West Bengal Lok Sabha Election 2019: অশান্তি-উত্তেজনার আবহেই বাংলায় মিটল চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচন। সপ্তাহ পেরোলেই পঞ্চম দফার লোকসভা ভোট। তার আগে গোটা দেশের মতো ভোটপ্রচার ঘিরে সরগরম বাংলাও। গত বেশ কয়েকদিন ধরে টানা নির্বাচনী সভা করে চলেছেন মোদী, মমতা, অমিত শাহ, রাহুল গান্ধীরা। এদিনও প্রচারে নামলেন রাজনীতির এই হেভিওয়েটরা। এদিনও ভদ্রেশ্বরের সভা থেকে মোদীকে বিঁধলেন মমতা। বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘‘বিজেপির ৩টে গুণ, লুঠ-দাঙ্গা-খুন।’’
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
সোমবার চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনের দিনই বাংলার বুকে জোড়া সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রীরামপুরের সভা থেকে মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মোদী। নমো বললেন, ‘‘আপনার ৪০ জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে’’। মোদীর হুঁশিয়ারি, ‘‘২৩ মে-র পর চারদিকে যখন পদ্মফুল ফুটবে, দেখবেন আপনার বিধায়করা আপনাকে ছেড়ে পালাবে’’। মোদীর এই হুঁশিয়ারির জবাব দিতে সংবাদসংস্থা এএনআইকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন বলেন, ‘‘এক্সপায়ারিবাবু প্রধানমন্ত্রী, কেউই আপনার সঙ্গ নেবেন না। এমনকী একজন কাউন্সিলরও নন। আপনি ভোটপ্রচার করছেন না ঘোড়া কেনাবেচা করছেন? আপনার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা আজ কমিশনে অভিযোগ জানাচ্ছি’’। অন্যদিকে, একটি নির্বাচনী সভায় মোদীর বিরুদ্ধে মমতার আক্রমণ, “বাংলাতেই বিজেপির কফিনে পেরেক পোঁতা হবে”। বিস্তারিত পড়ুন, এই প্রতিবেদনে মোদীর সঙ্গে ‘যোগাযোগ রাখছেন’ মমতার ৪০ বিধায়ক! কী হবে ভবিষ্যতে?
গত ৩ দফার ভোটের মতো চতুর্থ দফার ভোটেও অশান্তির ছবি ধরা পড়ল বাংলায়। সোমবার সাতসকালেই প্রথমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আসানসোলের জেমুয়া। পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোট বয়কট করে বিক্ষোভ দেখান ভোটারদের একাংশ। পরে শাসক-বিরোধী হাতাহাতি বেঁধে যায়। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এদিকে, ভোট ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নানুর। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে এক বিজেপি সমর্থকের হাত ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি বীরভূমের নলহাটিতে মাথা ফেটেছে এক বিজেপি কর্মীর। অন্যদিকে, দুবরাজপুরের বুথে মোবাইল জমা রাখা ঘিরে গ্রামবাসী বনাম কেন্দ্রীয় বাহিনীর ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। পরিস্থিতি সামলাতে বুথের মধ্যেই শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে বাহিনীর বিরুদ্ধে। যে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এক সভায় মমতা বলেন, ‘‘এতবড় সাহস! কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর কোনও অধিকার নেই।’’ এদিকে, বুথের মধ্যে ঢুকে পোলিং এজেন্ট ও এক আধিকারিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়ের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। বিস্তারিত পড়ুন, এই প্রতিবেদনে বাবুলের নামে ফের এফআইআরের নির্দেশ কমিশনের
Live Blog
আজও জেলায় জেলায় নির্বাচনী সভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভা থেকে নতুন করে মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান তৃণমূল নেত্রী। লোকসভা নির্বাচনের সব খবরের আপডেট রইল এখানে, Follow the Updates here:
অন্যদিকে, কাকা-ভাইপোর মান-অভিমান কি মিটে গেল? অনুব্রত মণ্ডলের পা ছুঁয়ে প্রণাম করে যেন সেরকম ইঙ্গিতই দিলেন অনুপম হাজরা। শুধু কী তাই, বোলপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ে কাকুর কথায় পাত পেড়ে মধ্যাহ্নভোজও সারলেন একদা তৃণমূল সাংসদ তথা বর্তমানে যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম। ভাইপো বললেন, ‘‘কাকু অন্যের কথা শুনে ভুল বুঝেছিল’’। কাকুর কথাতেও অবশ্য তেমন অভিমানের আঁচই পাওয়া গেল। অনুপমের ‘কেষ্ট কাকু’ অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডল বললেন, ‘‘ও একটু বোকামো করেছে’’। তবে এতেই শেষ নয়, আগামী দিনে তৃণমূলের সাংসদ হতে চাইলে ভাইপোর সেই আবদার মেটাতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন অনুব্রত। বিস্তারিত পড়ুন, এই প্রতিবেদনে অনুব্রতকে প্রণাম অনুপমের! দলবদল নিয়ে কী কথা হল কাকা-ভাইপোর?
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৩ ও ৪ তারিখ কলকাতা-সহ রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। সে কারণেই সভার সূচি বদল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বলেন, ‘‘৩, ৪ ও ৫ তারিখ ঝড়-বৃষ্টি হবে। ৩ তারিখের সভা ২ তারিখ করব। ২ তারিখের সভা পরে করতে হবে।’’
কাকা-ভাইপোর সৌজন্য সাক্ষাতে শেষ পর্যন্ত ছন্দ পতন ঘটল। সোমবার চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনের দিন আচমকা বোলপুরে তৃণমূল কার্য্যালয়ে গিয়ে সদ্য মাতৃহারা অনুব্রত মণ্ডলকে প্রণাম করে সৌজন্যের বার্তা দিয়েছিলেন অনুপম হাজরা। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে ‘কেষ্ট কাকু’র বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিলেন ‘ভাইপো’ অনুপম। এমনকী, তাঁর মাধ্যমে তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ অনুব্রত পদ্ম শিবিরে ‘ইট পাতছেন কিনা’ সে বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ জল্পনার জন্ম দিলেন অধ্যাপক অনুপম হাজরা। বিস্তারিত পড়ুন, এই প্রতিবেদনে অনুব্রত মণ্ডল কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? অনুপমের বিস্ফোরক মন্তব্যে জল্পনা
আমডাঙার সভায় বক্তব্য দিতে দিতেই মমতার সভায় চরম বিশৃঙ্খলা। সভাস্থলে এক মহিলার বাচ্চা হারিয়ে গিয়েছে বলে শোরগোল পড়ে যায়। মাইক হাতেই মমতা বললেন, ‘‘আচ্ছা বাচ্চা হারিয়ে গিয়েছে তো, ঠিক আছে খুঁজে পাওয়া যাবে। মিটিংটা নষ্ট করবেন না প্লিজ। পুলিশে বলুন, নামটা বলুন, আমি মাইকে ঘোষণা করছি’’। এরপরই বিশৃঙ্খলা দেখে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘একটু দেখো, মিটিং নষ্ট হচ্ছে তো। বাচ্চা খোঁজো আগে। তারপর মিটিং করব’’। এরপরই নিখোঁজ বাচ্চাটিকে পাওয়া যায়। মমতা তখন বলেন, ‘‘এই তো পাওয়া গেছে। দেখলেন তো শুধু শুধু নষ্ট করলেন মিটিংটা। আমার মুডটাই নষ্ট হয়ে গেল’’। এরপর ফের বলতে শুরু করেন তৃণমূলনেত্রী। উল্লেখ্য, এর আগে নদিয়ার পানিঘাটার সভায় মেজাজ হারিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
ফের সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আমডাঙার সভায় মমতা বলেন, ‘‘বহরমপুর, মালদায় সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি একসঙ্গে ভোট করেছে। পঞ্চায়েতেও তাই করেছে। এবার ভোট নিয়ে খেলা করলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে’’।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে বিধিভঙ্গের অভিযোগ করল তৃণমূল। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর। সোমবার শ্রীরামপুরের সভায় মোদী বলেন, ‘‘তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন’’। মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, ২৩ তারিখের পর আপনার বিধায়করা আপনাকে ছেড়ে পালাবেন। মোদীর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধেই কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল।
চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনের দিন কাকা-ভাইপোর রসায়ন দেখে নাকি বেজায় চটেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। সোমবার বোলপুরে তৃণমূলের কার্য্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ফুরফুরে মেজাজে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমানে বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরাকে। অনুব্রত-অনুপমের এমন ‘মধুর’ পুনর্মিলন দেখে চোখ কপালে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতির কারবারিদের। ভোটের দিন একদিকে যখন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের খবর আসছে, সেই সময় বোলপুরে তৃণমূল কার্য্যালয়ে গিয়ে কাকু অনুব্রতর কথায় পাত পেড়ে মধ্যাহ্নভোজ সারছেন ভাইপো অনুপম। গতকালের এই ছবি সত্যিই বেমানান বলে মনে করছে ৬, মুরলীধর সেন লেনের একাংশ। বিস্তারিত পড়ুন, এই প্রতিবেদনে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করে কি শাস্তির মুখে অনুপম?
বাবুল সুপ্রিয়ের নামে কোনও এফআইআর হয়নি, এমনটাই জানালেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এদিন মুকুল বলেন, ‘‘আগে একবার বলা হয়েছিল বাবুলের নামে এফআইআর হয়েছে। সে ঘটনায় কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি। এখানকার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেছেন, কোনও এফআইআর হয়নি। আমাদের ভুল হয়ে গিয়েছে। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘‘আমি আক্রান্ত হলাম। অথচ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বলা হচ্ছে, বাবুলের নামে এফআইআর হচ্ছে।’’
এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনে যান মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদার ও বাবুল সুপ্রিয়রা। মুকুল আরও বলেন, ‘‘আমরা সব অডিও ক্লিপিংস পাঠিয়েছি। ওয়েবকাস্টিংয়ের আবেদন জানিয়েছি।’’
ভোট মেটার পরও বীরভূমে অশান্তি অব্যাহত। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বীরভূমের মল্লারপুর। বিজেপির পোলিং এজেন্টের আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আরও এক বিজেপি সমর্থককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল নেতার বাড়িতে পাল্টা হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিস্তারিত পড়ুন, এই প্রতিবেদনে উত্তপ্ত বীরভূম, ‘আঙুল কাটল’ বিজেপির পোলিং এজেন্টের
লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে ফের বিপাকে পড়লেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন সাংসদ সুব্রহ্ম্যণম স্বামী। বিজেপি সাংসদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস সভাপতিকে নোটিস দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দু’সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে রাহুলকে নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।