবস্থা হল? এ প্রসঙ্গে সোমবার মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর মতে, বাম-কংগ্রেস তৃণমূল বিরোধীতার নামে আদপে বিজেপিকে সাহায্য় করাতেই এই দুই দলের বেহাল অবস্থা।
বাম-কংগ্রেস, আইএসএফ-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে একুশের ভোটের আগে গণতান্ত্রিক মোর্চা গঠন করেছে। বাংলার ২৯৪ আসনে তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েচিল মোর্চা। কিন্তু ভোটের ফল বেরতেই মুখ থুবড়ে পরেছে এই জোট। বাম-কংগ্রেস একটিও আসন পায়নি। কেবল শিবরাত্রির সলতের মতো ভাঙড়ে জয় পেয়েছে আইএসএফ। বাংলায় কার্যত অস্বিস্ত সংকটে বাম-কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- ‘পুনর্গণনার নির্দেশে প্রাণনাশের আশঙ্কা’, নন্দীগ্রামের RO-মেসেজ দেখিয়ে বিস্ফোরক মমতা
এ প্রসঙ্গে সোমবার তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, 'আমি চায়নি ওরা শূন্য হয়ে যাক। কিন্তু ওরা নিজেদের বিজেপির দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্যই আজ সাইবোর্ড হয়ে গেল। বিজেপির চেয়ে ওরা কিছু থাকলে ভাল হত।'
আরও পড়ুন- বিজেপি-কেন্দ্রীয় বাহিনী অত্যাচার করেছে, তবুও শান্ত থাকুন: মমতা
বাংলার ভোট এবার ছিল মেরুকরণের ভোট। সেখানেই তৃতীয় শক্তি হয়ে রাজনৈতিক জমি দখলের স্বপ্নে বিভোর ছিল বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু, সিপিআইএম লিবারেশনের সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেছিলেন যে, বিজেপি-তৃণমূলকে এক পংক্তিতে বসানো উচিত নয়। বিজেপিকে ঠেকাতে বামেদের তৃণমূলকে সহায়তার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। যা পত্রপাট খারিজ করে দেন সিপিআইএম নেতৃত্ব। মমতার কথায় এদিন সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন, 'দীপঙ্কর দাশগুপ্ততো অন্য কথা বলেছিলেন। ওনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।'
এ রাজ্য থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব বাংলার বিধানসভা- শূন্য বামেরা। নিজের গড় মালদা, মুর্শিদাবাদেও ভোট হয়েছে হয় তৃণমূলে, নয়তো বিজেপিতে। ভোট গণনার দিনই সিপিএমের শোচনীয় পরাজয় দেখে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন দমদম উত্তরের বাম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য। নেতৃত্বকেই এই পরাজয়ের দায় নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। ফলে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট, মোর্চায় আইএসএফ-কে যুক্ত করা সহ নেতৃত্বের নানা সিদ্দান্ত নিয়ে সিপিএমের অন্দরে তর্ক-বিতর্ক রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে এদিনের মমতার মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যবাহী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন