/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/02/karisma-2025-09-02-09-58-01.jpg)
বিয়ে ভাঙ্গার যন্ত্রণা যা বুঝেছিলেন...
বলিউডে টানা দুটি সুপারহিট ছবির সাফল্যের পর, ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকা অবস্থায় করিশ্মা কাপুরের জীবনে আসে বড় পরিবর্তন। কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের ছেলে, উদীয়মান তারকা অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে তার বাগদান হয়েছিল। সেই সময় তাদের বিয়ে নিয়ে একাধিক শিরোনাম তৈরি হয়েছিল। কারিশ্মাকে প্রায়ই বচ্চন পরিবারের সঙ্গে দেখা যেত, এমনকি এক অনুষ্ঠানে জয়া বচ্চন তাকে সবার সামনে "ভবিষ্যতের পুত্রবধূ" বলে উল্লেখও করেছিলেন। তবে কয়েক মাস পর হঠাৎ করেই বাগদান ভেঙে যায়।
বিচ্ছেদের প্রকৃত কারণ কখনো প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে করিশ্মা নিজেই পরবর্তীতে স্বীকার করেছিলেন যে সে সময়টা তার জীবনের অন্যতম কঠিন অধ্যায় ছিল। তিনি এটিকে 'অত্যন্ত বেদনাদায়ক' অভিজ্ঞতা বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, "আমি চাই না কোনও মেয়েই এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাক।"
২০০৩ সালে রেডিফ-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে করিশ্মা আরও জানান কেন তিনি সেই সময় আলোচনার বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার কথায়, "আমি ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম। দুঃখ প্রকাশ করার জন্য তখন প্রস্তুত ছিলাম না। নীরবতা বেছে নিয়েছিলাম কারণ আমি এমন একজন মানুষ, যিনি কম কথা বলতে ভালোবাসেন।"
Ankita Lokhande: হৃদয় ভেঙ্গে দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে, সুশান্তের পর অকালমৃত্যু প্রিয়ার, মানতেই পারছেন না অঙ্কিতা
তিনি আরও যোগ করেন, "বছরের শুরুটা ছিল আমার জন্য কষ্টের সময়। যন্ত্রণা একাই সামলাতে হয়েছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, সময়ই সেরা নিরাময়কারী। যতটা ভেঙে পড়েছিলাম, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখেছি। আমি শুধু এটুকুই বলব- যা ভাগ্যে লেখা, সেটাই ঘটে। জীবনে অনেক সময় এমন কিছু পরিস্থিতি আসে যেগুলোর জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকি না, তখন কেবল স্রোতের সঙ্গে ভেসে চলতে হয়।"
তখনকার গুঞ্জন অনুযায়ী, করিশ্মার মা ববিতা কাপুর ও বচ্চন পরিবারের মধ্যে মতবিরোধই বাগদান ভাঙার মূল কারণ ছিল। তবে করিশ্মা জানিয়েছিলেন, সেই সংকটময় সময়ে পরিবারের অকুণ্ঠ সমর্থনই তাকে ভরসা জুগিয়েছিল। তিনি বলেন, “আমার বাবা-মা (ববিতা ও রণধীর কাপুর), বোন (করিনা কাপুর), দিদা কৃষ্ণা রাজ কাপুর, দুই মাসি রিমা জৈন ও ঋতু নন্দা এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের জন্যই আমি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।”
পরে করিশ্মা ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন। তবে এক দশকেরও বেশি সময় একসঙ্গে থাকার পর তারা আলাদা হয়ে যান, যদিও দুই সন্তানের বাবা-মা হিসেবে সম্পর্ক বজায় রাখেন। সঞ্জয় কাপুর ২০২৫ সালের ১২ জুন প্রয়াত হন।