উৎসব মানেই আপনজন, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া, বেজায় আনন্দ। আর দুর্গাপুজো হলে তো কোনও কথাই নেই। ভোগ-মিষ্টি থেকে কোক-পেস্ট্রি সহযোগে দেদার পার্টি। তার সঙ্গে নতুন জামা-কাপড়, জুতো তো আছেই! কিন্তু ওরা? যারা পথের ধারে খোলা আকাশের নিচে বসে শুধু পুজোর আনন্দে আতসবাজির রোশনাই দেখে! পেটপুরে পুজোর খাওয়া-দাওয়া তো দূরে থাক, এই উৎসবের রোশনাইয়ে ওদের গায়ে দেওয়ার সেরকম পোশাক অবধি নেই! সম্বল বলতে কয়েকটা কাপড়। কেউ ভাবে না ওদের কথা! কিন্তু ভেবেছেন। ভেবেছেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী।
বরাবরই তিনি মানবসেবায় বিশ্বাসী। এর আগেও ব্যতিক্রমী মানসিকতার প্রমাণ দিয়েছেন। কখনও উৎসবের আনন্দ পথশিশুদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তো, আবার কখনও বা তাদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন বইপত্র, অত্যাবশকীয় পণ্য থেকে শুরু করে জামা-জুতো। এবারও তার অন্যথা হল না। পুজো উপলক্ষে ২১০ জন বসতিবাসী শিশুকে জামা, ব্যাগ উপহার দিলেন। শুধু তাই নয়, পেটভরে তাদের বিরিয়ানি খাওয়ার আয়োজনও করলেন টলিউড নায়িকা। সঙ্গে অবশ্য পাশে পেয়েছেন মা শতরূপা সান্যাল এবং বন্ধুবান্ধবদের। ওদের মুখে ফোটা হাসি আর অনাবিল আনন্দই হয়তো ঋতাভরীর এবারের পুজোর উপহার।
আরও পড়ুন স্টেরয়েড কমাতেই সমস্যা! শারীরিক অবস্থার অবনতি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের
মা শতরূপা সান্যালের বন্ধু এমানুল হক 'ভাষা ও চেতনা' পাঠশালা নামে একটি স্কুল চালান। সেখানেই পড়াশোনা করে ওই শিশুরা। এবারের পুজো সত্যিই আর পাঁচটা বছরের থেকে অন্যরকম। অতিমারীর প্রকোপে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দর্শন করা থেকে শুরু করে বাইরে জমিয়ে আড্ডা-খাওয়া সবই বন্ধ। তারই মাঝে এই শিশুগুলিও দুর্গোৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত ছিল, তবে ওদের মুখে হাসি ফোটাতেই ঋতাভরীর চক্রবর্তীর এই উদ্যোগ। ফেসবুকে এদিনের বেশকিছু ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। সেখানেই অভিনেত্রীর এবারের 'অন্যরকম পুজোর' ছবি ধরা দিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন