General Election 2019: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব পক্ষপাতদুষ্ট, সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কার্য্যালয়ে দাঁড়িয়ে সরাসরি অভিযোগ জানালেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিনোদ দুবের সঙ্গে এদিন পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী কথা বলতে যায় মুকুলের নেতৃত্বাধীন বিজেপির প্রতিনিধি দল। মুকুল জানান, তিনি পুলিশ পর্যবেক্ষককে বলেছেন, সিইওর উপস্থিতিতে কোনও আলোচনা করা যাবে না। মুকুল রায়ের দাবি, "সিইও আরিজ আফতাবের উপস্থিতিতে কোনও কথা বললে তা ২ মিনিটের মধ্যে তৃণমূলের কানে পৌঁছে যাবে"। এরপর সিইও-র অনুপস্থিতিতেই দুপক্ষের কথা হয়েছে বলে খবর।
এদিন সাংবাদিকদের সুখোমুখি হয়ে মুকুল আরও বলেন, এক পুলিশ আধিকারিক একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন বলে তাঁকে সরে যেতে হয়েছে। তাহলে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্নায় বসা পুলিশকর্তাদের কেন নির্বাচনের দায়িত্বে রাখা হবে? উল্লেখ্য, বিনোদ দুবের আগে এ রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে কে কে শর্মাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু, শর্মা অতীতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ জানায় তৃণমূল। এরপরই শর্মার স্থলাভিষিক্ত করা হয় দুবেকে। এদিকে, কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমারের সরকারি বাসভবনে সিবিআই হানার প্রতিবাদে ৩ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে অনশনে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময় রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের কয়েকজন শীর্ষ কর্তাকে মমতার পাশে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কিছু পুলিশ কর্তা 'অনশনে বসেছিলেন' দাবি করে দিন কয়েক আগেই একটি ছবি দেখিয়েছিলেন মুকুল রায়। এদিন ফের সেই প্রসঙ্গে সরাসরি মন্তব্য করে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের একাংশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ আনলেন তিনি। এর আগেও রাজ্যে গণতন্ত্রের নামে প্রহসন চলছে বলে মন্তব্য করেছিলেন মুকুল। এমনকী, এ রাজ্যের সিইও অফিসের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মুকুল। এরপর এদিন সরাসরি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকই পক্ষপাতদুষ্ট বলে মন্তব্য করলেন মুকুল রায়। মুকুলের এহেন মন্তব্যের জন্য কি তাঁকে শাস্তি পেতে হবে, জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।