আর মাত্র কিছুদিন তো হাতে ছিল। আর জি করের জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যুতে কেঁপে উঠেছে গোটা শহর। তাঁর পাশপাশি এমনও শোনা গিয়েছে সেই মেয়েটি নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছিলেন এই নভেম্বরে। কিন্তু সেসব কিছুই হল না। সমস্ত স্বপ্ন আঁকড়ে মেয়েটা চলে গেল।
প্রতিবাদের সুর তুলেছেন সাধারণ মানুষ থেকে অনেকেই। তারকারাও পিছিয়ে নেই। সমস্ত মেয়েদের পাশাপাশি অভিনেত্রীদের বোধহয় একটাই প্রসঙ্গ, যতক্ষন না বিচার হচ্ছে, ততক্ষন পর্যন্ত ঘুম আসছে না। রাত্রে ঘুম হচ্ছে না কারওর। প্রত্যেকের মনে যেন আতঙ্ক ঘিরে রয়েছে নানা ঘটনায়। অভিনেত্রী শ্রুতি দাস যেন, অকপটে একটা মেয়ের স্বপ্ন, এবং সবটাই কিভাবে শেষ হয়ে গেল তাঁর বর্ণনা করলেন। তিনি সমাজ মাধ্যমে লিখলেন...
"যে মেয়েটার নভেম্বরে বিয়ে,তার কিন্তু মেকাপ আর্টিস্ট,মেহেন্দি আর্টিস্ট ঠিক করা হয়ে গেছিলো,তত্ত্বের জিনিস কেনা হয়ে গেছিলো,ফোটোগ্রাফার ঠিক করা হয়ে গেছিলো,ব্যাংকুয়েট বুক করা হয়ে গেছিলো। একমাত্র মেয়েটা বাবা মা কে ছেড়ে কি করে থাকবে হয়তো পেশেন্ট দেখার ফাঁকে ফাঁকেও ভেবে চলতো।হয়তো সেই রাতে মা কে ঘুমাতে বলেও ভেবেছে বিয়ের পর সবদিক সামলাতে পারবে তো এভাবেই!"
একটা মেয়ের বিয়ে নিয়ে কত স্বপ্ন থাকে? তাঁর হবু স্বামীর সঙ্গে কত কথাই না হয়। একটা মেয়ের অন্তরের কথা যেন একটা মেয়ে হয়েই প্রকাশ্যে বলে দিলেন কত বেদনাদায়ক সব কথা। তিনি আরও লিখলেন...
"বেনারসি টা হয়তো কেনা বাকি ছিলো আর দিন রাত হবু বর এর মাথা খেতো নাকে যেনো সিঁদুর পরে নাহলে কিন্তু ছবি ভালো আসবেনা। বা হয়তো হানিমুনের টিকিট হয়ে গেছিলো তাদের পছন্দের পাহাড়ে যাবে নাকি সমুদ্রে নাকি পশু ঘেরা জঙ্গলে! পাগলি টা বোঝেনি এখানে দানব থাকে দানব!! এখানে মানুষ মানুষ কে ছিঁড়েখুঁড়ে খায় সাথে তার স্বপ্ন গুলোও গিলে নেয়!! ঘুম হচ্ছে?আমার হচ্ছেনা!!"
আর পাঁচটা মেয়ের মতো সত্যিই ঘুম হচ্ছে না শ্রুতির। জেগে আছেন মেয়েদের অনেকেই। রাস্তা ঘাটে কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁরা। চারিদিকে শুধুই প্রতিবাদের ঢল। আজও আর্টিস্ট ফোরামের সদস্যরা রাস্তায় নেমেছিলেন।