গত দশ বছর ধরে চলা সমস্যার সমাধানের জন্য বিবাহ বিচ্ছেদকেই শেষ সূত্র হিসেবে বেছে নিলেন নওয়াজ-জায়া আলিয়া সিদ্দিকি। দেশজুড়ে লকডাউন চলাকালীনই এই চরম সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন অভিনেতার স্ত্রী। এই মর্মে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে বিবাহ বিচ্ছেদের একটি আইনি নোটিসও পাঠালেন আলিয়া। জানিয়ে দিলেন তিনি 'এই সম্পর্কের শেষ' চান।
আরও পড়ুন, ”গুজবে কান দেবেন না”! পরিবারকে নিয়ে ভুয়ো খবরে বিরক্ত কোয়েল
যদিও এখনও এই নোটিসের কোনও উত্তর দেননি বলিউড অভিনেতা। কিন্তু হঠাৎ এই অশান্ত আবহে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন আলিয়া? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমকে অভিনেতার স্ত্রী বলেন, "আমি এই বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না। কেন এই সিদ্ধান্ত নিলাম তা নিয়ে এখন কথা বলতে রাজি নই। গত দশ বছর ধরেই আমাদের মধ্যে একটা সমস্যা ছিল। এখন এই লকডাউনে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে এই সম্পর্ক শেষ করার সময় হয়েছে। উনি মজফফরপুরে যাওয়ার আগে ওকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। এখনও সেই নোটিসের কোনও উত্তর আমি ওর থেকে পাইনি। তাই আমাকে এখন বাধ্য হয়েই আইনের পথে চলতে হবে।"
আলিয়ার পক্ষের আইনজীবী অভয় সাহাই একটি ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, "আমরা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে একটি আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। ৭ মে আমার ক্লায়েন্ট আলিয়া সিদ্দিকি এই নোটিসটি পাঠান। লকডাউনের কারণে স্পিড পোস্টে তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই মেইল এবং হোয়াটসঅ্যাপে তা পাঠানো হয়েছে। আলিয়া সিদ্দিকি ব্যক্তিগতভাবেও হোয়াটসঅ্যাপে নোটিসটি পাঠান। এখনও নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি কোনও উত্তর দেননি। আমার মনে হয় উনি চুপচাপ এটি দেখে উপেক্ষা করছেন। আমি এখনও নোটিসের বিস্তারিত বিষয়ে বলতে চাইছি না। কী অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়ে এখনই জানানোর সময় আসেনি। তবে এটা ঠিক বিষয় অত্যন্ত গভীর এবং গুরুতর।"
আরও পড়ুন, ”গুজবে কান দেবেন না”! পরিবারকে নিয়ে ভুয়ো খবরে বিরক্ত কোয়েল
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমের তরফে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে, যদিও এখনও কিছু জানাননি অভিনেতা। নওয়াজ এবং আলিয়ার ন বছরের একটি ছেলে এবং পাঁচ বছরের একটি শিশুকন্যা রয়েছে।
এদিকে আজই চোদ্দো দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে। মুজফফরনগর নগর জেলার বুধানা গ্রামে নিজের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে অভিনেতা ও তাঁর পরিবারকে। নওয়াজ ও তাঁর পরিবারের সকলের মে়ডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে তবে কোভিড-১৯-এর হদিশ মেলেনি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন