Advertisment

Lok Sabha Election 2019: মধ্যবিত্তের ওপর বোঝা না বাড়িয়েই সত্যি হবে ন্যূনতম আয়ের স্বপ্ন?

দারিদ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে প্রকল্পটিকে বর্ণনা করেছেন রাহুল গান্ধী। সরাসরি মোদীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিকে সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা দিতে পারে, আমরাও দেশের দরিদ্র মানুষকে তা দিতে পারি”।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নির্বাচনী ইস্তেহারে কংগ্রেসের দেওয়া ন্যূনতম আয়ের প্রতিশ্রুতি (ন্যায়)  নিয়ে বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনা চলছে ওয়াকিবহাল মহলে। বিজেপির বক্তব্য, ন্যূনতম আয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয়। সেই প্রসঙ্গেই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বললেন এই প্রকল্প চালু করতে আদৌ অর্থনীতির ওপর চাপ পড়বে না। মধ্যবিত্তের ওপর বাড়তি কোনও করের বোঝাও চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই তার জন্য, জানিয়ে দিলেন অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং।

Advertisment

নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশকালে রাহুল গান্ধী বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের ২০ শতাংশ দরিদ্র পরিবারের জন্য মাসে ১২ হাজার টাকা আয় সুনিশ্চিত করবে সরকার। তিনি বলেন, “দেশের ২০ শতাংশ মানুষকে বছরে ৭২,০০০ টাকা দেওয়া হবে।” এই টাকা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যাবে বলেও জানান রাহুল। এই প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ন্যায়’। “শেষ পাঁচ বছরে দেশের মানুষের অনেক ভোগান্তি হয়েছে, এবার আমরা মানুষকে ন্যায় বিচার পেতে সাহায্য করব”, বললেন সনিয়া পুত্র।

দারিদ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে প্রকল্পটিকে বর্ণনা করেছেন রাহুল গান্ধী। সরাসরি মোদীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিকে সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা দিতে পারে, আমরাও দেশের দরিদ্র মানুষকে তা দিতে পারি”।

আরও পড়ুন, ৪২-এ ৪২ বনাম ৫-০, মমতার দেখানো পথেই কি হাঁটছেন মুকুল?

যাঁদের আয় মাসিক ১২,০০০ টাকার কম, তাঁদের অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন রাহুল। কারও মাসিক আয় ৬ হাজার টাকা হলে, সরকার দেবে বাকি ৬ হাজার। কারও আয় মাসিক ১০ হাজার টাকা হলে, সরকার দেবে বাকি ২ হাজার টাকা। এই উপায়ে মাসে ন্যূনতম ১২,০০০ টাকা আয় নিশ্চিত করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের আমেঠি থেকে নির্বাচন লড়তে চলা রাহুল।

রাহুলের কথায়, “দেশের পাঁচ কোটি পরিবার, অর্থাৎ ২৫ কোটি মানুষ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।” প্রকল্পটির সব রকম পরিকল্পনাও তৈরি বলে জানিয়েছেন রাহুল। “দেশের অনেক অর্থনীতিবিদের সঙ্গে আলোচনা করেছি আমরা। এটি খুবই সুচিন্তিত, শক্তিশালী একটি প্রকল্প।”

'ন্যায়' প্রসঙ্গে মনমোহন সিং বলেছেন এই  প্রকল্প  যে শুধুই গরিবদের ক্ষমতায়নে সাহায্য করবে, তাঁদের আর্থিক স্বাচ্ছল্য দেবে, তা-ই নয়, সমাজ কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের এক সামাজিক চুক্তি হিসেবেও দেখা যেতে পারে একে। "দরিদ্রের হাতে টাকা এলে অর্থনীতিতে স্বাভাবিক ভাবেই চাহিদা বাড়বে। অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বাড়বে। চাকরির বাজার প্রশস্ত হবে। কেনেশীয় তত্ত্ব সেরকমই বলে। বেসরকারি বিনিয়োগ যখন কমে আসছে, সেরকম এক সময়ে ন্যায় প্রকল্প দেশের অর্থনীতিকে পুনরজ্জিবিত করতে পারে। দেশে নতুন চাকরি, নতুন কারখানা তৈরি হতে পারে", বলছেন ইউপিএ জমানার প্রধানমন্ত্রী তথা অর্থনীতিবিদ ডঃ মনমোহন সিং।

Read the full sroty in English

manmohon singh General Election 2019 election commission
Advertisment