সদ্য বলিউডের দুই ফিল্মি পরিবার ভাট-কাপুররা আত্মীয়তার বন্ধনে বেঁধেছেন। গত বৃহস্পতিবারই রণবীর-আলিয়ার চার হাত এক হয়েছে। যে বিয়ে নিয়ে গোটা বি-টাউন তো বটেই, এমনকী বর-কনে পক্ষের মা-বাবারও শোরগোলের অন্ত নেই। মা নীতু কাপুর বউমা আলিয়াকে পরিবারে স্বাগত জানাতে পেরে বেজায় খুশি। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে ফেলেছেন যে, "এবার থেকে বউমা আলিয়ার কথাতেই সংসার চলবে।" ছেলের বিয়ে দিয়ে প্রায় চিন্তামুক্ত হয়েছেন! তাঁর পোস্ট দেখলেই তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। অন্যদিকে, আলিয়ার মা-বাবা সোনি রাজদান-মহেশ ভাটের মন্তব্য, “পরিবারে জামাই নয়, ছেলে পেলাম।” শ্বশুরমশাই মহেশ তো রণবীরের নাম-ই নিজের হাতে মেহেন্দি করিয়েছেন। দুই পরিবার যে একে-অপরের সঙ্গে বেশ মিশে গিয়েছেন, তা বলাই বাহুল্য। আর বুধবার 'বেয়ান-বেয়াই'য়ের বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে অভিনবভাবে শুভেচ্ছা জানালেন জামাইয়ের মা নীতু কাপুর।
১৯৮৬ সালের ২০ এপ্রিল সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন সোনি রাজদান ও মহেশ ভাট। বুধবার তাঁদের ৩৬তম বিবাহবার্ষিকী। 'রাজি' অভিনেত্রী সোনি ইতিমধ্যেই স্বামী মহেশের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করে আবেগপ্রবণ বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শেক্সপীয়র-রচনার এক উদ্ধৃতি শেয়ার করেছেন। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, "বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আকর্ষণ আরও বাড়বে বই কমবে না।" সোনি রাজদানে মতে, "এই কথা আমাদের বৈবাহিক জীবনের ক্ষেত্রে সর্বৈবভাবে খাটে। শুভ বিবাহবার্ষিকী প্রবীণ বন্ধু। আগামীর আরও মজার মুহূর্তের উদ্দেশে উল্লাস।" সোনি রাজদানের এমন পোস্টে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই। তবে সকলের মাঝে নজর কাড়ল 'বেয়ান' নীতুর শুভেচ্ছাবার্তা।
<আরও পড়ুন: হানিমুনের সময় নেই! বিয়ের পর-ই রাজস্থানে শুটের জন্য আলিয়া, হিরের আংটি দেখে ভক্তরা বলছেন…>
কী করলেন ছেলের মা নীতু কাপুর? সোনি রাজদান ও মহেশ ভাটের একটি ছবি ইনস্টা স্টোরিতে শেয়ার করে লিখলেন, "বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা বেয়াই ও বেয়ানকে। অনেক ভালবাসা আর আলিঙ্গন।" তবে শুধু নীতু-ই নন, রণবীরের দিদি রিধিমা কাপুর সাহানিও বলিউডের প্রবীণ তারকাদম্পতির ছবি শেয়ার করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে সিমি গেরিওয়ালের টক শোয়ে একবার সোনি রাজদান ও মহেশ ভাট তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, কীভাবে তাঁরা প্রেমে পড়লেন ও এতবছরের দাম্পত্যজীবন ভালবাসায় কাটিয়ে দিলেন। মহেশ জানিয়েছিলেন, "সোনি আমার জীবনের চড়াই-উতরাই খুব কাছ থেকে দেখেছে। যখন আমার মদ্যপানের অভ্যেসটা প্রায় রোগের মতো হয়ে উঠেছিল, সেই কষ্টের দিনগুলোতে ও পাশে ছিল। এমন চরম দুঃসময়কে মানিয়ে নিতে ও কোনওরকম সমস্যা না করেই আমার ভগ্ন পরিবারের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন