Advertisment

West Bengal Major Constituencies in Lok Sabha Election 2019: বাংলার রায় কোন দিকে, চোখ রাখুন বাছাই ১৮ কেন্দ্রে

বাংলা জুড়ে জোর লড়াই তৃণমূল বনাম বিজেপি-র। কয়েকটি কেন্দ্রে লড়াইতে আছে সিপিএম, কংগ্রেসও। রাজ্যের সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল কেন্দ্রগুলিতে নজর রাখুন ফলপ্রকাশের আগে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
2019 Lok Sabha Election Important Seats, Election 2019 major Constituency

রাজ্যে জোর লড়াই তৃণমূল-বিজেপির

Lok Sabha Election 2019 Major Constituency in West Bengal: দেশ চালাবে কে? উত্তরের জন্য মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। গোটা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে কী ফল হবে, তা নিয়েও উত্তেজনা তুঙ্গে। কারণ, এবারের নির্বাচনে বাংলার ফলাফল বিশেষ নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। তাই রাজ্যের আসনগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কোনগুলি, সে প্রসঙ্গে চর্চা এখন তুঙ্গে। এই আসনগুলিতে কারা এগিয়ে, কারা পিছিয়ে, তা জানতে মুখিয়ে জনতা? আগ্রহের কারণ নানাবিধ, বহু প্রার্থীই নিজেরা না জিতলেও ভোট কেটে প্রতিপক্ষের যাত্রাভঙ্গ করতে পারেন। ফলে, বিশেষ নজর থাকবে সেদিকেও। এবার ফলপ্রকাশের আগে রাজ্যের হাই-প্রোফাইল কেন্দ্রগুলির উপর চোখ বুলিয়ে নিন একনজরে-লোকসভা

Advertisment

 লোকসভা নির্বাচনের সব খবর পড়ুন এখানে

Darjeeling lok sabha constituency, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র

অনেক বছর পরে পাহাড়ে এ-বার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা। খাতায়-কলমে প্রার্থীদের নাম যা-ই হোক, রাজনৈতিক মহলের অভিমত, আদতে এই নির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিমল গুরুং-এর সম্মুখসমর। পাহাড়ে গুরুং নিজের রাজনৈতিক জমি ফেরাতে পারবেন, নাকি মুখ্যমন্ত্রীর দাপট আরও তীব্র হবে, তা নির্ধারণ করে দেবে ২৩ মে-র ফলাফল।

সুভাষ ঘিষিং-এর আমল থেকে পাহাড়ের তিনটি বিধানসভায় একতরফা ভোট করত জিএনএলএফ। ঘিষিংকে সরিয়ে বিমল ক্ষমতাদখল করার পর নির্বাচনের চাবিকাঠি থাকত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার হাতে। কিন্তু এবার কার্যত আড়াআড়ি দু-ভাগ হয়ে গিয়েছে মোর্চা। গ্রেফতারি এড়াতে আত্মগোপনে গিয়েছেন গুরুং। কিন্তু খেলা শেষ হয়নি। বিনয় তামাং খাতায়-কলমে মোর্চার সর্বেসর্বা হলেও পাহাড়ের অলিগলিতে এখনও সক্রিয় বিমলের অনুগামীরা। বিনয়পন্থী মোর্চা সমর্থিত তৃণমূল প্রার্থী অমর সিং রাইকে হারাতে বিমল সমর্থন করেছেন বিজেপি-র রাজু বিস্তকে। মুখ্যমন্ত্রীও পাহাড়ে বিমলের দাপট মুছে ফেলতে মরীয়া। সিপিএমের সমন পাঠক এবং কংগ্রেসের শংকর মালাকার প্রচারে থাকলেও লড়াইতে নেই। আবার,  প্রথমে তৃণমূলের পাশে থাকার কথা বললেও শেষপর্যন্ত নিজে দাঁড়িয়ে পড়েছেন প্রাক্তন মোর্চা নেতা হরকাবাহাদুর ছেত্রীও। তিনি কার ভোট কাটবেন, তা নিয়েও জল্পনা চরমে। সবমিলিয়ে, দার্জিলিং জমজমাট।

আরও পড়ুন- উনিশের ভোটের লড়াইয়ে নজরে বাংলার এই তারকা প্রার্থীরা

Alipurduar lok sabha constituency, আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্র

রাজ্যের যে কয়েকটি আসনের জয়ের ব্যাপারে দিল্লিকে কার্যত কথা দিয়ে রেখেছেন মুরলীধর সেন লেনের নেতারা, সেগুলির অন্যতম আলিপুরদুয়ার। বাস্তবে, চা বলয়ে আরএসপির দীর্ঘদিনের আধিপত্যে ফাটল ধরিয়ে আলিপুরদুয়ারে গেরুয়া হাওয়া বেশ প্রবল

এই লোকসভার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে গেরুয়া শিবিরের কাজ দীর্ঘদিনের। ২০১৪ সালের ভোটে তৃণমূল প্রার্থী দশরথ তিরকে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হলেও ব্যবধান ছিল বেশ কম। আরএসপি ৩ লক্ষ ৪১ হাজার এবং বিজেপি ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ভোট পেয়েছিল। গত ৫ বছরে অনেকখানি বদলে গিয়েছে ছবিটা। বামেদের পিছনে ফেলে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে উঠে এসেছে বিজেপি। ২০১৬ সালে মাদারিহাটি বিধানসভায় জিতেছেন পদ্ম শিবিরের মনোজ টিগ্গা। প্রবল মমতা হাওয়া সত্ত্বেও কালচিনিতে মাত্র ২০০০ ভোটে তৃণমূলের কাছে হেরেছে বিজেপি। নাগরাকাটাতেও প্রায় ৫০ হাজার ভোট পেয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল। এবার বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছেন জন বার্লা, যাঁর নিজস্ব আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক আছে। মোর্চার একাংশের সমর্থনও তিনি পাচ্ছেন। সবমিলিয়ে ডুয়ার্সের এই কেন্দ্রে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূলও মরীয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে তরাই-ডুয়ার্সের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে প্রচার করছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতারা। আর বামেদের আশা, চা-বলয়ে সিপিএম ও আরএসপি-র পুরনো ভোট যদি ধরে রাখা সম্ভব হয়, তাহলে সবুজ-গেরুয়ার ভোট কাটাকাটির সুযোগে বাজিমাত করতে পারেন তাঁরা।

আরও পড়ুন- ‘মাটির রসগোল্লা’ থেকে ‘থাপ্পড়’, উনিশের প্রচার মাত করলেন মমতা

Maldaha uttar lok sabha constituency, মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্র 

প্রয়াত কংগ্রেস নেতা এ বি এ গণিখান চৌধুরির খাসতালুকে এ-বার ভোটের লড়াই কার্যত কোতোয়ালির গৃহযুদ্ধ।

টানা ১০ বছরের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর এবার শিবির পাল্টে জোড়াফুলের প্রার্থী হয়েছেন। তৃণমূলে যোগদানের সঙ্গেসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, মালদা উত্তর আসনে মৌসমই তাঁর প্রার্থী। তড়িঘড়ি কোতোয়ালিরই আরেক শরিক ঈশা খান চৌধুরিকে প্রার্থী ঘোষণা করে কংগ্রেস। ভাই-বোনের লড়াইতে প্রথমে পিছিয়ে থাকলেন প্রচার যত এগিয়েছে গণি-আবেগে ভর করে মৌসমকে কড়া টক্কর দিয়েছেন ঈশা।

কংগ্রেস-তৃণমূলের এই লড়াইতে নতুন রং দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। দীর্ঘদিনের সিপিএম বিধায়ক খগেন নির্বাচনের প্রাক্কালে দল বদলে গেরুয়া শিবিরে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছে বামেদের সংগঠিক ভোটের একাংশ এবং পুরনো আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক। ২০১৪ সালে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ে জেতা মৌসম পেয়েছিলেন ৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ভোট। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএমের প্রার্থী খগেন। পেয়েছিলেন ৩ লক্ষ ২২ হাজার ভোট। দু-জনেই এবার দল বদলেছেন। গণি-গড়ে কি ফের কোতোয়ালির দুই সন্তানের কারও আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, নাকি বাম ভোটে ভর করে বাজিমাত করবে বিজেপি, সেই উত্তর মিলবে ২৩ মে।

আরও পড়ুন- ‘অহংকারী’ মমতার রাজ্যে উনিশের ভোটে কী কী বললেন মোদী?

Raiganj lok sabha constituency, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র

উত্তর দিনাজপুরের এই কেন্দ্রে এ-বার প্রকৃত অর্থেই 'কাঁটে কী টক্কর'। ২০১৪ সালে মাত্র হাজার দুয়েক ভোটের ব্যবধানে কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম। দু-লক্ষের বেশি ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিল বিজেপি, তৃণমূল ছিল চতুর্থ স্থানে। গত ৫ বছর মাটি কামড়ে সেলিম এলাকায় পড়ে থেকেছেন ঠিকই, কিন্তু সিপিএমের সংগঠন ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। রায়গঞ্জ আসনে কে প্রার্থী দেবে তা নিয়ে বিতণ্ডার জেরেই ভেস্তে গিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। হাত চিহ্ন নিয়ে ফের ভোটে দাঁড়িয়েছেন দীপা। তৃণমূল প্রার্থী করেছে কংগ্রেস ছেড়ে আসা কানহাইয়ালাল আগরওয়ালকে।

রায়গঞ্জের ভোটের হাওয়ায় প্রভাব ফেলেছে ইসলামপুরের দাড়িভিটে পুলিশের গুলিকে দুই স্কুলপড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনাও। ওই ঘটনাকে ভোটের বাক্সে নিয়ে আসতে তৎপর হয়েছে বাম-বিজেপি দু-পক্ষই। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অবশ্য অভিমত, দৃশ্যত কিছুটা ব্যাকফুটে থাকলেও গত কয়েকমাসে সক্রিয় হয়েছে তৃণমূলের সংগঠন। ফলে, আপাতত, রায়গঞ্জে কেউই এগিয়ে নেই, পিছিয়েও নেই কেউ। অপেক্ষা তেইশে মে-র।

আরও পড়ুন- বাংলার নির্বাচনী প্রচারে অমিত-বাণী, পড়ুন এক ঝলকে

Beharampur lok sabha constituency, বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র

এমন নির্বাচন গত ২০ বছরে দেখেনি বহরমপুর অধীর-দুর্গ অটুট থাকবে, নাকি শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে আরও দীর্ঘ হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়া, তার উত্তর মিলবে ২৩ মে।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই অধীর চৌধুরির সাম্রাজ্য ধ্বস নামিয়েছে তৃণমূল। জেলা পরিষদ হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। অধিকাংশ বুথে এজেন্টও দিতে পারেননি অধীর। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় তাঁর বিশ্বস্ত সেনাপতিরা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। বহরমপুরে তাই মোদী বা মমতা নন, ভোটের কেন্দ্রে অধীর। শুভেন্দু অধিকারীকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে মুর্শিদাবাদে পাঠিয়েছেন মমতা। এখনও পর্যন্ত অধীরকে কোণঠাসা করার সেই দায়িত্বে সফল শুভেন্দু।

অধীরের বিরুদ্ধে এবার জোড়া ফুলের প্রার্থী হয়েছেন অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড। অধীরের হাত ধরেই রাজনৈতিক উত্থান কান্দির এই প্রাক্তন বিধায়কের। রাজ্যের অন্যত্র যখন ত্রিমুখী বা চর্তুমুখী লড়াই, বহরমপুরে তখন সরাসরি অধীর বনাম তৃণমূল। সিপিএম এই কেন্দ্রে প্রার্থী না দিয়ে সমর্থন করেছে অধীরকে। আরএসপি আলাদা ভাবে লড়লেও বাম ভোটের কতখানি পাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে দলেই। বিজেপি-র সংগঠন দুর্বল।

Jangipur lok sabha constituency, জঙ্গীপুর লোকসভা কেন্দ্র

আপাতদৃষ্টিতে কংগ্রেসের প্রায় নিশ্চিত আসন। কিন্তু মুর্শিদাবাদের এই কেন্দ্রের গুরুত্ব তার বর্তমান সাংসদ তথা এ-বারের কংগ্রেস প্রার্থীর পিতৃপরিচয়ের জন্য়ই। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র এ-বারও হাত প্রতীকের প্রার্থী। তাঁকে হারাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী করেছেন স্থানীয় বিড়ি ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানকে। সিপিএমের প্রার্থী জুলফিকার আলি, বিজেপি-র সংখ্যালঘু প্রার্থীর নাম মাহফুজা খাতুন। এই কেন্দ্রের কয়েকটি পকেটে শক্ত সংগঠন রয়েছে ওয়েলফেয়ার পার্টি নামে একটি দলের। তাদের প্রার্থী এস কিউ আর ইলিয়াস দিল্লির ছাত্রনেতা উমর খালিদের বাবা। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, অভিজিতকে জেতাতে সক্রিয় হয়েছে আরএসএস। ঘটনাচক্রে, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জঙ্গীপুরে একমাত্র হিন্দু প্রার্থী প্রণবের পুত্রই। অভিজিৎ দিল্লি যাওয়ার হ্যাট্রিক করবেন, নাকি খলিলুর তাঁকে হারাতে পারবেন, নজর সেই দিকেই।

Krishnanagar lok sabha constituency, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র

রাজ্যের যে দু-টি কেন্দ্রে মোদী জমানার আগে থেকেই বিজেপি-র শক্ত ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে, তার একটি কৃষ্ণনগর। ১৯৯৯ সালে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে জিতেছিলেন সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। গত কয়েক বছরে তৃণমূলের একচেটিয়া দাপটে ক্রমশ ফিকে হয়েছে গেরুয়া রং। তা সত্ত্বেও প্রায় আড়াই লক্ষ কমিটেড ভোট রয়েছে বিজেপি-র। ২০১৪ সালে ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের তাপস পাল। দ্বিতীয় সিপিএমের শান্তুনু ঝা পেয়েছিলেন ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ভোট। মোদী হাওয়া সত্ত্বেও বিজেপি ছিল তৃতীয় স্থানে।

গত ৫ বছরে অনেকখানি বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। বামপন্থীদের সংগঠন ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষে মেরুকরণের হাওয়া রয়েছে। তৃণমূলের মহুয়া মিত্রের প্রধান প্রতিপক্ষ এখানে সিপিএমের শান্তুনু নন, জাতীয় দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণ চৌবে। কিন্তু লক্ষাধিক ভোটের ফারাক কি মুছতে পারবে বিজেপি? উত্তর মিলবে ২৩ মে।

 Ranaghat loksabha constituency, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র

সীমান্তবর্তী কেন্দ্র হওয়ায় রানাঘাটে লড়াইতে আছে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূলের সাংগঠনিক ব্যূহ ভেদ করে আদৌ বাজিমাত করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন জেলার বিজেপি নেতারাই।

রানাঘাটে এবার তৃণমূলের বড় ভরসা প্রার্থীর পক্ষে সহানুভূতির হাওয়া। নির্বাচনের দিন ঘোষণার প্রাক্কালে আততায়ীদের হাতে খুন হন তৃণমূল নেতা সত্যজিত বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন. রানাঘাটে জোড়া ফুলের প্রার্থী হবেন সত্যজিতের স্ত্রী রূপালী।বিজেপি-র টিকিটে লড়ছেন জগন্নাথ সরকার। সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন রমা বিশ্বাস।

রানাঘাট সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় আশায় কোমর বেঁধেছে বিজেপি। তাদের পক্ষে মেরুকরণের হাওয়াও রয়েছে। কিন্তু লেকসভার সর্বত্র গেরুয়া শিবিরের সংগঠন নেই। তাই হাওয়া থাকলেও তাকে ঝড়ে পরিণত করা যাবে কিনা তা নিয়ে দলের অন্দরেই সংশয় রয়েছে। কারণ, ২০১৪ সালে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপি-র ব্যবধান ছিল সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি। অন্যদিকে, দৃশ্যতই তৃতীয় শক্তিতে পরিণত হওয়া সিপিএমের চেষ্টা গতবারের প্রায় পৌনে চার লক্ষ ভোট ধরে রাখা।

আরও পড়ুন- উনিশের রায়ের আগে একঝলকে বাংলার ৪২ কেন্দ্র

Barrackpore lok sabha constituency, ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র

সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের যে কেন্দ্রগুলিকে নিয়ে উৎসাহ সবচেয়ে বেশি, তার অন্যতম ব্যারাকপুর। ভাটপাড়ার চারবারের বিধায়ক অর্জুন সিং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-র প্রার্থী হওয়ার পর ব্যারপুর কেন্দ্রের চালচিত্র বদলে গিয়েছে। প্রচারে তো বটেই, ভোটের দিনও তৃণমূল শিবিরের সঙ্গে কড়া টক্কর দিয়েছে অর্জুন-বাহিনী। কিন্তু দাপুটে, বাহুবলী অর্জুনের লড়াইটাও সহজ নয়। কারণ প্রতিপক্ষের নাম দীনেশ ত্রিবেদী। ঠাণ্ডা মাথার বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ হিসাবে পরিচিত দীনেশ নির্বাচন ঘোষণার পর তাঁর চারপাশে জড়ো করেছেন অর্জুনের কট্টর বিরোধী হিসাবে পরিচিত স্ট্রং-ম্যানদের। অন্যদিকে, প্রথমে কেউ ধর্তব্যের মধ্যে না আনলেও সিপিএম প্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায় প্রচারে পাল্লা দিয়েছেন বাকি দু-জনের সঙ্গে। তিনি কার ভোট কাটবেন, নজর সেদিকেও। ফলে ব্যারাকপুরে শেষ পর্যন্ত কোন ফুল ফুটবে, তা নিয়ে আগ্রহ চরমে।

Basirhat lok sabha constituency, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র

বসিরহাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোড়া ফুলের টিকিট দিয়েছেন টলিউডের অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে। রূপোলী পর্দার নায়িকাকে দেখতে ভিড় উপচে পড়েছে ঠিকই, কিন্তু তার প্রতিফলন কি ইভিএমে পড়বে? সাংগঠনিক শক্তির বিচারে বিরোধীদের তুলনায় কয়েক যোজন এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। কিন্তু সংশয় রয়েছে মূলত দু-টি কারণে। প্রথমত, কংগ্রেসের প্রার্থী কাজী আব্দুর রহিম দিলুর উপস্থিতি। দ্বিতীয়ত, মেরুকরণের হাওয়া। বসিরহাটে কংগ্রেসের পুরনো ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। তাছাড়া সংখ্যালঘু সমাজের একাংশে দিলু অত্যন্ত জনপ্রিয়। ফলে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটের একটি অংশ যদি কংগ্রেস কেটে নেয়, তাহলে সমস্যায় পড়বেন নুসরত। তাছাড়া, সীমান্তবর্তী কেন্দ্রে মেরুতরণের হাওয়ার গতি পেয়েছে গত দেড় বছরে। হিন্দু ভোট একজোট হওয়ার াশায় রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু। এক সময়ে বসিরহাট ছিল সিপিআই দলের দুর্গ। কিন্তু এখন বামেরা কার্যত লড়াইতেই নেই। বামপ্রার্থী পল্লব সেনগুপ্ত রাজনাতিক কারণে ১১৭টি দেশে সফর করেছেন ঠিকই, কিন্তু বসিরহাট তাঁর জন্য কঠিন ঠাঁই।

Dumdum loksabha constituency, দমদম লোকসভা কেন্দ্র

দমদমে এবার ত্রিমুখী লড়াই। বামপ্রার্থী নেপালদেব ভট্টাচার্য নাকি বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্য- কে তৃণমূলের সৌগত রায়ক হারানোর ক্ষমতা ধরেন, তা নিয়ে লাল-গেরুয়ার তরজা চলছেই। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে তৃণমূলের থেকে বামেরা হাজার পঞ্চাশ ভোটে পিছিয়ে। অন্যদিকে বিজেপি পিছিয়ে রয়েছে প্রায় চার লক্ষ ভোটে। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে বামেরা এই পাটিগণিত প্রচার করছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁরা কি আদৌ ভোট ধরে রাখতেন পারবেন! সংশয় রয়েছে। কারণ তপন শিকদারের আমল থেকেই দমদমে বিজেপি-র নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। এবার গেরুয়া শিবিরের পক্ষে হাওয়াও বইছে।  তাই আশায় বুক বাঁধছে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে ভোটের বিপুল ব্যবধান কি মুছতে পারবেন শমীক? উত্তর মিলবে ২৩ মে।

আরও পড়ুন- বাংলায় কেমন হল ভোটযুদ্ধ? সাত দফার সাতকাহন একনজরে

Jadavpur lok sabha constituency, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র

যাদবপুর কেন্দ্র নিয়ে উৎসাহ চরমে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পুরনো আসনে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে প্রার্থী করেছেন। সিপিএমের টিকিটে লড়ছেন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। অন্য কেন্দ্রগুলিতে বিজেপি-র পক্ষে হাওয়া থাকলেও যাদবপুরে তা যেন খানিকটা ঢিমে। সিপিএমের আশা, যাদবপুর এবং টালিগঞ্জ বিধানসভায় তাঁরা এগিয়ে থাকলেন। তৃণমূলের ভরসা সোনারপুর উত্তর, সোনারপুর দক্ষিণ, বারুইপুর পূর্ব এবং বারুইপুর পশ্চিম। ভাঙড় নিয়ে দু-পক্ষই সংশয়ে। একদিকে আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, অন্যদিকে জমি কমিটির অলীক চক্রবর্তীরা। যাদবপুরে বিজেপি-র প্রার্থী অনুপম হাজরা। ভোটপ্রচারের মাঝেই তিনি বীরভূমে অনুব্রতের বাড়িতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। যাদবপুরের পুরনো দুর্গ কি ফেরাতে পারবেন বামেরা, নাকি রূপোলী পর্দার গ্ল্যামারে ভর করে ফের জোড়াফুল ফোটাবেন মিমি, উত্তর খুঁজছে সাত বিধানসভা।

Medinipur lok sabha constituency, মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র

রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী। তৃণমূলের প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। মেদিনীপুর লোকসভার সাত আসনের মধ্যে খড়গপুর ইতিমধ্যেই বিজেপি-র দখলে। মুরলীধর লেনের নেতাদের আশা, অন্তত চারটি বিধানসভায় লিড পাবেন দিলীপ। তাঁদের আশ্বস্ত করছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও। দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা মানসের পক্ষে তৃণমূলের ব্লক পর্যায়ের সবাই সক্রিয় ছিলেন কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। ফলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, এই কেন্দ্রে দুই ফুলের লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে পদ্মই। কিন্তু শক্ত সাংগঠনিক কাঠামোকে কাজে লাগিয়ে আসন ধরে রাখতে তৎপর তৃণমূলও। বাম এবং কংগ্রেসের প্রার্থী থাকলেও তাঁরা আলোচনায় নেই।

Purulia lok sabha constituency, পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্র

জঙ্গলমহলের এই আসনে জয় নিয়ে প্রবল আত্মবিশ্বাসী বিজেপি নেতারা। গত বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়া-সহ জঙ্গলমহল জুড়ে দাপট দেখিয়েছিল গেরুয়া শিবির। আরএসএসের বিভিন্ন শাখা সংগঠনেরও সক্রিয়তা বেড়েছে গত কয়েক বছরে। রয়েছে মেরুকরণের হাওয়াও। বজরং দলের উদ্যোগে রামনবমীর মিছিলে বিপুল জনসমাগম চিন্তা বাড়িয়েছে তৃণমূলের। এই আসনে দীর্ঘদিন জয়ী  যাবত জিতে এসেছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের বীরসিং মাহাতো। এবারও তিনি প্রার্থী। কিন্তু বাম ভোটের বড় অংশই যে বিজেপিতে পড়তে চলেছে তা একরকম নিশ্চিত। ফলে, অ্যাডভান্টেজ বিজেপি।  লালগড় আন্দোলনের সময়ের পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির প্রাক্তন সদস্যরা কাদের পক্ষে ভোট করিয়েছেন, তা নিয়েও আগ্রহ রয়েছে। প্রধান লড়াই বিজেপির জ্যোর্তিময় সিং মাহাতোর সঙ্গে তৃণমূলের মৃগাঙ্ক মাহাতোর হলেও প্রচারে সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছেন কংগ্রেসের নেপাল মাহাতো। এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রায় আড়াই লাখ ভোটের নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। সেই ভোট হাত চিহ্নে পড়েছে, নাকি তার একাংশ যুযুধান দুই ফুলের কোনওটিকে পুষ্ট করেছে, তা নিয়েও উৎসাহ রয়েছে পুরুলিয়ায়।

Jhargram lok sabha constituency, ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্র

২০১৪ সালের ফলাফলের ভিত্তিতে বিচার করলে এই আসনটি নিয়ে তৃণমূলের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৬ লক্ষ ৭৪ হাজার ভোট! প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ ভোটে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় হয়েছিল সিপিএম। মোদী হাওয়া সত্ত্বেও বিজেপি-র ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র ১ লক্ষ ২২ হাজার ভোট। কিন্তু ৫ বছরে বদলে গিয়েছে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের চালচিত্র। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই লোকসভা জুড়েও দাপট দেখিয়েছে পদ্মফুল। আদিবাসী ভোটের বড় অংশ তাই বিজেপিতে যাওয়া আশঙ্কা করছে তৃণমূল। রয়েছে অন্য চোরাস্রোতও। তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী একটি আদিবাসী সমাজের কর্তা। আদিবাসীদের প্রথা অনুযায়ী তাঁদের সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কেউ সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন না। তাই নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর প্রতি ক্ষোভ রয়েছে। অন্যদিকে, গত কয়েক বছর ধরে বামেদের ক্রমশ কমতে থাকা ভোটব্যাঙ্কের হাল কিছুটা ফিরেছে বলে দাবি সিপিএমের। তাই বিজেপির কুনুর হেমব্রম, তৃণমূলের বীরবাহা সোরেনের পাশাপাশি লড়াইতে আছেন সিপিএমের ব্রিগেড কাঁপানো নেত্রী দেবলীনা হেমব্রমও। আর তৃণমূলের অস্ত্র গত আট বছরের উন্নয়ন।

Asansol lok sabha constituency, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র

আসানসোলে এবার মুখোমুখি দুই সেলেব্রিটি প্রার্থী- বাবুল সুপ্রিয় এবং মুনমুন সেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দোলা সেনকে হারিয়ে বাবুল জেতার পর রাজ্যের শাসকদলের অন্দরেই উঠেছিল অর্ন্তঘাতের তত্ত্ব। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, এ-বার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতেই সুচিত্রা সেনের মেয়েকে টিকিট দিয়েছেন মমতা। মুনমুনও প্রচারে গিয়ে তাঁর মায়ের নামে ভোট চেয়েছেন। একদিকে তৃণমূলের পোড়খাওয়া সাংগঠনিক মেশিনারি, অন্যদিকে মুমনমুনের গ্ল্যামার- এই জোড়া অস্ত্রেই বাবুলকে হারাতে চাইছে তৃণমূল। কিন্তু কাজটা যে বেশ কঠিন তা মানছেন কয়লাখনি এলাকার জোড়া ফুলের নেতাদের অনেকেই। গত ৫ বছরে বাবুলের আবেদন কিছুটা কমলেও পোক্ত হয়েছে বিজেপির সংগঠন। অবাঙালি ভোটারদের মধ্যে বিজেপির জনপ্রিয়তাও যথেষ্ঠ। দুই ফুলের লড়াইয়ের পাশাপাশি আসানসোলে আলোচনায় আছে লাল পতাকাও। সিপিএমের প্রার্থী দলের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি। বামেদের আশা, গত কয়েক বছরে যে ভোট অন্য শিবিরে চলে গিয়েছে, তার একাংশ ফিরবে।

Birbhum lok sabha constituency, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র

বীরভূম কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। কিন্তু জোড়া ফুলকে জেতাতে লড়ছেন আসলে  জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যাবতীয় প্রশংসা, সমালোচনা সবকিছুর কেন্দ্রেই তিনি। এক সময় অনুব্রতকে কড়া টক্কর দেওয়া দুধকুমার মন্ডল বিজেপি-র প্রার্থী। সিপিএমের প্রতীকে লড়ছেন রেজাউল করিম। ২০১৪ সাল থেকেই বীরভূমে বিজেপি-র শক্ত সংগঠন রয়েছে। কিন্তু অনুব্রতের গড়ে পদ্ম শিবিরের দাঁত ফোটানোর সম্ভাবনা কম। এক সময়ের কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ রেজাউলের দাবি, তাঁরা গতবারের ভোট ধরে রাখতে পারলে দুই ফুলের ভোট কাটাকাটির সুযোগে অপ্রত্যাশিত ভাল ফল হতে পারে।

Bankura lok sabha constituency, বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র

গত লোকসভা নির্বাচনে দীর্ঘদিনের সিপিএম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়াকে প্রায় এক লক্ষ ভোটে হারিয়ে বাঁকুড়া থেকে সংসদে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন। পোড়খাওয়া বাসুদেবকে রাজনীতিতে নবাগত মুনমুন যে হারিয়ে দেবেন, তা ভাবতে পারেননি অনেকেই। তৃতীয় হলেও আড়াই লক্ষের বেশি ভোট পেয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। লাল মাটির কেন্দ্রে এবার ত্রিমুখী লড়াই। পদ্ম শিবিরের হয়ে ফের লড়ছেন সুভাষবাবু, সিপিএমের হেভিওয়েট প্রার্থী দলের রাজ্য কমিটির নেতা অমিয় পাত্র। তৃণমূল সূত্রের খবর, মুনমুনের গত ৫ বছরের পারফর্ম্যান্স নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল দলের অন্দরেই। দাবি উঠেছিল, রাজনৈতিক প্রার্থী চাই। তার ভিত্তিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী করেছেন সুপার-হেভিওয়েট সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। পঞ্চায়েত মন্ত্রীর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আর তৃণমূলের সংগঠনের মিশেল রাজ্যের শাসকদলের জন্য সম্ভাব্য কঠিন লড়াইকে কিছুটা সহজ করে দিয়েছে বলে অভিমত রাজনাতিক মহলের।

General Election 2019 West Bengal
Advertisment