Exit Poll for West Bengal, Tripura Lok Sabha Election 2019: ভোটের আগে থেকেই হুংকার ছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর গলায়। জানিয়ে দিয়েছিলেন ৪২টির মধ্যে ৪২টি আসনই পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে এ রাজ্য যে এবার অন্যতম টার্গেট, সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ২৩টি আসন তাঁরা পাচ্ছেনই, জানিয়ে দিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন নেতা। এ রাজ্যে একাধিকবার নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। এসেছেন যোগী আদিত্যনাথ সহ অন্য নেতারাও।
শেষ বারের লোকসভা নির্বাচনে, ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৪টি আসন, বিজেপি পেয়েছিল ২টি আসন, কংগ্রেস পেয়েছিল ৪টি আসন, সিপিএম পেয়েছিল ২টি আসন।
দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই ভোটে পূর্ব ভারতের এই রাজ্য বারবার জাতীয় স্তরে শিরোনামে উঠে এসেছে। উঠে এসেছে মূলত হিংসার অভিযোগ ঘিরে। অভূতপূর্ব ভাবে এ রাজ্যে শেষ দফার ভোট প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নির্ধারিত সময়সীমার ২০ ঘণ্টা আগে।
আরও পড়ুন: বাংলায় বিজেপির বিরাট উত্থান, ধাক্কা তৃণমূলে, মত এক্সিট পোলের
উত্তর পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরা ঘিরেও এবারে কৌতূহল প্রচুর। গত লোকসভা আসনে এখানে দুটি আসনই পেয়েছিল সিপিএম। কিন্তু তারপর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে সে রাজ্যে। ফলে সেখানকার ভোটে কী হয়, তা দেখার জন্য সাগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে সব রাজনৈতিক দলই।
তবে এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত প্রায় সব কটি বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই দেখা যাচ্ছে ফের দেশে ফিরছে এনডিএ সরকার। তবে মনে রাখতে হবে, এক্সিট পোলের অনুমান ভুল হওয়ার ঘটনা এখনও টাটকা। ২০১৪ ও ২০০৯ সালের ভোটে এক্সিট পোল ভুল প্রমাণিত হয়েছিল।
সি ভোটার-এর সমীক্ষা অনুসারে পশ্চিমবঙ্গে ২৯টি আসন পেতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। বিজেপি পাচ্ছে ১১টি আসন। কংগ্রেস এ রাজ্য থেকে দুটি আসন পাবে বলে জানাচ্ছে সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা।
এদিকে টাইমস নাওয়ের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বাংলা থেকে ২৮টি আসন পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, ১১টি আসন পাচ্ছে বিজেপি, ২টি পাচ্ছে কংগ্রেস এবং সিপিএম পাচ্ছে ১টি আসন।
নিউজ ১৮-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পেতে চলেছে ২৫ থেকে ২৮ টি আসন। অন্য দিকে বিজেপি পেতে চলেছে ৩ থেকে ৭টি আসন।
আরও একটি বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখাচ্ছে, পশ্চিবাংলায় বড়সড় উপস্থিতি রাখতে চলেছে বিজেপি।
সারা দেশের বুথ ফেরত সমীক্ষার খবর দেখুন এখানে
রিপাবলিক টিভির একজিট পোল অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেস এ রাজ্য থেকে পেতে চলেছে ২৯টি আসন। তাদের হিসেবে এ রাজ্যে এনডিএ পাবে ১১টি আসন।
ইন্ডিয়া নিউজ-পোলস্ট্র্যাট-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেস পেতে চলেছে ২৬টি আসন, বিজেপি পাচ্ছে ১৪টি আসন এবং কংগ্রেস পাচ্ছে ২টি আসন। এদের হিসেবে সিপিএম একটি আসনও পাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বিপুল আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফের এনডিএ, বলছে এক্সিট পোল
এক্সিট পোলের খবর প্রকাশিত হতে শুরু করতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। টুইট করে তিনি বলেছেন এক্সিট পোল তাঁর আস্থা নেই। এই সমস্ত গল্প ছড়িয়ে ইভিএমে কারচুপি বা ইভিএম সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সমস্ত বিরোধীদের এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন মমতা।
I don’t trust Exit Poll gossip. The game plan is to manipulate or replace thousands of EVMs through this gossip. I appeal to all Opposition parties to be united, strong and bold. We will fight this battle together
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 19, 2019
রিপাবলিক টিভি-জন কি বাত সমীক্ষা অনুসারে তৃণমূল এ রাজ্য থেকে পাচ্ছে ২৮ টি আসন।
২০১৪ সালের ভোটে এ রাজ্যে বিজেপির ১৭ শতাংশ ভোট শেয়ার ছিল। তাদের দখলে গিয়েছিল দার্জিলিং ও আসানসোল আসন।
এ সি নিয়েলসেন-এর সমীক্ষা অনুসারে এ রাজ্য থেকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস পেতে চলেছে ২৪টি আসন। বিজেপি পাচ্ছে ১৬টি আসন। দুটি আসন পাচ্ছে কংগ্রেস।
এসি নিয়েলসেন এ রাজ্যের কেন্দ্রওয়ারি সমীক্ষা করেছে। তাতে বেশ কিছু ইন্দ্রপতনের কথাও বলা হয়েছে। তাদের হিসেবে
দার্জিলিং- বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্ত
কোচবিহারে জিতছেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক।
জলপাইগুড়ি- তৃণমূল প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মণ
আলিপুরদুয়ার- বিজেপি প্রার্থী জল বার্লা
মালদা উত্তর- জিততে পারেন বিজেপির খগেন মুর্মু
মালদা দক্ষিণ- কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেন খান চৌধুরী
রায়গঞ্জ- তৃণমূল প্রার্থী কানাইলাল আগরওয়াল
বালুরঘাট- বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার
কোচবিহার- বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক
মুর্শিদাবাদ- বিজেপি প্রার্থী হুমায়ুন কবীর
বহরমপুর- কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী
জঙ্গিপুর- তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান
কৃষ্ণনগর- তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র
রানাঘাট- বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার
হুগলিতে জিতছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়
শ্রীরামপুর- তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
আরামবাগ- বিজপি প্রার্থী তপন রায়
হাওড়া- বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত
উলুবেড়িয়া- তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ
তমলুক- তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী
কাঁথি- তৃণমূল প্রার্থী শিশির অধিকারী
ঘাটাল- তৃণমূল প্রার্থী দেব
ঝাড়গ্রাম- বিজেপি প্রার্থী কুনার হেমব্রম
মেদিনীপুর- বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ
পুরুলিয়া- বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় মাহাত
বাঁকুড়া- বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার
বিষ্ণুপুর- বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ
বর্ধমান-দুর্গাপুর- তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা
বর্ধমান পূর্ব- জেতার সম্ভাবনা বিজেপি প্রার্থীর
আসানসোল- তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন
বীরভূম- জিততে পারে তৃণমূল কংগ্রেস
বোলপুর- সম্ভাব্য জয়ী তৃণমূল
বসিরহাট- তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহান
বারাসত- তৃণমূল প্রার্থী কাকলি দস্তিদার
দমদম- তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়
ব্যারাকপুর- জিততে পারে তৃণমূল কংগ্রেস
বনগাঁ- তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর
জয়নগর- তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল
মথুরাপুর- সম্ভাব্য জয়ী তৃণমূল
ডায়মন্ড হারবার- তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
যাদবপুর- তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী
কলকাতা দক্ষিণ- তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়
কলকাতা উত্তর- তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলকে টেলিফোনে সবাইকে একযোগে ইভিএম পাহারা দেওয়ার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই পুরো ব্যাপারটাই "নরেন্দ্র মোদীর গেমপ্ল্যান"। মমতার দাবি, "যদি মানুষের ভোট ঠিক মত গোণা হয়, তাহলে বিজেপি হারছেই।"