Jamai Sasthi, Ankita Majumder: জৈষ্ঠ্য মাস পড়লেই বহু বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় উৎসবটি নিয়ে বেশ হইহই শুরু হয়ে যায়। বিবাহবার্ষিকী বাদ দিলে এই একটি উৎসবই রয়েছে বিবাহিত বাঙালি দম্পতিদের জীবনে, যা নিতান্তই তাঁদের এক্সক্লুসিভ। 'জামাই-আদর' ব্য়াপারটার মধ্য়ে অপরিসীম স্নেহ রয়েছে। আবার বিয়ের পরে দুই পরিবারের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠার একটা সেতুবন্ধন কিন্তু জামাই ষষ্ঠী।
এই বছর জানুয়ারিতে বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা মজুমদার। স্বামী সৌমিত্র পাল বাঙালি, কিন্তু প্রবাসেই বড় হয়েছেন, পড়াশুনোও বাংলার বাইরে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত আইটি কোম্পানির হেডকোয়ার্টার বেঙ্গালুরুতে। সব মিলিয়ে বেশিরভাগ সময়টা বাংলার বাইরেই কেটেছে তাঁর। তাই বাঙালির এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি নিয়ে খুব একটা ওয়াকিবহাল নন সৌমিত্র। কিন্তু অঙ্কিতা ও সৌমিত্র, দুজনের পরিবারেই এবছরের জামাই ষষ্ঠী নিয়ে প্রবল উচ্ছ্বাস রয়েছে।
''সবচেয়ে বেশি এক্সাইটেড আমার মা। এতদিন ধরে বলত, বিয়ে করে নে, বিয়ে করে নে, বেশ জামাইকে ভাল করে খাওয়াব। এবার সেই দিন এসেছে," ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানালেন অঙ্কিতা। "আর সৌমিত্র তো কিছুই জানে না জামাই ষষ্ঠীর ব্যাপারে। এবছর তো প্রথম বছর। আর প্রথম বছর বাবা-মায়ের জন্য তো কিছু কিনতে হয়। সেই শপিং করতে বেরিয়েছি যখন ও জিজ্ঞেস করছে, জামাই ষষ্ঠীটা আসলে কী। কোনও পুজো হয়? আমি যতটুকু জানি, সেটুকুই বললাম যে শাশুড়ি উপোস করে, জামাই এলে ষাটের জল ছিটিয়ে, জামাইকে পাখার বাতাস করতে হয়, যাতে জামাইয়ের মাথা ঠান্ডা থাকে, আর ভালমন্দ রেঁধে খাওয়াতে হয়।"
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় স্থানে ‘ত্রিনয়নী’, পিছিয়ে গেল ‘রাসমণি’
সৌমিত্রর কাছে ব্যাপারটা অভিনব, কিন্তু এই গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁর বেশ আগ্রহও রয়েছে, জানালেন অঙ্কিতা। ঠিক কীভাবে পালন করা হয় এই আচার, তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হতে চলেছে প্রথমবার, সেই নিয়ে সৌমিত্র যেমন কৌতূহলী, তেমনই খুশি অঙ্কিতার শ্বশুর-শাশুড়িও। "আমার শ্বশুরবাড়িতেও জামাই ষষ্ঠীর নিয়ম রয়েছে কিন্তু আমার শ্বশুরমশাই তাঁর শ্বশুরবাড়িতে খুব একটা গিয়ে উঠতে পারেন নি জামাই ষষ্ঠীতে। তাই ছোটবেলাতেও সৌমিত্রর তেমন কোনও অভিজ্ঞতা নেই। আমার শাশুড়ি কিন্তু খুবই খুশি এই নিয়ম পালন নিয়ে," জানালেন অঙ্কিতা।
আরও পড়ুন: রাজীবের নতুন ছবিতে এলেন দর্শনা
তবে প্রথম বছরের জামাই ষষ্ঠীতেও শুটিংয়ে যেতে হবে অভিনেত্রীকে। অঙ্কিতা জানালেন, আগামীকাল সারেগামাপা-র সেটে যেতে হবে একটি স্পেশাল এপিসোডের শুটিংয়ের জন্য়। তাই সকালের জলখাবারটি মিস হবে। কাজেই সৌমিত্রকে নিয়ে লাঞ্চেই বাপের বাড়িতে পৌঁছবেন অঙ্কিতা। বাবার জন্য টিশার্ট আর মায়ের জন্য় খাদি জামদানি শাড়ি কিনেছেন অভিনেত্রী। জামাই ষষ্ঠীর মূল আকর্ষণ তো খাওয়াদাওয়া। অঙ্কিতা জানালেন, কাল লাঞ্চের মেনুতে বিশেষ আকর্ষণ ইলিশ। সঙ্গে চিকেন, পাঁচ রকম ভাজা, মিষ্টি ইত্য়াদি তো রয়েছেই।
এছাড়া কাল বিকেল চারটেয় জি বাংলা রান্নাঘর-এ সম্প্রচারিত হবে অঙ্কিতার জামাই ষষ্ঠী স্পেশাল এপিসোড। অর্থাৎ বলতে গেলে আগামীকাল অঙ্কিতার 'ডবল জামাই ষষ্ঠী'।