রিলিজ করার পর থেকেই রেহাই নেই ‘লাল সিং চাড্ডা’র। কখনও বয়কটের সম্মুখীন হতে হয়েছে তো কখনও আবার সমালোচনা-বিতর্কের শিকার। বক্সঅফিস ভাগ্যও মন্দ! বিগ বাজেট এই সিনেমা ১০০ কোটির ক্লাবে তো দূরঅস্ত, এমনকী মূলধনও ঘরে তুলতে পারেনি! অতঃপর নির্মাতাদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ! এবার সেই প্রেক্ষিতেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন আমির খান।
২০২২ সালে এযাবৎকাল মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে 'লাল সিং চাড্ডা' নিঃসন্দেহে অন্যতম। বক্স অফিসে যে হারে ধাক্কা খেতে হয়েছে আমির খানকে, তা আয়ের হিসেব-নিকেশ করলেই বোঝা যায়। ৬০ কোটি টাকাও আয় হয়নি। বলিউড সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, 'লাল সিং চাড্ডা'র প্রযোজনা সংস্থা ভায়াকম এইটিন মোট ১০০ কোটির লোকসানে পড়েছে। সেই কারণেই নাকি পারিশ্রমিক ফিরিয়ে দিতে পারেন আমির খান।
<আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের গণেশ পুজোয় দক্ষিণের ‘ফিল্মি বাপ্পা’! পুষ্পা, RRR স্টাইলে বিঘ্নহর্তার মূর্তি>
প্রসঙ্গত, আমির যদি 'লাল সিং চাড্ডা'য় নিজের পারিশ্রমিক প্রযোজনা সংস্থাকে ফিরিয়ে দেন, তাহলে কিছুটা হলেও ঘাটতি পূরণ হবে। তবে সেভাবে দেখতে গেলে গত ৪ বছর মিস্টার পারফেকশনিস্ট আদা-জল খেয়ে এই সিনেমার পেছনে খেটেছেন। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও বিরতি নিয়েছিলেন। যাতে পুরো ফোকাস থাকে 'লাল সিং চাড্ডা'য়। চরিত্রের প্রয়োজনে মানসিক প্রস্তুতি তো বটেই, এমনকী শারীরিক গড়নেও কাটাছেঁড়া করতে হয়েছে। তারপরও যদি পারিশ্রমিক ফিরিয়ে দিতে হয়, তাহলে হিসেব দাঁড়ায় গত চার বছরে আমির খানের কামাই শূন্য।
উল্লেখ্য, যে কোনও সিনেমা ফ্লপ হলেই আমির অবশ্য নিজের কাঁদে সেই দায় নিয়ে পারিশ্রমিক ফেরান। 'লাল সিং চাড্ডা'র ক্ষেত্রেও হয়তো সেরকম সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। সূত্রের খবর, এই ছবি বক্সঅফিসে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই নাকি আমির খান প্রোডাকশনের সঙ্গে ভায়াকম এইটিনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। সিনেমার প্রচার নিয়েই নাকি মূল দ্বন্দ্ব শুরু হয়। মিস্টার পারফেকশনিস্ট যদিও প্রচারে নিত্যনতুন চমক দিতেই অভ্যস্ত, কিন্তু ভায়াকমের দেওয়া প্রচার কৌশলী মনপসন্দ হয়নি অভিনেতার। এবার সিনেমা ব্যর্থ হওয়ার জন্যও নাকি সেই কারণকেই দুষছেন অভিনেতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন