বিজেপি-র পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের ছায়া-সঙ্গী সোনালি গুহ। ইতিমধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে সোনালির। গেরুয়া শিবিরের বৈঠকের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন মুকুল রায়।
শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন অনেকে। সেই তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম সোনালি গুহ। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রার্থী তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়নি তাঁকে। শুক্রবারই এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। নেত্রীর এই সিদ্ধান্ত অবিশ্বাস্য বলে জানান সাতগাছিয়ার বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক। সংবাদমাধ্যমের সামনে কেঁদেও ফেলেন তিনি। জানা গিয়েছে,শনিবার সকালে মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। বিজেপি দফতর হেস্টিংসে সাংবাদিক বৈঠকে অবশ্য এই ফোনালাপের বিষয়টি কার্যত মেনে নেন মুকুল রায়।
গেরুয়া দলের হয়ে কী প্রার্থী হতে পারবেন সোনালীদেবী? সূত্রের খবর, সোনালী জানিয়েছেন, তিনি প্রার্থী হতে চান না, তবে বিজেপির হয়ে নির্বাচনী প্রচারের অংশীদার হতে চান।
আরও পড়ুন- টিকিট না পেয়ে ‘অপমানিত’, শর্ত দিয়ে বিজেপিতে জটু লাহিড়ি
আরও পড়ুন- বাদ ৬৪ বিধায়ক, তৃণমূলের ‘বিক্ষুব্ধ’দের ভিড় বাড়ছে মুকুলের দরবারে
শনিবার সকালে সংবাদ মাধ্যমকে সাতগহাছিয়ার বিদায়ী বিধায়ক বলেন, 'মমতাদির সঙ্গে আমার রাজনৈতিক সম্পর্ক নয়, পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। মমতাদির বাড়িতে খুঁজলে হয়তো এখনও আমার জামাকাপড় পাওয়া যাবে। কী আর বলব! আমি কেঁদেই যাচ্ছি। ওঁকে স্বামীর থেকে বেশি সম্মান দিতাম। ওঁকে সন্তানের থেকে বেশি ভালোবাসি। শ্রীকৃষ্ণের দুটো মা, আমারও দুটো মা। মমতাদির মা, আমার মা।'
পাশাপাশি সোনালী গুহ তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেন, 'আমি রাজনৈতিক ব্য়ক্তিত্ব, বসে থাকতে পারি না। আমার সঙ্গে দলের কেউ যোগাযোগ করেনি। বিজেপি থেকেও কেউ কিছু বলেলনি।'
এরপরই মুকুল-সোনালী কথোপকথনের বিষয়টি প্রাকাশ্যে আসে। যা ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন