General Elections 2019: কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকারের কোনো অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে কোনো মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা বা দলের উল্লেখ থাকতে পারবে না। উল্লেখ থাকলে তা মুছে ফেলতে হবে। এই মর্মে ক্যাবিনেট সচিব, সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিব, এবং সব মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে নির্দেশ পৌঁছে গেল নির্বাচন কমিশনের। এছাড়াও জনসাধারণের টাকায় সরকারি কৃতিত্বের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না কোনো সংবাদমাধ্যমেই, জানিয়েছে কমিশন।
কমিশনের লিখিত নির্দেশ অনুযায়ী, "যদি ইতিমধ্যেই কোনো বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বা ছাপার জন্য পাঠানো হয়ে গিয়ে থাকে, তবে বাধ্যতামূলকভাবে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় তার সম্প্রচার অথবা প্রিন্ট মিডিয়ায় তার ছাপা সত্বর আটকাতে হবে, এবং নিশ্চিত করতে হবে যে নির্বাচন ঘোষণার দিন থেকে যেন এই ধরনের কোনো বিজ্ঞাপন কোনো পত্রিকা বা ম্যাগাজিনে ছাপা না হয়।"
আরও পড়ুন: আদর্শ নির্বাচন বিধি ঠিক কাকে বলে?
রবিবার জারি করা এই নির্দেশাবলি আদর্শ নির্বাচন বিধি অনুযায়ীই তৈরি হয়েছে, যা কিনা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই লাগু হয়ে যায়। সপ্তদশ সাধারণ নির্বাচন সাত দফায় অনুষ্ঠিত হবে ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত। ফলাফল ঘোষণা করা হবে ২৩ মে। অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম এবং ওড়িশাতে একই সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: Lok Sabha Elections 2019: অপরাধের পূর্বইতিহাস প্রকাশ করতে বাধ্য প্রার্থীরা, ফরমান কমিশনের
মূলত আটটি বিষয়ে গুরুত্ব দেয় এই বিধি। প্রার্থীদের সাধারণ আচরণ, মিটিং, মিছিল, নির্বাচনের দিনটি, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক, শাসক দলের আচরণ এবং বিভিন্ন দলের নির্বাচনী ইস্তেহার। বিধি অনুযায়ী, রাজ্যে বা কেন্দ্রে শাসক দল নির্বাচনী প্রচারে সরকারি ক্ষমতা এবং প্রশাসনযন্ত্রের কোন অপব্যবহার করতে পারবে না। কোন নতুন সরকারি প্রকল্পের ঘোষণা বা নীতি প্রণয়ন করা যাবে না বিধি বলবৎ হওয়ার পর থেকে। সরকারি খরচে কোন বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না কোনও গণমাধ্যমে। রাজ্য বা কেন্দ্রের মন্ত্রীরা সরকারি কাজের সঙ্গে কোনওভাবেই নির্বাচনী প্রচারকে মেশাতে পারবেন না। নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করতে পারবেন না সরকারি গাড়ি।
এছাড়াও কমিশন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে যেন সমস্ত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন, যেমন দেওয়াল লিখন, পোস্টার, হোর্ডিং, ব্যানার ও পতাকা - সবরকম সরকারি স্থান, যেমন বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড, পুরসভা ভবন, সরকারি দফতর এবং বাস থেকে নির্বাচন নির্ঘণ্ট ঘোষণার তিনদিনের মধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়।