দেশে আচমকা লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা কী দুর্দশায় পড়েছেন, তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কখনও তাঁরা মাইলের পর মাইল হেঁটে চলেছেন, কোনও যানবাহন ছাড়াই বাড়ি ফেরার চেষ্টায়। আবার কখনও পরিচয়পত্রের অভাবে ভিন রাজ্যের সরকারি সাহায্য থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। বেঙ্গালুরুতে এই মুহূর্তে এমন বহু শ্রমিক রয়েছেন যাঁরা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দা কিন্তু তাঁদের ফেরার পথ বন্ধ। তাঁদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে বিশেষ পদক্ষেপে সামিল হওয়ার আহ্বান জানালেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র।
সম্প্রতি তিনি তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে জানান যে নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনার অন্তর্গত বনগাঁ ও হিঙ্গলগঞ্জ থেকে, কাজের খোঁজে আসা অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক এখন আটক বেঙ্গালুরুতে। সে শহরে যে সরকারি ত্রাণের ব্যবস্থা করছে সেখানকার রাজ্য সরকার, সেই ত্রাণ থেকেও অনেক সময় বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলার শ্রমিকরা, স্থানীয় পরিচয়পত্র না থাকায়।
আরও পড়ুন: দুর্গা থেকে লীনা! ‘সেনাপতি’-তে ভিন্ন মেজাজে ধরা দেবেন সঙ্ঘমিত্রা
বেঙ্গালুরুতে আটক এই পরিযায়ী শ্রমিকদের সামনে এখন উভয়সঙ্কট-- প্রথমত, তাঁদের বাড়ি ফেরার সমস্ত উপায় বন্ধ। দ্বিতীয়ত, যেখানে তাঁরা রয়েছেন, সেখানেও তাঁদের জীবনধারণ করা দুরূহ হয়ে উঠছে প্রয়োজনীয় টাকা এবং খাদ্যসামগ্রীর অভাবে। সম্প্রতি এই নিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন অভিনেতা যা দেখে নিতে পারেন নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে--
'কর্ণাটক ভারত জ্ঞান বিজ্ঞান সমিতি' বা বিজিভিএস বাংলার এই পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫০০০ মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরেছেন এই সমিতির সদস্যরা বলে জানা গিয়েছে কিন্তু বহু মানুষের কাছে এখনও পৌঁছনো বাকি। এই বিরাট কর্মকাণ্ডের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থসাহায্যের প্রয়োজন। তাই বাংলার শ্রমিকদের সাহায্যের জন্য বাংলার মানুষের কাছেই আবেদন রেখেছেন বাদশা মৈত্র। আলাদা একটি ফেসবুক পোস্টে বিশদে লিখেছেন সেই বিষয়ে--
শুধুমাত্র বেসরকারি, ব্যক্তিগত অনুদান নয়, সরকারি সাহায্যেরও আবেদন রয়েছে এই পোস্টে। ভিনরাজ্যে আটক বাংলার শ্রমিকদের সাহায্যার্থে বাংলার নেতা-মন্ত্রীরা উদ্যোগী হয়েছেন নানাভাবে। সারা দেশেই বিভিন্ন রাজ্যে বাংলা থেকে যাওয়া শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন। সরকারিভাবে এবং ব্যক্তিগত স্তরেও তাঁদের যে কোনও উপায়ে যাতে সাহায্য করা যায়, সেই অনুরোধই জানিয়েছেন অভিনেতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন