গত বৃহস্পতিবার সকালে এক ঘোর দুঃসংবাদে ঘুম ভাঙে টলিপাড়ার। মাত্র ৫৭ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। প্রিয় মিঠু আর নেই, এখবর যেন এখনও বিশ্বাস করতে পারেন না অভিনেতার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। অভিনেতার অনুপস্থিতিতে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে এখন মাত্র দু'জনের সংসার। স্বামীর অকালপ্রয়াণের পর মেয়ে সায়নাকে আঁকড়ে ধরেই দিন কাটাচ্ছেন অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়। এমন দুর্দিনের মাঝেই খবর রটে যায় যে, প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের প্রয়োজন আর্থিক সাহায্যের।
Advertisment
সেখবর কানে যেতে দেরি হয়নি সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়ের। একদিকে স্বামী-শোকে বিহ্বল, উপরন্তু এহেন গুজব! শেষমেশ, মুখ খুলতে বাধ্য হন অভিষেকের স্ত্রী। সংযুক্তা সপাটে জানিয়ে দেন যে, "না, আমাদের কেউ আর্থিক সাহায্য করেননি। এবং অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের কোনও আর্থিক অনুদানের প্রয়োজন নেই। সবটাই রটনা।"
পাশাপাশি সংযুক্তার আর্জি, "এসব গুজব রটাবেন না দয়া করে, এতে অভিষেকের আত্মা কষ্ট পাবে। ব্যক্তিগতজীবনে অভিষেকের মূল্যবোধ ছিল সাংঘাতিক। কোনও দিন কারও কাছে হাত পাতেননি।" একটা সময়ে যখন, তাঁর হাতে কাজ ছিল না, তখনও না। জমানো টাকা ভেঙে খেয়েছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাকুরঘরে পুজো করে কাটিয়েছেন। কিন্তু কারও কাছে মাথা নত করেননি অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।