Kanchan Mullick: আরজি কর কাণ্ড গোদের উপর বিষফোড়ার মতো এবার দলের নেতা-কর্মীদের কুকথা আরও চাপ বাড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে দলনেত্রী ফোঁস করতে বলেছিলেন। কিন্তু নেতা-কর্মীদের সেই ফোঁসের জেরে বিপাকে পড়েছে দল। রবিবারই সেরকমই ফোঁস করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। তাঁর মন্তব্যে ঢি ঢি পড়ে যেতেই সমালোচনার বন্যা বয়ে যায়। এবার নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন কাঞ্চন।
রবিবার তিনি কোন্নগরে তৃণমূলের প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করেন জুনিয়র ডাক্তারদের। বলেন, 'মাসের শেষে সরকারি বেতন, পুজোর আগে বোনাস হাত পেতে নেবেন তো?' জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে কটূক্তির জেরে সোমবার দিনভর সমালোচিত হন কাঞ্চন মল্লিক। বিরোধী দলের নেতারা তো বটেই, চলচ্চিত্র জগতে তাঁর সহকর্মী-বন্ধুরাই তীব্র নিন্দা করেন তাঁর। বয়কটের হুমকি দেন সহকর্মীরাই। তাঁর বিবেকবোধ নিয়ে প্রশ্ন করেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাই। শেষপর্যন্ত তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।
কী বলেছেন কাঞ্চন মল্লিক?
সোমবার একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, 'গতকাল একটি ধরনামঞ্চে আমি কিছু মন্তব্য করে ফেলি। যা নিয়ে সমালোচনা হয়। আমি আমার বক্তব্যের জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত।' তিনি আরও বলেছেন, 'আমি কোনও সাফাই গাওয়ার জন্য ভিডিওটি করিনি। অন্তর থেকে নিজের ভুল অনুভব করতে পেরেছি। বাড়িতে আমারও স্ত্রী, অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন। যাঁকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসা পরিষেবার প্রয়োজন পরে। এ ছাড়া, আরও অনেককেই প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষেবার ব্যবস্থা করে দিই।'
কেন ধৈর্যচ্যুতি তার কারণও তুলে ধরেন তিনি ভিডিও-তে। জানিয়েছেন, তাঁর ভাইয়ের সমান এক বন্ধুর মা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ থেকে মৃতপ্রায়। ওই ব্যক্তি সেদিনও পরিষেবার কারণে কাঞ্চনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু ডাক্তারদের কর্মবিরতি থাকায় মহিলাকে বাঁচানো যায়নি। সেদিনই ভেঙে পড়েন কাঞ্চন।
আরও পড়ুন 'একা হয়ে যাবেন, আপনি জননেতা...', কাঞ্চনকে মোক্ষম দাওয়াই অনন্যার
কাঞ্চনের আগের মন্তব্যে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের অনেকেই ব্যথিত হয়েছিলেন। নাট্য পরিচালক সুজন নীল মুখোপাধ্যায় তাঁকে তাঁর আগামী নাটক থেকে বাদ দিয়েছেন। বন্ধু অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীও তাঁকে 'ত্যাগ' দিয়েছেন। অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেনরাও সমাজমাধ্যমে চরম কটাক্ষ করেছেন কাঞ্চনকে। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই কি ক্ষমাপ্রার্থী কাঞ্চন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Kanchan Mullick: 'আমি লজ্জিত-ক্ষমাপ্রার্থী', দিনভর সমালোচিত হয়ে অবশেষে ভুলস্বীকার কাঞ্চনের
Kanchan Mullick: ফোঁস করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন কাঞ্চন মল্লিক। সোমবার সমালোচনার ঝড় বইতেই ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চাইলেন 'লজ্জিত' কাঞ্চন মল্লিক। অন্তর থেকে নিজের ভুল অনুভব করতে পেরেছেন বিধায়ক-অভিনেতা।
Follow Us
Kanchan Mullick: আরজি কর কাণ্ড গোদের উপর বিষফোড়ার মতো এবার দলের নেতা-কর্মীদের কুকথা আরও চাপ বাড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে দলনেত্রী ফোঁস করতে বলেছিলেন। কিন্তু নেতা-কর্মীদের সেই ফোঁসের জেরে বিপাকে পড়েছে দল। রবিবারই সেরকমই ফোঁস করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। তাঁর মন্তব্যে ঢি ঢি পড়ে যেতেই সমালোচনার বন্যা বয়ে যায়। এবার নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন কাঞ্চন।
রবিবার তিনি কোন্নগরে তৃণমূলের প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করেন জুনিয়র ডাক্তারদের। বলেন, 'মাসের শেষে সরকারি বেতন, পুজোর আগে বোনাস হাত পেতে নেবেন তো?' জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে কটূক্তির জেরে সোমবার দিনভর সমালোচিত হন কাঞ্চন মল্লিক। বিরোধী দলের নেতারা তো বটেই, চলচ্চিত্র জগতে তাঁর সহকর্মী-বন্ধুরাই তীব্র নিন্দা করেন তাঁর। বয়কটের হুমকি দেন সহকর্মীরাই। তাঁর বিবেকবোধ নিয়ে প্রশ্ন করেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাই। শেষপর্যন্ত তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।
কী বলেছেন কাঞ্চন মল্লিক?
সোমবার একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, 'গতকাল একটি ধরনামঞ্চে আমি কিছু মন্তব্য করে ফেলি। যা নিয়ে সমালোচনা হয়। আমি আমার বক্তব্যের জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত।' তিনি আরও বলেছেন, 'আমি কোনও সাফাই গাওয়ার জন্য ভিডিওটি করিনি। অন্তর থেকে নিজের ভুল অনুভব করতে পেরেছি। বাড়িতে আমারও স্ত্রী, অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন। যাঁকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসা পরিষেবার প্রয়োজন পরে। এ ছাড়া, আরও অনেককেই প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষেবার ব্যবস্থা করে দিই।'
কেন ধৈর্যচ্যুতি তার কারণও তুলে ধরেন তিনি ভিডিও-তে। জানিয়েছেন, তাঁর ভাইয়ের সমান এক বন্ধুর মা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ থেকে মৃতপ্রায়। ওই ব্যক্তি সেদিনও পরিষেবার কারণে কাঞ্চনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু ডাক্তারদের কর্মবিরতি থাকায় মহিলাকে বাঁচানো যায়নি। সেদিনই ভেঙে পড়েন কাঞ্চন।
আরও পড়ুন 'একা হয়ে যাবেন, আপনি জননেতা...', কাঞ্চনকে মোক্ষম দাওয়াই অনন্যার
কাঞ্চনের আগের মন্তব্যে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের অনেকেই ব্যথিত হয়েছিলেন। নাট্য পরিচালক সুজন নীল মুখোপাধ্যায় তাঁকে তাঁর আগামী নাটক থেকে বাদ দিয়েছেন। বন্ধু অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীও তাঁকে 'ত্যাগ' দিয়েছেন। অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেনরাও সমাজমাধ্যমে চরম কটাক্ষ করেছেন কাঞ্চনকে। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই কি ক্ষমাপ্রার্থী কাঞ্চন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।