গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনে থেকে তাঁর প্রার্থীপদের মনোনয়ন বাতিল হয়। আর তার এক সপ্তাহ পরেই প্রকাশ পেল প্রাক্তন বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুর যাদবের একটি বিতর্কিত ভিডিও, যেখানে ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে "মোদীকে মারতে" রাজি হচ্ছেন তিনি। যদিও গোটা ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন ওই জওয়ান।
উত্তরপ্রদেশ থেকে সমাজবাদী পার্টির হয়ে এবারের লোকসভা ভোটে দাঁড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু কিছু তথাকথিত অসঙ্গতির কারণে তেজ বাহাদুর যাদবের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে যায়। ভিডিও প্রসঙ্গে তেজ বাহাদুর বলেন, "আমি দেখেছি ভিডিওটি, এই ভিডিওটি ২০১৭ সালে তোলা হয়েছিল আমার অনুমতি ছাড়াই। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমি কথা বলেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ব্যাপারে কোনও কথা বলিনি। পুরো ভিডিওটিতে কারিগরি করা হয়েছে আমাকে ফাঁসানোর জন্য।"
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
ভিডিওটি ভাইরাল হতেই তেজ বাহাদুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি স্বীকার করেন ভিডিওতে তাঁকেই দেখা যাচ্ছে, কিন্তু ভিডিওটির বক্তব্য তাঁর নয়। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার কোনও পরিকল্পনার কথা তিনি বলেন নি। তিনি জানান, ২০১৭ সালে বিএসএফ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর যখন তিনি দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেন, তখন দিল্লি পুলিশের এক কনস্টেবল এই ভিডিওটি তোলেন।
शराब के नशे में धुत्त और बीएसएफ से बर्खास्त सिपाही तेज बहादुर 50 करोड़ रुपए की एवज में @PMOIndia @narendramodi की हत्या की सुपारी लेने के लिए भी तैयार हैं! ऐसे गए गुजरे आदमी को मोदी के सामने चुनाव में उतारने की योजना बनाई थी एसपी-बीएसपी ने। इन जनाब के चरित्र के बारे में क्या कहना pic.twitter.com/QVctxPrOBu
— Brajesh Kumar Singh (@brajeshksingh) May 6, 2019
বিজেপি অবশ্য তেজ বাহাদুরের বক্তব্যকে মোটেই সোজা ভাবে নিচ্ছে না। বিজেপি মুখপাত্র জি ভি এল নরসিমহা রাও জানান, গত বছর মহারাষ্ট্র পুলিশ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্রকারী একদল 'শহুরে নকশাল'দের আটক করেছিল। তাঁর বক্তব্য, "আমরা স্তম্ভিত যে সমাজবাদী পার্টির তরফ থেকে এমন একজনকে প্রার্থী করা হয়েছিল যিনি মোদীকে খুন করার ষড়যন্ত্র করতে পারতেন। ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য "
আরও পড়ুন: রামের নামে তরজা মোদী-মমতার
বিজেপি মুখপাত্রের মন্তব্য মানতে নারাজ তেজ বাহাদুর। আত্মপক্ষ সমর্থন করে তেজ বাহাদুরের বক্তব্য, "আমি দেখেছি ভিডিওটি, এই ভিডিওটি ২০১৭ সালে তোলা হয়েছিল আমার অনুমতি ছাড়াই। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমি কথা বলেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ব্যাপারে কোনও কথা বলি নি। পুরো ভিডিওটি অসদুপায়ে বানানো হয়েছে আমাকে ফাঁসানোর জন্য।" তিনি আরও বলেন, 'ফৌজি একতা ন্যায় কল্যাণ মঞ্চ' নামক একটি তহবিল তছরুপে জড়িত থাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় একজন কনস্টেবল গোপনে এই ভিডিওটি বানান।
কিন্তু ভিডিওতে তাঁর মুখে শোনা যাচ্ছে ৫০ কোটি টাকার একটি বিবৃতি, তার পরেও অস্বীকার করছেন কেন? সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই কনস্টেবল তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এরকম আরও ৩০টি ভিডিও বানিয়েছেন এবং ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়েছিলেন ওই কনস্টেবল, বলে দাবি তেজ বাহাদুরের।
Read the full story in English