/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/03/lead-2.jpg)
ছবি: পূজারিনি ঘোষের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে
অভিনেত্রী পূজারিনি ঘোষ ইদানীং বেশ কিছুটা সময় থাকছেন মুম্বইতে। আর কিছুদিন পরেই মুক্তি পেতে চলেছে বলিউড ছবি 'জেএল ৫০' যেখানে অভয় দেওলের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। ওদিকে সদ্য শেষ হয়েছে সৌম্যজিৎ মজুমদারের ছবি 'হ্যাশট্যাগ হোমকামিং'-এর একটি শিডিউলের শুটিং, যে ছবিতে রয়েছেন মুম্বই ও কলকাতার এই প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এর মধ্যেই নামের বানান পরিবর্তনের ঘোষণা করলেন অভিনেত্রী।
আসলে পরিবর্তনটা ইংরেজি নামে, বাংলা নামের ক্ষেত্রে নয়। এতদিন তাঁর নামটি ইংরেজিতে লেখা হতো Pujarini। এখন থেকে এই নামটি লেখা হবে এইভাবে-- Pujarni। অভিনেত্রীর বক্তব্য, যাঁরা বাঙালি নন তাঁরা ওইভাবেই মূলত নামটি উচ্চারণ করে থাকেন, বিশেষ করে মুম্বইতে। ''আসলে একটা সমস্যা হচ্ছিল। অনেকেই ভুল করে পূজারিনি না লিখে পূজারানি লিখে দিত। হিন্দিভাষীরা তো পূজারনি বলে উচ্চারণের সময়, আমরা বাঙালিরাই পূজারিনি লিখি এবং বলি। কিন্তু মুম্বইতে কাজ করার সময় এই নামের ইংরেজি বানান নিয়ে একটা কনফিউশন তৈরি হয়। তাই এবার অফিসিয়ালি নামটা বদলে নিলাম'', বলেন পূজারিনি।
আরও পড়ুন: তোমার ঠোঁট যথেষ্ট পুরুষ্টু নয়, আমাকে বলা হয়েছিল: শ্রুতি হাসান
বাংলা নামের ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে শুধু যে নামের বানানটা বদলেছে তা নয়, পূজারিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন তাঁর বাবার নামটি। আর সবটাই ঘটেছে নিউমেরোলজি মেনে। অভিনেত্রীর মতে, এই নিউমেরোলজি অনুযায়ী নাম পরিবর্তন পুরোপুরি বৈজ্ঞানিক বিষয়। এক বিশ্বখ্যাত নিউমেরোলজিস্টের পরামর্শ নিয়েই পরিবর্তনটা আনুষ্ঠানিক করেছেন, এমনটাই জানালেন পূজারিনি।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/03/WhatsApp-Image-2020-03-01-at-19.32.43.jpeg)
অভিনেত্রী এই মুহূর্তে কেরিয়ারের খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন। এক বছর আগে সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত হয়েছিল অভয় দেওলের সঙ্গে তাঁর বলিউড ছবির কথা। সেই ছবিটি কিছু কারণবশত এতদিন মুক্তি পায়নি। পূজারিনি জানালেন ওই ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। ''জেএল৫০ একটা সায়েন্স ফিকশন। দারুণ একটা ছবি। ওখানে আমি অভয়ের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছি। অভয়ের সঙ্গে কাজ করা একটা অ্যামেজিং অভিজ্ঞতা। একটা সিন ছিল আমাদের যেখানে আমরা পাশাপাশি বসে। আমি ওর কাঁধে মাথা রেখে ঘুমোচ্ছি। আমার ঘুম ভেঙে যাবে আর আমি দেখব ও আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ওই শটটা যখন চলছে ডিরেক্টর তখনও কাট বলেনি'', বলেন পূজারিনি, ''অভয় এত সুন্দর ভাবে ক্যারেক্টারটা প্লে করছিল, আমার হঠাৎ কী মনে হল আমি ওর হাতটা টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরে আবার শুলাম। এটা ঠিক বলা ছিল না আগে কিন্তু ও এই স্বতঃস্ফূর্ত ব্যাপারটা এত সুন্দর অ্যাকসেপ্ট করল, শটের সময়। খুব অ্যাকোমোডেটিভ অভিনেতা না হলে এটা হতো না। আর ও মেয়েদের প্রতি অত্যন্ত রেসপেক্টফুল। এমন হতো যদি একটা চেয়ার থাকে, যতক্ষণ না আমার চেয়ার আসত, ও বসত না শুটিংয়ে।''
আরও পড়ুন: সৃজিত-মিথিলার রিসেপশনে কে কেমন সাজলেন, রইল অ্যালবাম
এছাড়া সদ্য শেষ হয়েছে 'হ্যাশট্যাগ হোমকামিং'-এর একটি শিডিউলের শুটিং। সৌম্যজিৎ মজুমদার পরিচালিত এই ছবিতে দেখা যাবে মুম্বই ও কলকাতার একটি অনসম্বল কাস্ট যেখানে প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন পূজারিনি ঘোষ, সোহম মজুমদার, সায়নী গুপ্তা, আর জে সায়ন, তুষার পান্ডে, হুসেইন দালাল ও তুহিনা দাস। এই ছবিটি সম্ভবত সামনের বছর মুক্তি পাবে কারণ ছবির পরবর্তী শুটিং শিডিউল পড়বে এবছর শারদোৎসবের সময়।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/03/WhatsApp-Image-2020-03-01-at-19.32.50.jpeg)
''এই এক বছরে আমাদের কলকাতার অ্যাক্টরদের কাজের পরিধিটা অনেকটা পাল্টেছে এবং সেটা অনেকটাই ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য। মুম্বইয়ের অনেক হাউস, অনেক ডিরেক্টরই এখন কলকাতার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন। বাংলা ছবি তো আমি করছি এবং করব। কিন্তু পাশাপাশি যখন সুযোগ আসছে, তখন কলকাতার বাইরের কাজও করব। আপাতত মুম্বই আর কলকাতায় ভাগাভাগি করে থাকছি, যখন যেমন কাজ শুটিং শিডিউল পড়ছে'', অভিনেত্রী জানান।
তবে কি এই নামের বানানে রদবদল তাঁর পেশাগত জীবনে সত্যিই সুপ্রভাব ফেলছে? বলিউডের বেশ কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীর ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা ঘটেছে। অভিনেত্রীর বক্তব্য, ''একটা ইতিবাচক ব্যাপার যে ঘটছে, সেটা তিনি অনুভব করছেন। তবে সেটা শুধু কেরিয়ার নিয়ে নয়, সামগ্রিক ভাবেই। আমার সব সময়েই লক্ষ্য ছিল এমন কিছু কাজ করব, যেটা করে আমি নিজে স্যাটিসফায়েড থাকব। আমি সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। আমি কারও সঙ্গে কমপিট করিনা কখনও। আমার কম্পিটিশন আমার নিজের সঙ্গে, পরের কাজটা যাতে আগের কাজটাকে ছাপিয়ে যাই, সেটাই আমার লক্ষ্য থাকে'', বলেন পূজারিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন