একুশের নির্বাচন জয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন প্রথম থেকেই। পায়ে আঘাত নিয়ে হুইলচেয়ারে বসেই প্রচার চালিয়েছিলেন। রবিবার ভোটগণনা শুরু হতে হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন, যদিও শেষধাপে জিতবেন তিনিই এমনটাই বার্তা দিয়ে এসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দিনের শেষে যদিও নন্দীগ্রামে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূল জিতল বিপুল আসনে।
রবিবারই কালীঘাটের বাড়ি থেকে কর্মীদের উদ্দেশ্যে মমতা জানিয়েছিলেন, জয় নিয়ে সংশয়ের কোনও কারণ নেই তাঁর৷ গোটা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস যেমন ভাল ফল করছে, নন্দীগ্রামেও জয়ী হবেন তিনি। ২৯২ আসনের মধ্যে ২০০ এরও বেশি আসনে এখনও এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ভোটের ট্রেন্ড প্রকাশিত হতেই রাজ্যের একাধিক কেন্দ্র থেকে কালীঘাট সর্বত্রই সবুজ আবির খেলায় মেতেছে ঘাসফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা। যদিও একেবারে শেষ লগ্নে দেখা যায় ১৯৫৩ ভোটে শুভেন্দু অধিকারির কাছে পরাজিত হয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন, ‘অভাবনীয় জয়’, মমতাকে শুভেচ্ছাবার্তা কেজরি-অখিলেশ-মেহবুবার
তৃতীয় বারের জন্য বিপুল জয় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সরকার গড়তে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড আবহে ভার্চুয়ালই বৈঠক করেন তিনি। কী কী জানিয়েছেন তিনি?
বিপুল ভোটে জিতে এই প্রথমবার কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মমতা বলেন, "এটা বাংলার জয়, বাংলার জয়। কিন্তু উচ্ছ্বাস যেন বাঁধভাঙা না হয়। কোভিড চলছে এখনও কোভিডের মোকাবিলা করাই প্রধান। এখনই বিজয় মিছিল নয়। সকলে বাড়ি যান। অভিনন্দন আপনাদের সকলকে।"
- আমি সবাইকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি ভেবেছিলাম ২২১ আসন পাব। সেটাই টার্গেট করেছিলাম।
- আমি বলেছিলাম যে ডাবল ইঞ্জিনের বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরি করব। সেটাই করেছি। বাংলার এই জয় আসলে ভারতের জয়। ভারতকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও খারাপ ব্যবহার করেছে। মনুষ্যত্বকে বাচিয়েছে এই জয়।
- খেলা হবে আর জয় বাংলা স্লোগান ব্যবহার করে জয় হয়েছে। গ্রাম বাংলার ক্লাবে ৫০ হাজার ফুটবল আমি দেব। খেলা হয়েছে আমরা জিতেছি তাই।
- বড় আকারে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান করব না কোভিড পরিস্থিতিতে। এটা ল্যান্ড স্লাইড জয়। এবার মানুষের কথা শুনব। অন্য কারো কথা নয়।
- বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন সবাইকে দেব। কেন্দ্রকে বলব ১৪০ কোটি লোককে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিতে বলব। না করলে গান্ধী মূর্তির নীচে প্রতিবাদ শুরু করব।
- আজ আমার খুব আনন্দের দিন। আমার থেকে বড় খুশি আর কেউ হয়নি। বিজয় মিছিল না করলেই ভাল এখন। এরপর ব্রিগেডে বিজয় মিছিল করব। কোভিডে মানুষের পাশে দাঁড়াব। সবার পাশে থাকব। বাংলার মানুষকে আমার স্যালুট। আমি গর্বিত যে বাংলার মানুষ এই কাজ করে দেখিয়েছে দেশকে। যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি পালন করব। নন্দীগ্রামের মানুষ যে রায় দিয়েছেন মাথা পেতে তা নিয়েছি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন