কংগ্রেস শাসিত মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনে বিক্রম বিস্ববিদ্যালয়ের এক সংস্কৃত অধ্যাপককে সাসপেন্ড করা হল। চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় হবে, এই ছিল সাসপেন্ড হওয়া অধ্যাপকের ভবিষ্যদ্বাণী।
মধ্যপ্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩, অনুসারে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর অধ্যাপক রাজেশ্বর শাস্ত্রী মুসলগাঁওকরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল। ওই অধ্যাপক জ্যোতিষ শাস্ত্রের সাহায্যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩০০র কাছাকাছি এবং এনডিএ ৩০০-এর বেশি আসন পাবে। সেই ভবিষ্যদ্বাণী তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন।
আরও পড়ুন, “মোদী মোদী” স্লোগান তোলা বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে হাত মেলালেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
অধ্যাপক মুসলগাঁওকর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন তিনি রাজনৈতিক ভাবে নিরপেক্ষ এবং কোনও একটি দলের সুবিধে করে দেওয়া তাঁর উদ্দেশ্য নয়। তিনি কেবল এক ছাত্রের প্রশ্নের জবাবে এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
উজ্জয়িনের এক জুব কংগ্রেস কর্মী সে জেলার রিটার্নিং অফিসারের কাছে এই প্রসঙ্গে লিখিত অভিযোগ জানায়। অভিযোগে বলা হয় এক সরকারি কর্মীর পক্ষে বিশেষ কোনও দলের পক্ষ নিয়ে এমন মন্তব্য করার অর্থ সরাসরি নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করা, এবং রাজ্যের সিভিল সার্ভিস আইনের আওতায় তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
রিটার্নিং অফিসারের পরামর্শেই গত ৭ মে থেকে সাসপেনশনে রয়েছেন অধ্যাপক মুসলগাঁওকর। বিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগীয় প্রধান মুসলগাঁওকর (৫৫) ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন জ্যোতিষ শাস্ত্র আসলে সম্ভাবনার বিজ্ঞান। বর্তমান রাজনইতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেই তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তাঁর অনুমতি না নিয়েই তাঁর মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এক ছাত্র ফেসবুকে সেই ভবিষ্যদ্বাণী পোস্ট করেছিলেন। "যেই মুহূর্তে আমি সেই পোস্টের কথা জানতে পারি, তৎক্ষণাৎ ডিলিট করে ক্ষমা চেয়ে নিই", জানিয়েছেন অধ্যাপক।
আরও পড়ুন, প্রতিরক্ষা চুক্তিকে এটিএম-এর মত ব্যবহার করেছে কংগ্রেস, অভিযোগ মোদীর
নিজের পক্ষে সওয়াল করার কোনও সুযোগ তাঁকে দেওয়া হয়নি বলেই জানিয়েছেন অধ্যাপক।
অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিজগ দায়ের করা যুব কংগ্রেস সভাপতি বাবলু খিঞ্চি জানিয়েছেন মুসলগাঁওকর ২৯ এপ্রিল ওই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। সেই সময় রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন চলছিল। সেই ভবিষ্যদ্বাণী টুইট করে নির্বাচন প্রভাবিত করেন বিজেপি কর্মীরা, অভিযোগ যুব কংগ্রেস সভাপতির।
Read the full story in English