প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ডের পর নীতীশ কুমার সরকারকে তুলোধোনা করছে বিরোধীরা। আরজেডির নেতৃত্বাধীন মহাজোট মুঙ্গেরের হিংসার ঘটনায় কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে। তেজস্বী যাদব বিহারে ডবল ইঞ্জিন সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছেন, "নীতীশ কুমারকে জেনারেল ডায়ার হতে কে অনুমতি দিয়েছে? টুইট করা ছাড়া উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী কী করেছেন?" এই হিংসার ঘটনায় হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তেজস্বী।
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা এককদম এগিয়ে বিহারের এনডিএ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। কটাক্ষ করে বলেছেন, "নির্দয় কুমারের নেতৃত্বে নির্মম মোদী সরকার চলছে বিহারে।" প্রসঙ্গত, মুঙ্গেরের দীর্ঘদিনের প্রথা বড় দুর্গা আগে বিসর্জন হবে। কিন্তু পুলিশ সোমবার মধ্যরাতের মধ্যে ২৫টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য চাপ দিতে থাকে। বহু পুজো কমিচির উদ্যোক্তা পুলিশের এই নির্দেশের প্রতিবাদ জানায়। পুলিশের উপর ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে উত্তেজিত জনতা। এতে ২০ জন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে সংগ্রামপুর, কোতয়ালি এবং কাসিমবাজারের আইসিও ছিলেন।
আরও পড়ুন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে রণক্ষেত্র মুঙ্গের, পুলিশের গুলিতে নিহত স্থানীয় বাসিন্দা
পুলিশ ভিড়ের মধ্যে দেশি পিস্তল এবং খালি কার্তুজ উদ্ধার করে। উত্তেজনা না থামায় পুলিশ শূন্যে গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সেই পুলিশের গুলিতে স্থানীয় বাসিন্দা অনুরাগ পোদ্দারের মৃত্যু হয়। স্থানীয় আরও চারজন বাসিন্দা গুরুতর আহত হন। মুঙ্গেরের পুলিশ সুপার লিপি সিং জানিয়েছেন, ২৬ জন পুলিশকর্মী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে দোষীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু হিন্দুদের বড় উৎসব দুর্গাপুজোয় প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে পুলিশি জুলুম ভাল চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহল। মুঙ্গেরের ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে বিহারের এনডিএ সরকার।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন