SSC recruitment case Verdict-Chandan Sen: কিছুক্ষণ আগেই জানানো হয়েছে, SSC মামলার রায়। এবং কলকাতা হাইকোর্টের মতোই সুপ্রিম কোর্টও, ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছে। যারা যোগ্য তারাও চাকরি হারিয়েছে। কিন্তু জানা গিয়েছে আগামী তিন মাসের মধ্যে ফের একবার, নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। যেখানে, ২০১৬ সালের পরীক্ষার্থীরা আবার নতুন করে পরীক্ষা দিতে পারবেন। এছাড়াও নানান ধরনের নিয়ম রাখা হয়েছে।
যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের বয়স বাড়িয়ে হলেও ফের একবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ রয়েছে। যোগ্য এবং অযোগ্যদের মধ্যে ফারাক করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই, সুপ্রিম কোর্টের এহেন রায়দান। আর এই প্রসঙ্গে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার ফোন করা হয়েছিল চন্দন সেনকে। তিনি কী জানিয়েছেন? অভিনেতা, সব ধরনের খবর টবরই মোটামুটি রাখেন। তাই তাকে যখন এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হল, আদৌ যে ঘটনা ঘটলো সেটি কতটা ঠিক এবং কতটা বেঠিক, তিনি বললেন...
"আমার মতে যেটা হয়েছে সেটা ঠিকই হয়েছে। এবং সঙ্গে সঙ্গে যে কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেটাও খুব ভেবে চিনতে দেওয়া হয়েছে। যদি, সঠিকভাবেই তথ্য প্রদান করতে পারতো, যোগ্য-অযোগ্যের ফারাকটা ঠিক করে দেখাতে পারতো, তাহলে আমার মনে হয়, যারা যোগ্য আছেন তাদের চাকরি নিয়ে, জীবন নিয়ে টানাটানি লাগত না। অন্যদিকে, যারা অযোগ্য তাদের তালিকা যদি ঠিক সময়মতো প্রদান করা হতো, তাহলে আমাদের কোনো অসুবিধাই হতো না। কিন্তু এই যে সুবিধা দিয়েছে, যারা যোগ্য তারা তিন মাস পর আবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন, এটা একটা ভালো দিক। কারণ তারা তো যোগ্য মানুষ তারা নিঃসন্দেহে ভালো পারফর্ম করে চাকরি পাবেন। আর তার সঙ্গে তাদের এত বছর পড়ানোর একটা অভিজ্ঞতাও আছে, সেটাও কাজে লাগবে। তারপর যারা অন্য জায়গায় চাকরি করতে করতে, এসএসসিতে জয়েন করেছিলেন, তাঁদের একটা সুযোগ দিয়েছে। আমার মনে হয় অনেক ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে।"
আরও পড়ুন - SSC Case-Aritra Dutta Banik: 'বদমাশ রাজনীতিবিদরা ঘুষ খেয়ে ঘাপলা করল..', SSC মামলায় ক্রিমিনালদের কঠোর শাস্তির দাবি অরিত্রর
যদিও একটি বিষয়ে খুব অবাক হয়েছেন অভিনেতা। যারা অন্যায় করল, যাদের জন্য আজকের এই সমস্যা, তাদের নিয়ে তিনি কী বলছেন? অভিনেতার কথায়, "যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তাদের মধ্যে এক দুজন হয়তো জেলে, বাকি সবাই বেরিয়ে এসেছে। সুপ্রিম কোর্টের উচিত ছিল এই সমস্ত লোকগুলোকে অন্তত ১০-১৫ বছরের জন্য রায় দিয়ে জেলে পাঠানো। আজকে এদের জন্যই এত মানুষের সমস্যা, তাদের এত দুর্দশা।"
তিনি এখানেই থামলেন না। যে দেশের শিক্ষার একটি স্তম্ভ, সেখানে শিক্ষা নিয়ে এখনো দুর্নীতি কি ভারতবর্ষের কাছে পশ্চিমবঙ্গের মান সম্মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে? অভিনেতা বলেন, "গোটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে নষ্ট করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা রাজ্য সরকার যে ধরনের পন্থা অবলম্বন করছে, এর বিরুদ্ধে প্রত্যেকটা শিক্ষিত মানুষকে এবং শিক্ষিত সমাজকে দাঁড়াতে হবে। রুখে না দাঁড়ালে খুব মুশকিল।"