''জীবনে যদি সবথেকে বেশি কিছু জরুরি থেকে থাকে তা হল জীবন'', নিজের ছবির এই সংলাপকে সঙ্গী করে চলতে পারলেন না অভিনেতা। বছর ৩৪ এর এক তরতাজা প্রাণ চলে গেল রবিবারের দুপুরে। পুলিশের অনুমান আত্মঘাতী হয়েছেন সুশান্ত। মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। পুলিশ মনে করছে, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে আত্মঘাতী হয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত এবং কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।
মার্চে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই দুজন রাঁধুনি, একজন পরিচারক ও তাঁর ম্যানেজারের সঙ্গে মুম্বইয়ের অ্যাপার্টমেন্টে থাকছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ অফিসার বলেন, ''ওর রাঁধুনি আমাদের বলেন ১০টায় ঘুম থেকে ওঠার পর এক গ্লাস জুস খান অভিনেতা, তারপরে আবার নিজের ঘরে চলে যান তিনি। কিছুঘন্টা পরে দুপুরে কী খাবেন জিজ্ঞেস করতে গেলে দেখেন অভিনেতার ঘরের দরজা বন্ধ। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় চারজনেই স্তম্ভিত হয়ে যান। তাঁকে ফোনও করেন। কিন্তু কোনও উত্তর মেলেনি। দুঘন্টা পরে গুরগাঁওয়ে সুশান্তের বোনকে জানান তাঁরা।''
আরও পড়ুন, বিবেকানন্দের উপর তথ্যচিত্র বানানো স্বপ্নই রয়ে গেল সুশান্তের
সুশান্তের বোনও অনেক চেষ্টা করে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তারপরেই কাই পো চে অভিনেতার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। পরে নকল চাবি তৈরির লোক ডেকে, দরজা খুললে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় সুশান্তের দেহ। অভিনেতার প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা স্যালিয়ানের মৃত্যুর একদিন পরেই চলে গেলেন তিনি। ৯ জুন বহুতলের জানালা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন দিশা।
আরও পড়ুন, বলিউডের ‘মাহি’ নেই, শোকস্তব্ধ বলিউড, শাহরুখ লিখলেন, ”খুব মিস করব”
একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বিএমসি জানায়, ৩.৩০ নাগাদ ভিলে পার্লের কুপার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে সুশান্তের দেহ। ''মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে বিকেল ৪টে নাগাদ। সমস্ত নিয়মকানুন মিটিয়ে, তাঁর দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে মুম্বই পুলিশকে। তাঁর অটোপসি শেষ হতে বেশ রাত হবে।''
তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত বলিউড থেকে সাধারণ মানুষ। পাটনায় পৈতৃক বাড়ি ও মুম্বইয়ে সুশান্তের বাড়ির সামনে জমা হয়েছে মানুষ। নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে তাঁর বাড়ি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন