Star Jalsha serial Irabotir Chupkatha: স্টার জলসা-র ধারাবাহিক 'ইরাবতীর চুপকথা'-তে সম্প্রতি আবারও ঘনীভূত হয়েছে সঙ্কট। যে বাড়ি নিয়েই এতকিছু, ইরাবতী ও আকাশের দেখা হওয়া, প্রেম, বিয়ে, সেই বাড়ি এবার বোধহয় সত্যিই হাতছাড়া হতে চলেছে। রানা-র ষড়যন্ত্রে তৈরি হয়েছে নকল উইল, কিডন্যাপ হয়েছে আকাশের মা দেবী-- সব মিলিয়ে ধারাবাহিকে একটা থমথমে পরিবেশ। রানা চরিত্রের অভিনেতা যুধাজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, তাঁর সবচেয়ে প্রিয় খল চরিত্রগুলির অন্যতম রানা।
সব অভিনেতারই স্বপ্ন থাকে, তাঁর অভিনীত চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয় হোক যে অভিনেতার নামে নয়, দর্শক তাঁকে ওই নামেই চিনবেন। বিশেষ করে টেলিভিশনের অভিনেতাদের ক্ষেত্রে এমন অভিজ্ঞতা বেশিই হয়। 'ইরাবতীর চুপকথা'-র রানা চরিত্রটি এতটাই প্রভাব ফেলেছে দর্শকের মধ্যে যে সোশাল মিডিয়ায় ইদানীং এই চরিত্রটি নিয়ে মিমও দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মা দুর্গা’ রূপে আসছেন মধুমিতা, কে হলেন মহাদেব?
''এখনও পর্যন্ত টেলিভিশনে যে যে চরিত্রগুলো করেছি, আমার পার্সোনাল ফেভারিট লিস্টে রানা চরিত্রটা প্রথম তিনের মধ্যে থাকবে। দর্শক ইদানীং মারাত্মক রেগে আছেন আমার উপর। 'অদ্বিতীয়া'-য় একটি নেগেটিভ করেছি। নাম ছিল মহাদেব, সেটা আমার খুব প্রিয় ছিল। এখন 'ইরাবতীর চুপকথা' ছাড়া আকাশ ৮-এর একটা মেগাতেও প্রধান খলনায়কের চরিত্রটা করি। আর রয়েছে রানা'', বলেন যুধাজিৎ, ''তাছাড়া কিছু খুব প্রিয় চরিত্র রয়েছে 'ভুতু'-র জেঠুমণি আর 'জামাই রাজা'-তে একটা কমিক চরিত্র ছিল। তারও অনেক আগে অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'পাশের বাড়ির মেয়ে' আর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের 'চোরাবালি'-তে খুব প্রিয় দুটো চরিত্র করতাম।''
'ইরাবতীর চুপকথা'-তে রানা সম্পর্কে ইরাবতীর খুড়শ্বশুর। ইরাবতীর শ্বশুরমশায়ের বাড়ি শেষের কবিতা দখল করতে সম্প্রতি অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে এই চরিত্রটি। একটা সময়ে সে ছিল প্রবাসী বাঙালি কিন্তু বিদেশ থেকে ফিরে বাড়িটি হাতিয়ে নিয়ে প্রোমোটারের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে রানা। আর সেখানেই বাদ সাধছে ইরাবতী। সঙ্গে ইরাবতীর স্বামী আকাশ চ্যাটার্জিও। ওই বাড়িটি এখন আকাশের মা দেবী-র নামে যাকে দিয়ে জোর করে নকল উইলে সই করিয়ে নিয়েছে রানা। সব মিলিয়ে গল্প জমজমাট। রানার উপর দর্শকের রাগ যত বাড়ছে, ততই বেশি ভালো লাগছে যুধাজিতের।
আরও পড়ুন: সেরার স্থান দখলে রাখল ‘ত্রিনয়নী’, তৃতীয় ‘বকুলকথা’
''ঠিক ১২ বছর হল আমার এই ইন্ডাস্ট্রিতে। প্রথম ৪ বছর কাজ খুঁজতে আর হিউমিলিয়েশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কেটে গেল। তার পরের ৪ বছর একটু একটু করে কাজ পাওয়া শুরু হয়। আর শেষ ৪ বছরে খুব ভাল কাজ পেয়েছি ও করেছি দর্শকের শুভকামনায় ও ভালোবাসায়। তবে আমার ইচ্ছে, অভিনয়ের পাশাপাশি আবার ক্যামেরার পিছনের কাজও শুরু করা। আমি একটা সময়, এগজিকিউটিভ প্রোডিউসার, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছি। সেই দিকগুলো আবারও এক্সপ্লোর করার ইচ্ছে আছে'', বলেন যুধাজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।