দিলীপ ঘোষের পর এবার শীতলকুচি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। রাজ্য বিজেপি সভাপতি রীতিমতো হুমকির সুরে বলেছেন, 'বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে'। আরও এককদম বাড়িয়ে হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার বক্তব্য়, '৪ জন নয়, ৮ জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর।'
কী বলেছেন রাহুল সিনহা?
শীতলকুচিতে সিআরপিএফ-এর গুলিতে চতুর্থদফার ভোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে কমিশন 'চক্রান্ত' করে এই ঘটননা ঘটিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। গণতন্ত্রের উৎসবে মর্মান্তিক এই পরিণতিতে 'নজিরবিহীন গণহত্যা' বলে তোপ দেগেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, তৃণমূল নেত্রীর উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে পাল্টা দাবি খোদ অমিত শাহর। মমতার বিরুদ্ধে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, 'শীতলকুচিতে পাঁচ জনের মৃত্যু হলেও কেন শুধুই চারজনের জন্য শ্রদ্ধার্ঘ্য, বিজেপি সমর্থক আনন্দ বর্মনের মৃত্যু নিয়ে কেন চুপ মমতা?'
ফলে ভোটের বাংলায় এখন জসন্ত ইস্যু শীতলকুচির ঘটনা। যাতে ঘৃতাহুতি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিতর্ক উস্কে আরও বিস্ফোরক রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়, 'বিজেপি করার অপরাধে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো নিরিহ ভোটারদের যারা গুলি করে মারছে তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যারা বোমা ছুঁড়ছে তাদের নেত্রী মমতা। মস্তানরাজ কায়েম করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই গুলি করে সঠিক জবাব দিয়েছে সিআরপিএফ। ৪ জন নয়, ৮ জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল।'
শনিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে রবিবার দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'অভিযোগ করলেই দিদি বলেন দুষ্টু ছেলে। আরে বাবা এত দুষ্টু ছেলে এল কোথা থেকে? ওই দুষ্টু ছেলেরাই গতকাল কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলি খেয়েছে। এই দুষ্টু ছেলেরা আর বাংলায় থাকবে না। সবে শুরু। যারা ভেবেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী বন্দুকটা দেখোনার জন্য নিয়ে এসেছে, তারা বুঝে গিয়েছে ওই গুলির গরম কেমন। সারা বাংলায় এটা হবে। ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করার দিন চলে গিয়েছে। ভয় উপেক্ষা করে মানুষ ভোট দিচ্ছেন। ১৭ তারিখ সকালেও লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিন। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কেউ লাল চোখ দেখাতে পারবে না। আমরা আছি। আর যদি বাড়াবাড়ি করে, শীতলকুচিতে দেখেছেন কী হয়েছে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।'
ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানিয়েছে তৃণমূল। প্রচার নিষিদ্ধ করে দিলীপের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলার আবেদন করা হয়েছে। তাঁর সতীর্থ রাহুলের মন্তব্য প্রসঙ্গেও সরব অন্যান্য রাজনৈতিকদলগুলে। রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা হাবড়ায় রাহুল সিনহার প্রতিপক্ষ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, 'নিজের চরম শত্রুকেও এভাবে মেরে ফেলার কথা বলা যায় না। রাহুল সিনহা পাগল হয়ে গেছেন। উনি ভোটে কখনও জেতেননি আর এবার আরও রেকর্ড ব্যবধানে হারবেন। তাই পাগলের প্রলাম বকছেন। ' যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর কথায়, 'ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। অবিলম্বে শীতলকুচির ঘটনার তদন্ত হয়ে দোষীদের চরম শাস্তি হোক।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
'৪ নয়-৮ জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল', শীতলকুচি নিয়ে বিস্ফোরক রাহল সিনহা
দিলীপ ঘোষের পর এবার শীতলকুচি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।
Follow Us
দিলীপ ঘোষের পর এবার শীতলকুচি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। রাজ্য বিজেপি সভাপতি রীতিমতো হুমকির সুরে বলেছেন, 'বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে'। আরও এককদম বাড়িয়ে হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার বক্তব্য়, '৪ জন নয়, ৮ জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর।'
কী বলেছেন রাহুল সিনহা?
শীতলকুচিতে সিআরপিএফ-এর গুলিতে চতুর্থদফার ভোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে কমিশন 'চক্রান্ত' করে এই ঘটননা ঘটিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। গণতন্ত্রের উৎসবে মর্মান্তিক এই পরিণতিতে 'নজিরবিহীন গণহত্যা' বলে তোপ দেগেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, তৃণমূল নেত্রীর উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে পাল্টা দাবি খোদ অমিত শাহর। মমতার বিরুদ্ধে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, 'শীতলকুচিতে পাঁচ জনের মৃত্যু হলেও কেন শুধুই চারজনের জন্য শ্রদ্ধার্ঘ্য, বিজেপি সমর্থক আনন্দ বর্মনের মৃত্যু নিয়ে কেন চুপ মমতা?'
ফলে ভোটের বাংলায় এখন জসন্ত ইস্যু শীতলকুচির ঘটনা। যাতে ঘৃতাহুতি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিতর্ক উস্কে আরও বিস্ফোরক রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়, 'বিজেপি করার অপরাধে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো নিরিহ ভোটারদের যারা গুলি করে মারছে তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যারা বোমা ছুঁড়ছে তাদের নেত্রী মমতা। মস্তানরাজ কায়েম করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই গুলি করে সঠিক জবাব দিয়েছে সিআরপিএফ। ৪ জন নয়, ৮ জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল।'
শনিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে রবিবার দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'অভিযোগ করলেই দিদি বলেন দুষ্টু ছেলে। আরে বাবা এত দুষ্টু ছেলে এল কোথা থেকে? ওই দুষ্টু ছেলেরাই গতকাল কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলি খেয়েছে। এই দুষ্টু ছেলেরা আর বাংলায় থাকবে না। সবে শুরু। যারা ভেবেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী বন্দুকটা দেখোনার জন্য নিয়ে এসেছে, তারা বুঝে গিয়েছে ওই গুলির গরম কেমন। সারা বাংলায় এটা হবে। ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করার দিন চলে গিয়েছে। ভয় উপেক্ষা করে মানুষ ভোট দিচ্ছেন। ১৭ তারিখ সকালেও লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিন। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কেউ লাল চোখ দেখাতে পারবে না। আমরা আছি। আর যদি বাড়াবাড়ি করে, শীতলকুচিতে দেখেছেন কী হয়েছে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।'
ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানিয়েছে তৃণমূল। প্রচার নিষিদ্ধ করে দিলীপের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলার আবেদন করা হয়েছে। তাঁর সতীর্থ রাহুলের মন্তব্য প্রসঙ্গেও সরব অন্যান্য রাজনৈতিকদলগুলে। রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা হাবড়ায় রাহুল সিনহার প্রতিপক্ষ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, 'নিজের চরম শত্রুকেও এভাবে মেরে ফেলার কথা বলা যায় না। রাহুল সিনহা পাগল হয়ে গেছেন। উনি ভোটে কখনও জেতেননি আর এবার আরও রেকর্ড ব্যবধানে হারবেন। তাই পাগলের প্রলাম বকছেন। ' যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর কথায়, 'ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। অবিলম্বে শীতলকুচির ঘটনার তদন্ত হয়ে দোষীদের চরম শাস্তি হোক।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন