General Election 2019: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে বাংলা বেরিয়ে যাচ্ছেই, গাড়ি তল্লাশিতে ক্ষুব্ধ মুকুল এই ভাষাতেই টুইট করলেন রবিবার। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে ভোট দিয়ে দিল্লি থেকে ফেরার সময় রবিবার দমদম বিমানবন্দরের সামনে দু'দফায় তল্লাশি পর্ব চালানো হয় মুকুলের গাড়িতে। আর এরপরই টুইটে মমতাকে আক্রমণ করেন একদা তাঁরই 'ডান হাত' মুকুল। মমতার উদ্দেশে অনুরোধের সুরে মুকুলের কটাক্ষ, "দয়া করে এতটা মরিয়া হয়ে উঠবেন না, বাংলার সন্তানদের খুন করা বন্ধ করুন"। এরপরই সমঝে দেওয়ার সুরে মুকুল রায় বলেন, 'ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না'।
. @MamataOfficial Devi, please don’t get so desperate and stop killing of sons of West Bengal. History will never forgive you for your bloodthirsty politics. You are losing West Bengal for sure. #BengalPollViolence
— Chowkidar Mukul Roy (@MukulR_Official) May 12, 2019
প্রসঙ্গত, শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তল্লাশি মন্তব্যের চব্বিশ ঘণ্টা না কাটতেই রবিবার মুকুল রায়ের গাড়িতে দফায় দফায় তল্লাশি চালায় রাজ্যের পুলিশ। আর এরপরই টুইটারে সরব হন মুকুল রায়।
রবিবার মুকুলের সঙ্গে ঠিক কী হয়েছে?
মুকুল রায় দিল্লির ভোটার। রবিবার দিল্লির ভোট থাকায় সেখানে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে কলকাতা ফেরেন মুকুল। এরপরই প্রথমে কলকাতা বিমানবন্দর এবং পরে কৈখালি মোড়ে মুকুলের গাড়ি আটকে তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ। তল্লাশি পর্ব নিয়ে ক্ষোভ উগরে মুকুল রায় বলেন, "একটু আগে রাজ্যের এক মন্ত্রী গেছেন, তাঁর কাছে টাকা ভর্তি ব্যাগ আছে, তাঁর গাড়ি তল্লাশি হয়নি"। মুকুলের আরও দাবি, "এটা নিছকই একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে"। তবে পুলিশের তরফে জানান হয়েছে এটি 'রুটিন সার্চ' এর আওতায় পড়ে। সপ্তম দফা ভোটের আগে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি পর্ব চালান হচ্ছে। তবে পুলিশের এই বক্তব্য একেবারেই মেনে নেয়নি একদা তৃণমূলে মমতার ডান হাত মুকুল রায়। বরং তাঁর দাবি, সমগ্র ঘটনাটিকে 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলেন তিনি।
আরও পড়ুন- লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন এখানে
উল্লেখ্য, শনিবার (গতকাল) হাসনাবাদের সভা থেকে 'টাকা পাচার করে ভোট কিনছে বিজেপি' এমন অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টাকার বিনিময়ে ভোট কেনা ঠেকাতে পারলে এবং অভিযুক্তদের ধরিয়ে দিতে পারলে, পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। টাকা বিলি নিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে সরাসরি আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী টাকার বান্ডিল নিয়ে বসে আছেন, কলকাতার হোটেলগুলোতেও বসে আছেন অনেকে’’। অন্যদিকে, বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ করতে গিয়ে মোদীকেও নিশানা করতে ছাড়েননি মমতা। মোদীর কপ্টার-গাড়িতে নাকা তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন মমতা বলেন, ‘‘প্রশাসনকে অনুরোধ করছি, প্রয়োজনে আমার গাড়িতে তল্লাশি করুন, কপ্টারে তল্লাশি করুন। কিন্তু মোদীর গাড়ি, কপ্টারও তল্লাশি করতে হবে। সব নেতা-মন্ত্রীদের গাড়িতেও তল্লাশি চালাতে হবে। নাকা তল্লাশি করা দরকার। শুরু হোক আমার গাড়ি দিয়েই’’। তবে, তৃণমূল সুপ্রিমোর গাড়ি এখনও তল্লাশির মুখে না পড়লেও, একটা তাঁরই 'ডান হাত' তথা অধুনা বিজেপির হেভিওয়েট মুকুল রায়ের গাড়িতে তল্লাশি করা হল। উল্লেখ্য, এর আগেও 'গদ্দার'কে হাওয়ালার দালাল বলে মন্তব্য করেছিলেন মমতা।
আরও পড়ুন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বদলের ‘আসল কারণ’ জানালেন মমতা
প্রসঙ্গত, বিজেপির টাকা বিলি রুখতে সাধারণের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘সীমান্ত থেকে কেউ টাকা নিয়ে এলে টাকার বাক্স কেড়ে নেবেন। পুলিশে অভিযোগ জানাবেন, ছবি তুলে নেবেন। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আপনারা আমার ওয়াচম্যান। একটা টাকাও যেন বিজেপি ঢোকাতে না পারে। নজর রাখবেন ভাল করে। যাঁরা ধরিয়ে দিতে পারবেন, তাঁদের আমরা পুরস্কৃত করব গণতন্ত্রের জন্য’’।