বাংলা ছবির কর্মাশিয়াল হিরোদের তালিকায় কনসিসট্যান্ট নাম তিনি। নানা ওঠা-পড়ার মধ্যে দিয়ে টলিউডের জনপ্রিয় মুখ সোহম চক্রবর্তী। সত্যজিৎ রায়ের হাতে সিনেমা জগতে হাতেখড়ি। রাজনৈতিক জীবন, প্রযোজক সোহম থেকে নতুন ছবি '১৭ই সেপ্টেম্বর' নিয়ে কথা বললেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে।
সম্পর্কের ভাঙা-গড়া নিয়ে ১৭ই সেপ্টেম্বর...
(কথা কেটে) হ্যাঁ! সোশাল মিডিয়ার যুগে সেটা আরও বেশি করে বোঝা যায়। দুটো পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক, বিয়ে এবং সেই সম্পর্কের ক্রাইসিস নিয়ে ছবিটা। আসলে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ইএমআইয়ে ঝুঁকছে মানুষ। ওই যে একটা প্রবাদ রয়েছে চাদর অনুযায়ী পা বাড়ানো প্রয়োজন, সেইটা ভুলে যাচ্ছি আমরা। লিমিট বুঝতে কোথাও অসুবিধা হচ্ছে, এটাই ছবির বিষয়।
সোহম কতটা এগুলো মেনে চলতে পারে?
(হাসি) অনেকটাই চলি মেনে। যাঁরা আমায় চেনেন তাঁরা জানেন ভীষণ জেদি আমি। স্ট্রাগল করে উঠেছি তো ইচ্ছেগুলোকে না দমিয়ে রেখে চটজলদি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিই। আমার প্রথম গাড়িটা এভাবেই কিনেছিলাম। এখন একটু ভেবে পা ফেলছি।
সতরোই সেপ্টেম্বর ছবির দৃশ্যে সোহম-অরুণিমা।
আরও পড়ুন, ‘হে গর্ভধারিণী’ নয় ‘ধর্মযুদ্ধ’-এর সামনে রাজ-শুভশ্রী
মানে সোহম পরিণত হচ্ছে?
না বুড়ো হচ্ছি (মজার ছলে)।
ভীষণ খেতে ভালবাসেন তো! একবার বলেছিলেন 'পেটের জন্য কাজ', এখনও কি সেই খাওয়ার প্রতি প্রেম রয়েছে?
খেতে আমি এখনও অত্যন্ত ভালবাসি। তবে এখন নিয়ন্ত্রণে থাকতে হচ্ছে নইলে চাকরি চলে যাবে (হাসি), বাবু বলবে আউট। পেশার খাতিরে নিজেকে সুস্থ রাখছি।
পরিচালক অমিতাভর সঙ্গে সোহম চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন, অন্তর্দ্বন্দ্বের ‘স্তর’ ছাপিয়ে রূপমের অন্য প্রয়াস
রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে অনেকদিন পর কাজ করছেন...
সেই ছবির জন্য এখন এই লুকটা দেখতে পাচ্ছেন। দীর্ঘদিন রাজদার সঙ্গে কাজ করছি এবং আমার-রাজের আলাদা রসায়ন রয়েছে। 'প্রেম আমার' সোহমকে তৈরি করেছে। তবে এই ছবিটা প্রতিটা মানুষকে ছুঁতে পারবে। আমার রাজদার থেকে পাওয়া সেরা চরিত্র।