Lok Sabha 2019 Election Result: আবারও দেশে গেরুয়া ঝড় উঠল। বিরোধী শিবিরকে জোর ঝটকা দিয়ে আবারও দেশের ক্ষমতায় ফিরছে মোদী সরকার। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ফের দিল্লির সিংহাসনে বলছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনশোরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। শতযোজন দূরে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা।
শেষ দফার নির্বাচনের আগে প্রথমবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে বলেছিলেন ‘‘তিনশোরও বেশি আসন পেয়ে আবারও সরকার গড়বে বিজেপি’’। মোদীর সেই কথাই ফলে গেল। ট্রেন্ড অনুযায়ী তিনশোরও বেশি আসনে এবার জিতছে এনডিএ। ইতিমধ্যেই তাঁকে জয়ের অভিনন্দন জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীরা। লোকসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে এই প্রথমবার মুখ খুললেন ‘উচ্ছ্বসিত’ মোদী। টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন ‘‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস = বিজয় ভারত’’। নমো লিখেছেন, ভারত আবারও জয়ী হল। মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাহুল বলেছেন, ‘‘মানুষ রায় দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দেশের মানুষ মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চেয়েছেন। আমি দেশবাসীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি’’।
সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমারকে নিয়ে অনেকটা আশাবাদী ছিল বামশক্তি। কিন্তু প্রত্যাশাপূরণ হল না। বেগুসরাই আসনটি হারাতে হল দেশের তরুণ প্রজন্মের বাম রাজনীতির মুখ, কানাহাইয়া কুমারকে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের নিজস্ব সূত্রের খবর, বেগুসরাইয়ে সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমার পরাজিত লক্ষাধিক ভোটে। ওই আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী গিরিরাজ সিং। অন্যদিকে অন্ধ্রে বিপুলভাবে পরাজিত তেলুগু দেশম পার্টির প্রায় সব প্রার্থী। সবিস্তারে পড়ুন, এই প্রতিবেদনে বেগুসরাইয়ে পরাজিত কানহাইয়া, বাকি আসনে এগিয়ে কারা?
2019 Lok Sabha Election Results: আবারও দিল্লির সিংহাসনে বসছেন নরেন্দ্র মোদী। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত সব খবরের আপডেট রইল এখানে, Follow the Updates here:
লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর ফল: ভোটের ফলের আগের দিন ধাক্কা খেলেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের নেতৃত্বে ২২টি বিরোধী দল ভিভিপ্যাট গণনার পদ্ধতি পরিবর্তন করার জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়েছিল। বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের দাবি ছিল ইভিএম গণনার আগে ভিভিপ্যাট গণনা করতে হবে, সেই আবেদন খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেসের তরফে কমিশনে জানানো হয়েছিল ভিভিপ্যাট যাচাইয়ের সময় কোনও রকম অসঙ্গতি চোখে পড়লে সেই বিধানসভার প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের ১০০ শতাংশ কাগজের স্লিপের গণনা করতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনেই ইভিএম এর সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে ভিভিপ্যাট। নির্দিষ্ট বোতাম টিপে ভোট দেওয়ার ৭ সেকেন্ড পরেই ভোটার দেখতে পেয়েছেন পাশে থাকা ভিভিপ্যাট মেশিনের উইন্ডোতে প্রার্থীর নম্বর, দলের নাম এবং চিহ্ন-সহ একটি স্লিপ। মূলত সাত সেকেন্ডের জন্য স্লিপটি দেখা গিয়ে তারপর ভিভিপ্যাট বাক্সে তা জমা পড়ে গিয়েছিল।
আজ ভোটগণনা। প্রতীকী ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
কীভাবে বুথ থেকে স্ট্রং রুমে পাঠানো হয় ইভিএম?
ভোট শেষ হওয়ার পরই ইভিএম স্ট্রং রুমে পাঠানো হয় না। ভোটদানের হিসেব নিতে হয় প্রিসাইডিং অফিসারকে। এর একটি প্রত্যয়িত নকল দেওয়া হয় সমস্ত প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে। এর পর ইভিএম সিং করে দেওয়া হয়। প্রার্থী এবং তাঁদের এজেন্টরা সিয়ের উপর স্বাক্ষর করতে পারেন, যাতে প্রয়োজনে ইভিএমে কারচুপি হলে সে স্বাক্ষর তাঁরা মিলিয়ে নিতে পারেন। প্রার্থী অথবা তাঁদের প্রতিনিধিরা বুথ থেকে স্ট্রং রুম অবধি গাড়ি অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত স্ট্রং রুম হয় গণনা কেন্দ্রের কাছাকাছি। ভোটে ব্যবহৃত ইভিএম এবং রিজার্ভে রাখা অতিরিক্ত ইভিএম একই সঙ্গে ফিরিয়ে আনা হয়। একবার ব্যবহৃত ইভিএম পৌঁছে গেলে প্রার্থী বা তাঁর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে স্ট্রং রুম সিল করে দেওয়া হয়। এবারেও প্রয়োজন বোধ করলে প্রার্থী বা তাঁর প্রতিনিধিরা সিলের উপর স্বাক্ষর করতে পারেন। এমনকি তাঁরা ২৪ ঘণ্টা স্ট্রং রুমের উপর নজরও রাখতে পারেন। একবার সিল করার পর ভোটগণনার দিন সকালের আগে স্ট্রং রুম আর খোলা যায় না। যদি স্ট্রং রুম অনিবার্য কারণে খুলতেই হয় তাহলে তা খোলা যায় প্রার্থী বা তাঁর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে, যাঁরা আবার স্ট্রং রুম সিল করার সময়ে নিজেদের মত করে ফের তালা দিতে পারেন বা সিল করতে পারেন। স্ট্রং রুম পাহারা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয় তিন বলয়ের নিরাপত্তা। মধ্যবর্তী বলয়ে থাকে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। ভোটের ফলের দিন, গণনা শুরু হয় প্রার্থী বা তাঁর পোলিং এজেন্ট মেশিন নম্বর এবং সিল পরীক্ষা করার পর। সবিস্তারে পড়ুন, এই প্রতিবেদনে স্ট্রং রুম থেকে বুথ পর্যন্ত কী ভাবে আনা-নেওয়া করা হয় ইভিএম
Web Title:
জোর কদমে চলছে ভোটগণনা। দিল্লির সিংহাসন কার দখলে, সেদিকে নজর আমজনতার। দিনের শেষে আসন অঙ্কে ফের একবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় মোদী সরকার। অন্যদিকে বাংলায় চলছে বিজেপি তৃণমূলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। গোটা দেশের নেট স্যাভি নাগরিকরা ক্রমন্বয়ে সার্চ করে চলেছেন, কার দখলে দিল্লি? কাজেই তাঁরা বারবার ঢুঁ মারছেন নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে। যার ফলে গণনার মাঝপথে হঠাৎই মুখ থুবড়ে পড়ে কমিশনের ফলাফল প্রকাশের ওয়েবসাইট। বিস্তারিত পড়ুন, এই প্রতিবেদনে ভোটগণনার মাঝে মুখ থুবড়ে পড়ল নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট
উনিশের জয় দেশবাসীর জয়, এ ভাষাতেই জয়ের ব্যাখ্যা করলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যদি কেউ জেতেন, তাহলে দেশবাসী জিতেছেন। এটা গণতন্ত্রের জয়। সমস্ত বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি’’, বললেন নরেন্দ্র মোদী।
বাংলায় ভোটে হিংসা নিয়ে ফের সরব অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সাফল্য প্রসঙ্গে মোদী সেনাপতি বলেন, ‘‘বাংলায় এত অত্যাচার সত্ত্বেও ১৮টি আসনে বিজেপি জিতছে। আগামী দিনে বাংলায় আরও বিস্তার করবে বিজেপি’’, বললেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ’’।
ফের কেন্দ্রে মোদী সরকার। জয়ের সাফল্য নিয়ে বিজেপি সদর দফতরে অমিত শাহ বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই জয় ঐতিহাসিক। স্বাধীনতার পর এই প্রথম ঐতিহাসিক জয়। বিজেপি কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের ফল এই জয়’’।
এই প্রথমবার এ-কংগ্রেসি সাংসদ পাচ্ছে আমেঠি। নিজের কেন্দ্রে হেরে গেলেন রাহুল গান্ধী। আমেঠিতে এবার জিতলেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। ৩৫ হাজার ভোটে জিতলেন স্মৃতি। রাহুল বলেন, ‘‘আমেঠির মানুষ যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মেনে নিলাম। স্মৃতি ইরানিজিকে বলব, উনি যেন ভাল ভাবে আমেঠির দেখভাল করেন’’।
গোরখপুর কেন্দ্র থেকে ৩ লক্ষ ১ হাজার ৬৬৪ ভোটে জয়ী বিজেপি প্রার্থী রবি কিষাণ। ‘‘সত্যের জয় হল’’, জিতে প্রতিক্রিয়া প্রার্থীর।
দ্বিতীয় বার সরকারে গড়ছে মোদীবাহিনী, শুভেচ্ছা জানালেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। টুইট করে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, ‘‘অভূতপূর্ব জয়ের জন্য মোদীকে অভিনন্দন...’’।
নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি কর্মীদের শুভেচ্ছা জানালেন পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‘মানুষের রায় আমরা মেনে নিয়েছি। মোদী ও বিজেপি কর্মীদের অভিনন্দন’’।
মোদীকে শুভেচ্ছা জানালেন রাহুল। ‘‘মানুষ রায় দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দেশের মানুষ মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চেয়েছেন। আমি দেশবাসীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি’’, সাংবাদিক বৈঠকে বললেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর। অন্যদিকে, আমেঠিতে পরাজয়ের মুখে রাহুল গান্ধী। এ প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘‘আমেঠির মানুষ যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মেনে নিলাম। স্মৃতি ইরানিজিকে বলব, উনি যেন ভাল ভাবে আমেঠির দেখভাল করেন’’।
আবারও ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ সরকার। নরেন্দ্র মোদীকে জয়ের শুভেচ্ছা জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের মুখে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। পুলওয়ামাকাণ্ডের পর ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের জেরে ভারত-পাক সম্পর্কে আরও চিড় ধরে।
২ লক্ষ ৯৮ হাজার ১৮৫ ভোটে এগিয়ে বিজেপির প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। ভোপালে এবার বিজেপির প্রজ্ঞার সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন কংগ্রেসের দিগ্বীজয় সিং। প্রসঙ্গত ভোটের মুখে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে ছিলেন প্রজ্ঞা।
নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা জানালেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি। পাশাপাশি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আডবানি। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে বেশ কয়েকবার মোদী-শাহর নেতৃত্বের সমালোচনা জানিয়ে মুখর হয়েছিলেন আডবানি। এ নিয়ে ব্লগও লিখেছিলেন তিনি। অন্যদিকে, এবার গান্ধীনগরে ভোটের টিকিট না দেওয়া নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে আডবানি ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন বলে খবর।
শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন কানহাইয়া কুমার। বেগুসরাইয়ে এবার সিপিআই প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন কানহাইয়া। বিজেপি প্রার্থী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে লক্ষাধিক ভোটে হারলেন কানহাইয়া। সবিস্তারে পড়ুন, এই প্রতিবেদনে বেগুসরাইয়ে পরাজিত কানহাইয়া, বাকি আসনে এগিয়ে কারা?
শেষ দফার নির্বাচনের আগে প্রথমবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে বলেছিলেন ‘‘তিনশোরও বেশি আসন পেয়ে আবারও সরকার গড়বে বিজেপি’’। মোদীর সেই কথাই ফলে গেল। ট্রেন্ড অনুযায়ী তিনশোরও বেশি আসনে এবার জিতছে এনডিএ। ইতিমধ্যেই তাঁকে জয়ের অভিনন্দন জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীরা। লোকসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে এই প্রথমবার মুখ খুললেন ‘উচ্ছ্বসিত’ মোদী। টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন ‘‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস = বিজয় ভারত’’। নমো লিখেছেন, ভারত আবারও জয়ী হল।
নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়ে টেলিগ্রাম করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিহারের পাটনাসাহিবে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ২৪৯ ভোটে এগিয়ে বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ। পিছিয়ে সদ্য বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া শত্রুঘ্ন সিনহা।
বারাণসী থেকে নরেন্দ্র মোদী এগিয়ে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩৩৫ ভোটে। কেরালার ওয়েনাড়ে ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬২৬ ভোটে এগিয়ে রাহুল গান্ধী। রায়বরেলিতে ৩৭ হাজার ১৯২ ভোটে এগিয়ে সোনিয়া গান্ধী, গান্ধীনগরে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৭৫৬ ভোটে এগিয়ে অমিত শাহ।
জয়ের পথে মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা ও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। ফোন করে মোদী ও অমিত শাহকে শুভেচ্ছা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা লখনউয়ের বিজেপি প্রার্থী রাজনাথ সিং।
‘বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশের’ লক্ষ্যপূরণ থেকে শতহস্ত দূরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব হিসেবনিকেশ পাল্টে দিয়েছে উনিশের রায়। মোদী বাহিনীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধীদের জোট বাঁধতে যিনি মূল কাণ্ডারী ছিলেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মুখ খুললেন লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে। এখনও জয়ীদের নাম ঘোষণা না হলেও, ট্রেন্ড অনুযায়ী আবারও দেশে গড়ছে মোদী সরকার। আর বাংলায় নজিরবিহীন ভাবে উত্থান ঘটেছে বিজেপির। উনিশের নির্বাচনের ফল দেখে স্বভাবতই মুখভার বিরোধী শিবিরের। এমন মুহূর্তেই নীরবতা ভেঙে টুইটে মমতা লিখলেন, ভোটে হারা মানেই হেরে যাওয়া নয়। পাশাপাশি জয়ীদের অভিনন্দন জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
মুম্বইয়ে বিজেপির কার্যালয়ের বাইরে উল্লাসে মাতলেন কর্মীরা।
শেয়ার বাজারে ইতিহাস। রাজনীতির হাওয়া কোন খাতে বইবে তা নিয়ে দেশজুড়ে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যার প্রভাব পড়ল শেয়ার বাজারে। বাজার খুলতেই শেয়ারের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এখনও অবধি প্রাইমারি ট্রেন্ডে বাংলায় তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও গোটা দেশজুড়ে এগিয়ে গেরুয়া বাহিনী। আজ বাজার খোলে ৫৩৮ পয়েন্টের বেশিতে। সেই সময় শেয়ার বাজার ছিল ৩৯,৬৪৮.২২ পয়েন্টে। নিফটিও ১৪১ পয়েন্ট বেশিতে খোলে। নিফটি পৌঁছে গিয়েছে ১১, ৮৩৮.১৫-এ। গণনায় প্রাইমারি ট্রেন্ডে চড়চড় করে বাড়ছে শেয়ার বাজার। সবিস্তারে পড়ুন, এই প্রতিবেদনে ভোটগণনা শুরু হতেই শেয়ার বাজারে ইতিহাস
লোকসভা নির্বাচনে এনডিএর জয় নিয়ে বিরোধীদের খোঁচা দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এদিন টুইটে আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী লিখেছেন, ‘‘বিরোধী ও রাহুল গান্ধীরা অভিযোগ করছেন, শুধুমাত্র ইভিএম নয়, টিভি রিমোটও হ্যাক করা হয়েছে, যে চ্যানেলই দেখছি, সেখানেই এনডিএর জয়ের ছবি ধরা পড়ছে’’। প্রসঙ্গত, ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ জানিয়ে এসেছে বিরোধীরা। এক্সিট পোলের ফল প্রকাশের পরও বিরোধীরা আশঙ্কা করেছিলেন, ইভিএম বদল করা হতে পারে।
লোকসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই এবার বিশেষ নজরে ছিল বাংলা। একদিকে মমতার ‘বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশের’ টার্গেট। অন্যদিকে, অমিত শাহের, ২৩ আসনে জেতার টার্গেট। বঙ্গভূমিতে পদ্মফুল ফোটাতে এবার কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মোদী-শাহরা। ভোটের প্রচারে বারবার দিল্লি থেকে বাংলায় এসেছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। বাংলায় প্রচারে ‘বাংলায় পরিবর্তনের সূর্য উঠবে’ বলে স্লোগান তুলেছিলেন মোদী সেনাপতি। উনিশের রায় বলছে, বাংলায় এবার মমতাবাহিনীকে জোর টক্কর দিচ্ছে পদ্মবাহিনী। এখনও পর্যন্ত ট্রেন্ডের হিসেব অনুযায়ী, বাংলায় বড়সড় উত্থান ঘটছে বিজেপির। সবিস্তারে পড়ুন, এই প্রতিবেদনে বাংলায় কোন প্রার্থী এগিয়ে, কে পিছিয়ে?