বিহার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের আগে বাকযুদ্ধে উত্তপ্ত রাজনীতি। একদিকে শাসকগোষ্ঠী এনডিএ জোট অন্যদিকে প্রতিপক্ষ আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাজোট। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ, কুকথার সীমা ছাড়াচ্ছেন বিজেপি-জেডিইউ নেতারা।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে তেজস্বী যাদবকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বলেন, "যে দশম শ্রেণির গণ্ডি পেরতে পারেনি, ইস্যুই জানে না সে কী করে নীতীশ কুমারের মতো ইঞ্জিনিয়ারের সমালোচনা করে! তেজস্বী তো ঠিক করে ক্যাবিনেট বানান লিখতে পারে না। ওর বাবার মন্ত্রিসভায় ১ লক্ষ চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কিন্তু ও চাকরির আবেদনের জন্য টাকা নিয়ে সেই কাগজ আবর্জনায় ফেলে দিয়েছে।"
আরও পড়ুন বিজেপির ভ্যাকসিন প্রতিশ্রুতি নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করেনি, সাফ জানাল কমিশন
এদিন ভারতের লৌহপুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেন তেজস্বী যাদব। কিন্তু সেই টুইটে আয়রন ম্যান লিখতে গিয়ে ইরান ম্যান লিখে ফেলেন। যা নিয়ে পাল্টা টুইট করে বিহার বিজেপি তেজস্বীকে ট্রোল করে। তারপরেই তেজস্বীর পড়াশোনা নিয়ে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অশ্বিনী চৌবে আরজেডি-কংগ্রেস জোটকে গাপ্পু অবং পাপ্পু নাম দিয়ে কটাক্ষ করেন। মহাজোটের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি থেকে মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য বার্তা দেন চৌবে।
এদিকে, ছাড়ার পাত্র নন তেজস্বীও। শনিবার তিনি অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জমানায় বিহারে ৩০ হাজার কোটি টাকার ৬০টি দুর্নীতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে নাকি পাঁচ বছর আগের বিধানসভা নির্বাচনে ৩৩টি দুর্নীতির কথা উল্লেখ করেছিলেন। তখন আরজেডি-জেডিইউ মহাজোট ক্ষমতায় আসে। ধান, শৌচালয় নির্মাণ এবং পড়ুয়াদের স্কলারশিপ নিয়ে দুর্নীতির কথা উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, দাবি তেজস্বীর।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন