Election Result Reactions on Social Platform Live Updates: বাকযুদ্ধে সোশাল মিডিয়ার জুড়ি মেলা ভার। মিম ও রাজনৈতিক তরজা তো চলছেই কিন্তু এর পাশাপাশি নিজেদের মতপ্রকাশেও পিছপা নন তারা। জমি ছাড়তে কোনদিনই দেখা যায় না ভার্চুয়াল পৃথিবীর বাসিন্দাদের। এদিনও তার অন্যথা হচ্ছেনা, কার দোষ কার গুণ, চুলচেরা বিশ্লেষণে সোশাল দেওয়াল ভরিয়ে তুলছেন জনতা। এ মুহূর্তে মহাযুদ্ধের শেষে সিংহাসন ঘোষণায় ‘যদি’-র হিসেব সারা। একধাপ এগিয়ে ফলাফলের বিশ্লেষণে মনোনিবেশ করেছেন নেটিজেনরা। গদিতে কে বসবেন সেটা মোটামুটি পাকা, এবার সোশাল মিডিয়া ব্যস্ত মিম তৈরিতে। ডান-বাম-গেরুয়া কাউকে বাদ রাখছে না। মেরুকরণের সমীক্ষায় অন্য গণনা চলছে নেট দুনিয়ায়। রেয়াত করা তো দুরস্ত ফের ট্রেন্ড তৈরির পথে হাঁটছেন নেটবাসী। হিউমারাস মিম থেকে হাসির পাত্র- সব চলছে রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি কেন্দ্র করে।
লোকসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে এই প্রথমবার মুখ খুললেন ‘উচ্ছ্বসিত’ মোদী। টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন ‘‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস = বিজয় ভারত’’। নমো লিখেছেন, ভারত আবারও জয়ী হল। সব দেখে এখনও পর্যন্ত অন্য সমীকরণ কষে ফেলেছে নেটিজেনরা। বাম ভোটই নাকি বদলে বিজেপির দিকে গিয়েছে। ইন্টারনেট দুনিয়ায় চলছে নিজস্ব গণনা।
सबका साथ + सबका विकास + सबका विश्वास = विजयी भारत
Together we grow.
Together we prosper.
Together we will build a strong and inclusive India.
India wins yet again! #VijayiBharat
— Chowkidar Narendra Modi (@narendramodi) May 23, 2019
EXPRESS DATA | Election results dashboard
দেশে কে সরকার গড়ছে? বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়েছে অভিমত। একধাপ এগিয়ে দেশের রাজনীতির গাম্ভীর্যে হালকা মেজাজ আনছে নেটপাড়া। ইতিমধ্যেই অন্য রূপ নিতে শুরু করেছে সোশাল প্ল্যাটফর্ম। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার এই লাইভ ব্লগে ধরা থাকছে সোশালের নাড়ির স্পন্দন।
আরও পড়ুন, Lok Sabha Election 2019 Results Live: দিল্লির সিংহাসন কার? উনিশের রায়ের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ
সোশাল প্ল্যাটফর্মে কেউ কেউ বলছে বিজেপির কোনও সম্ভবনাই নেই তো কেউ আবার এক্সিট পোলের পক্ষে। মিমি-নুসরত যদি জিতে যান তাহলেও তৈরি মিম। হারলে স্ট্যাটাস ''বলেছিলাম হারবে''। ফলাফলের বাজারে সরগরম সাধারণের মত প্রকাশের পাইকারি বাজার। নন্দীগ্রামের গুলি চালনা থেকে নিয়েলসনের সমীক্ষা- চুলচেরা বিশ্লেষণে এ যেন এক দীর্ঘ আলোচনা সভা। তর্কাতর্কিতে শত্রুতাও তৈরি হচ্ছে ভার্চুয়ালিই। তরজায় বাদ নেই 'প্রফেটিক' সুকুমার রায়, রবীন্দ্রনাথ (''নীরব করে দাও হে তোমার মুখর মোদীরে'' )।
Read the English Election 2019 Results Trending LIVE here
Web Title:
চৌকিদার কথাটা উঠে গিয়েছে বিজেপি সমর্থকদের নামের সামনে থেকে। মোদীর নির্দেশেই চৌকিদার তুলে নিলেন সমর্থকরা। তবে তৃণমূল ও সিপিআইএমের মুখের হাসি মিলিয়ে যাওয়াটা উপভোগ করছে নেটদুনিয়া। সোশাল প্ল্যাটফর্মে নেমে গিয়েছেন গেরুয়া ডিজিট্যাল বাহিনী।
কেবলমাত্র মিম নয়, কে হারল,কেন জিতল বা অতিতুচ্ছ আত্মবিশ্লেষণ সবেতে নিজেদের ট্রেন্ডি রেখেছে জনগণ। প্রতিটা সূক্ষ বিষয়ে আলোকপাত করছেন নেটিজেনরা। লম্বা লম্বা পোস্ট লিখে বোঝাচ্ছেন প্রয়োজনীতা। তালিকায় যোগ দিয়েছেন দেব।
রীতিমতো পেটে হাত দিতে হচ্ছে সোশাল ওয়ালে চোখ রাখলে। দেশ চলছে এক রাজনীতিতে আর নিজেরাই মতো খেলায় মাতছে নেটপাড়া। বিজেপির দিকে ঝুঁকছে দেশ সেই সময় মিম রাজনীতিতে বাজিমাৎ সোশালের।
এখনও পর্যন্ত ফলাফল যা বলছে তাতে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। যত এই গণনা সামনে আসছে তত তেতে যাচ্ছে সোশাল প্ল্যাটফর্ম। কোনও দলই সোশালের মানুষের রোষ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। সব্বাইকে একহাত নিচ্ছেন নেটিজেনরা। মিম আর কার্ডে ছেয়ে যাচ্ছে ওয়াল।
প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই মিমের ট্রেন্ডে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। আপাতত গণনা বলছে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। আর তাতেও মিম বন্ধ হচ্ছে না তাঁকে নিয়ে। এখনও জনতা-জনার্দন ক্লান্ত হচ্ছেন না মিমিকে নিয়ে।
কেউ কেউ আবার বিজেপি আসায় কী কী ক্ষতি হতে চলেছে বাংলার সেদিকে আলোকপাত করেছেন। নস্ট্যালজিয়ায় এতদিন ছিল রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য এখন সত্যজিৎ রায়ের ছবির অংশ শেয়ার করে বোঝাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গকে আর ধর্মনিরপেক্ষ রাখা গেলনা ।
বিজেপিকে তো তুলোধোনা করছেই, সেই সঙ্গে ছেড়ে কথা বলছেন না তৃণমূল কংগ্রেসকেও। সব রাগ ভার্চুয়ালিই মিটিয়ে নিতে মরিয়া সোশাল দুনিয়া। সব বিষয়েই সক্রিয় থাকে এই ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া। তবে যত দিন গড়াচ্ছে উৎসাহে ভাটাও দেখা যাচ্ছে। কেমন যেন হতাশ হয়ে পড়ছেন তারা। এক্সিট পোলের পর সদর্পে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করা সোশাল জনগণ মূহ্যমান হয়ে পড়েছে।
তবে এখনও বামেদের প্রতি আশা জিইয়ে রেখেছেন পরিচালক কমলেশ্ব মুখোপাধ্যায়। পুরো ভোটপর্বেই সরব চিলেন তিনি, ছবির বদল হল না ফলাফলের দিনও। প্রকাশ্যে নিজের মত সোশালে জানাচ্ছেন তিনি।
তবে একদিকে বিজেপিকে তুলোধনা করছে মানুষ, কেউ বলছে আজ থেকে আর নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ বলবে না, তো কারও মত হিটলারি শাসন আগত। আবার অন্যদিকে তৃণমূলের জয়জয়াকার করছে সাধারণ সোশাল জনতা। একের পর এক মিম ও স্ট্যাটাস পরিস্কার করছে সোশাল চিত্র। বাঙালি নাকি আত্মঘাতী এই তার প্রমাণ বলেও উপমান টানছেন অনেকে।
গণনা যেদিকে যাচ্ছে তার একটা আঁচ করে নিয়ে এবার পর্যালোচনায় নিজেদের ব্যস্ত রাখছেন সোশালের জনগণ। কোনও সম্ভবনাকেই ধুলোয় মিশতে দিচ্ছেন না তারা। সেকোন বিশ্লেষণে জায়গা করে নিচ্ছে বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বামেদের পারফরমেন্স দেখে তাকে খানিক তাচ্ছিল্যই করছে নেটপাড়া। নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছে এ ইঙ্গিতও দিয়েছে আমজনতা।
বাংলার ভোটের মার্কশিটে যখন একদিনে গেরুয়া ঝড়, সিট ধরে রাখতে মরিয়া সবুজ বাহিনী তখন নেটপাড়ার কিছু মানুষ ব্যস্ত নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে। হাতের জোর এগিয়ে এসেছে মরা কোটালেও, তাও সোশালে তুলে ধরছেন নেটিজেনরা।
ভোটের শুরু থেকে মোদী আর মমতাকে নিতে মেতে ছিল সোশাল দুনিয়া। ফলাফলের দিনও বদল ঘটেনি সেই চিত্রের। গণনা বলতে গেরুয়াই ফের বসতে চলেছে সিংহাসনে। রাজ্য়েও বিজেপি আসন জিততে সক্ষম। সব মিলিয়ে মানচিত্রের রঙ বদলাচ্ছে একটু হলেও। তাই মমতা-মোদী তরজা কায়েম রয়েছে ভার্চুয়াল দেওয়ালেও।
সোশাল দেওয়াল দেখে মনে হচ্ছে বামেদের থেকে এবারও যথেষ্ট আশা রেখেছিল নেটপাড়া। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভোটের রেজাল্ট যা বলছে তাতে প্রবচনের মতো কার্যতই ফসিল হতে দেখা যাচ্ছে লাল দলকে। এই নিয়েই ক্ষুন্ধ জনতা। কেউ কেউ রাগ প্রকাশ করছেন তো কারও আশ্রয় সারকাজম।
ভোটের ফলাফল বেরোনোর আগে কেদারনাথে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তারপরে আজ বিজেপি এগিয়ে থাকার খবরে মোদীর সেই যাত্রাকেও খোঁচা দেওয়া থেকে বিরত থাকছে না নেটি দুনিয়া। প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ মতামত দিতে দেখা যাচ্ছে তাদের।
এখনও পুরোপুরি বেরোয়নি ফলাফল। তবে আন্দাজ করে গেরুয়া বাহিনীর দিকেই ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে নেটিজেনদের একাংশকে।
রাহুল গান্ধী কেবল নয় কংগ্রেসের উপর একটু বেশিই চটে আমজনতা। মিমে তাদের নিয়েই ট্রেন্ড করছে পোস্ট।
যদিও গণনা বলছে এগিয়ে রয়েছে রাহুল গান্ধী। কিন্তু তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই নেটিজেনদের। নিজেদের মতো করে মতপ্রকাশের জেরে কাঠগড়ায় রাহুলই
দেশের গণ্ডিতে আটকে নেই পৃথিবীর সবথেকে বৃহত্তম গণতন্ত্রের ফলাফলের উত্তেজনা। বিশ্বের চোখও রয়েছে ভারতের দিকেই
কাল্পনিক জগৎ তো! পোলাও যখন স্বপ্নেই তৈরি করেন ঘি ঢালতে কার্পণ্য করবেন কেন। তাই এই মিমে বলা- যদি অ্যাভেঞ্জার্স (মহাগাটবন্ধন) থ্যানোসের (মোদী) সঙ্গে ভোট যুদ্ধে পরাস্ত হবে না জিতবে তা বলবে আজকের ফলাফল।
ধরুন নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন কোনও রাজনৈতিক দল। তাদের অবস্থা কেমন হবে কল্পনা বলে সেটাও তৈরি করে ফেলেছেন নেট নাগরিকরা।
নির্বাচনের ফলাফলের বাজারে কোথা থেকে যেন চলে এল তামিলরকার্স। ফলাফল লিক করতে পারল না বলে একপ্রস্ত কথা শুনতে হচ্ছে। ভাবুন !
গণনা করতে বসলে আপনার দশাও এরকম হতে পারে। খেয়াল করেছেন।
রাজনীতিতে তিনি নাকি পাপ্পু। সুতরাং রাহুল গান্ধীকে নিয়ে মিম তো বনতা হ্যায়।
বিজেরি জিতলে নাকি এই রকমটাই করবেন অমিত শাহ
নেতা নেত্রীদের ভিডিও নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মিম ভিডিও
কেউ কেউ আবার ব্যস্ত সোশাল মিডিয়ায় মানুষকে সতর্ক করতে। মারামারি কিংবা প্রহসন থেকে দূরে থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ মেজাজেই থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
গতকাল হালকা মেজাজে কি বোর্ডে কবিগুরুর গান বাজিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেন নতুন রসদ পেয়েছে নেটবাসী, কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা নেমে পড়েছে আলোচনা-পর্যালোচনায়।
পুরোনো প্রসঙ্গ টেনেও নিজেদের কোর্টে বল আনতে মরিয়া নেটিজেনরা।
নিজেদের মতো করে নির্বাচনী ফলাফলেও মতদান শুরু কেছে ভারতের জনগণ। কিছু কিছু মিম তো ট্রেন্ড করছে সোশাল মিডিয়ায়।
কার্যত গতকাল রাত থেকেই তরজা শুরু হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। মিম পোস্ট করা হচ্ছে ক্রমাগত। হিউমার ও বাকযুদ্ধের মিশেলে সোশাল দেওয়ালের ভার্চুয়াল রাজনীতি প্রকাশ্যে।