৫০ পা দূরেই দাঁড়িয়ে বিমান। বিমানে ওঠার সিঁড়িও খোলা হয়নি তখনও! বোর্ডিং পাস, সিট নম্বর সবই রয়েছে। কিন্তু বিমানে উঠতে দেওয়া হল না অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। ৪০ মিনিট ধরে বিমানবন্দরের কর্মীদের অনুরোধ করেও লাভ হয়নি। অভিনেত্রীর সঙ্গে বাঁধে বচসাও। বিমানে উঠতে না পারার কষ্টে কেঁদেও ফেলেন ঋতুপর্ণা। এমন ঘটনার শিকার হওয়ার পর মঙ্গলবার বেলায় ফেসবুকে গোটা ঘটনা জানিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন অভিনেত্রী।
ঠিক কী হয়েছে? ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর পোস্টে উল্লেখ, তাঁর গন্তব্য ছিল আমেদাবাদ। খ্যাতনামা এক সংস্থার বিমানে যাওয়ার কথা। বোর্ডিংয়ের সময় মঙ্গলবার ভোর ৪.৫৫। অভিনেত্রী পৌঁছন ৫.১০-১২ মিনিট নাগাদ। এখানেই ঘটে বিপত্তি! ঋতুপর্ণাকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে, অনেক আগেই বোর্ডিং গেট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এরপর ৪০ মিনিট ধরে কর্মীদের অনুরোধ করেন তিনি। কথা কাটাকাটিও হয়। কেঁদেই ফেলেন তিনি। তবে এরপরও সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীদের কোনও হেলদোল ছিল না বলেই অভিযোগ।
ঋতুপর্ণা জানান, মঙ্গলবারই আমেদাবাদে পৌঁছনো তাঁর ভীষণ জরুরি ছিল। মুলিতে শুটিং শিডিউল। আমেদাবাদ থেকে আরও ৩ ঘণ্টা লাগে যেতে। অভিনেত্রী না গেলে প্রযোজনা সংস্থার আর্থিক লোকসান। ক্ষুব্ধ নায়িকার প্রশ্ন? "প্রযোজককে কী জবাব দেব আমি? আমার কথার-ই বা কী দাম রইল? এই যে এতটা সময়, গোটা ১টা দিন আমার নষ্ট হল, এর দায়টা কে নেবে? ক্ষতিপূরণ-ই বা কে দেবে?"
<আরও পড়ুন: ৫০০ কোটির ব্যবসা পার! বক্স অফিসে দৌড়চ্ছে RRR>
ওদিকে পাল্টা ওই বিমানসংস্থার অভিযোগ, অভিনেত্রী দেরিতে পৌঁছেছেন। নির্দিষ্ট সময়ে তাঁর নাম ঘোষণা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, ফোনে নাকি যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মন্তব্য, তাঁর কাছে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার তরফে কোনও ফোন আসেনি। তবে গোটা ঘটনায় নায়িকা যে বেজায় বিরক্ত, তা তাঁর পোস্টে চোখ রাখলেই বোঝা যাবে।
ঋতুপর্ণার দাবি, চাইলে বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখুক, কতটা দেরিতে পৌঁছেছি আমি। শুধু তাই নয়, এর পরিপ্রেক্ষিতে যাতে পদক্ষেপ করা হয়, কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ওই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিমান সংস্থার কাছেও আর্জি জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন