কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবকে ঘিরে ইতিমধ্যেই সেজে উঠছে শহর কলকাতা। ২৫তম বর্ষ বলে কথা, কোনও খামতি রাখতে চাননা কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যান পদের জন্য রাজ চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা হওয়ায় বহু জলঘোলা হয়েছে। তবে সে সবের তোয়াক্কা করেই উৎসবের চমক আনার সমস্ত প্রচেষ্টা করেছেন রাজ। এবারের কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে মোট ২১৪ টি ফিচার ছবি দেখাানো হবে। যার মধ্যে থাকবে ১৫২ টি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ও তথ্যচিত্র। ৭৬ টি দেশের ছবি দেখানো হতে চলেছে উৎসবে। যার মধ্যে ভুটান, আফগানিস্তান, সিরিয়া, গুয়াতেমালা, উরুগুয়ে, লেবানিয়ার মতো দেশের ছবি রয়েছে।
আগামী ৮ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব, শুক্রবার তারই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়ে গেল নন্দনে। উপস্থিত ছিলেন উৎসবের কমিটির চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কোয়েল মল্লিক। এবারে উৎসবে ফোকাস কান্ট্রি জার্মানি। চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত তো থাকবেনই, সেই সঙ্গে অতিথি তালিকায় রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, জয়া বচ্চন, রাখি গুলজার, মহেশ ভাট, গৌতম ঘোষ, অ্যান্ডি ম্যাকডোয়েল। চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা হবে 'গুপি গাইন বাঘা বাইন' ছবি দিয়ে।
আরও পড়ুন, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে মায়েস্ত্রো বিভাগে বুদ্ধদেবের ‘উড়োজাহাজ’
সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন জানানো হল, এবার ১৭টি সিনেমা হলে দেখানো হবে ছবি। এগুলি হল- নন্দন এক, নন্দন দুই, নন্দন তিন, রবীন্দ্র সদন, শিশির মঞ্চ, বিজলি, প্রিয়া, মিনার, নবীনা, অজন্তা, পিভিআর অবনি, আইনক্স সিটি সেন্টার ওয়ান, রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন, নজরুল তীর্থ, নিউ এম্পায়ার, নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়াম এবং চলচ্চিত্র শতবর্ষ ভবন। প্রথমবার থ্রিডি ছবি দেখানো হবে উৎসবে। প্রিয়া ও বিজলিতে দেখানো হবে দুটো থ্রিডি ছবি সেই সঙ্গে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ছোটদের ছবিতেও। ১৪ নভেম্বর শিশির মঞ্চে সারাদিন স্ক্রিনিং হবে অ্যানিমেশন ফিল্ম। এছাড়াও উৎসব চলাকালীন নন্দন চত্বরের এলিডি স্ক্রিনে চলবে জার্মানি সহ বিভিন্ন দেশের অ্যানিমেশন ছবি। ভারতের বিভিন্ন বিপন্ন ভাষার উপর জোর দিতেই থাকছে টুলু, বোরো, বাঞ্জার ভাষার ছবি থাকছে ফেস্টিভ্যালে।
দেশ ও বিদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের শ্রদ্ধার্ঘ দিতে হোমেজ সেকশনে ছবি দেখানো হচ্ছে তাদের। তাদের মধ্যে রয়েছেন- বেরনার্দো বার্তোলুচি, মৃণাল সেন, গিরিশ কারনাড, মহম্মদ জাহুর খৈয়াম, স্বরূপ দত্ত, চিন্ময় রায়, বিদ্যা সিনহা ও রুমা গুহঠাকুরতা। এদিন রাজ চক্রবর্তী বলেন, ''আমাকে এমন একটা দায়িত্ব দিয়েছেন সেটা সবার খুব একটা পছন্দ নয়। তবু চেষ্টা করেছি।'' ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই ফেস্টিভ্যাল। ১৫ তারিখ নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সমাপ্তি অনুষ্ঠান।