General Election 2019, Bengali Actress: বিগত প্রায় তিন মাস ধরে বাংলায় নির্বাচনের আবহ। সাত দফা ভোটদান পর্বের শেষ তারিখ ১৯ মে। কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী কয়েকটি সিটে ভোটদান পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। এই গোটা প্রক্রিয়ায় বাংলা বিনোদন জগতের অংশগ্রহণ ছিল তিন ধরনের-- ১) মিমি-নুসরতের মতো যাঁরা ভোটে দাঁড়ালেন, ২) শাসকদল বা বিরোধীপক্ষকে সমর্থনে যাঁরা সক্রিয় হলেন এবং ৩) যাঁরা একেবারেই নির্লিপ্ত রইলেন গোটা বিষয়টা নিয়ে, ভোট বয়কটও করলেন। কিন্তু এর বাইরেও রয়ে গেলেন অসংখ্য অভিনেতা-অভিনেত্রী-কলাকুশলীরা, যাঁরা নির্বাচনকে সম্পূর্ণ একটি অন্য দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন। তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে ভোট দিয়েছেন এবং এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করেছেন। সোলাঙ্কি রায় অবশ্যই রয়েছেন এই চতুর্থ দলে। সম্প্রতি এই নির্বাচন নিয়ে সরব হলেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়।
১৮ মে গভীর রাতে একটি পোস্ট করেন সোলাঙ্কি তাঁর সোশ্য়াল মিডিয়া প্রোফাইলে। সেই পোস্টে সোলাঙ্কি তাঁর নিজস্ব কিছু অভিজ্ঞতা, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে এই নির্বাচন নিয়ে তাঁর আলোচনা ইত্যাদি একাধিক বিষয়ে আলোকপাত করেন। অভিনেত্রীর বক্তব্য, ভুল ন্যারেটিভ তৈরি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে রাজনৈতিক দলগুলি। এই চক্রান্তকে সনাক্ত করে, তার থেকে নিজেদের দূরে থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ভোট! অতিরিক্ত ছুটি পেল কি টেলিপাড়া?
সোলাঙ্কি নিজে পলিটিকাল সায়েন্সের ছাত্রী এবং ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সমাজ-রাজনৈতিক চেতনা অনেকের থেকেই বেশি। এমন চেতনাসম্পন্ন মানুষের সংখ্যাও আবার নেহাত কম নয় বাংলায়। কিন্তু যেহেতু তিনি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং অভিনেত্রী, তাই তাঁর কথাগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই সব অগুনতি গুণমুগ্ধ-অনুগামীদের কাছে, যাঁদের অনেকেরই নিজস্ব কোনও রাজনৈতিক চেতনা তৈরিই হয়নি। তাঁরা অনুসরণ করেন--কখনও রাজনৈতিক নেতাকে আবার কখনও কোনও 'সেলিব্রিটি'কে।
এই ধরনের ভোটারদের নিঃসন্দেহে প্রভাবিত করেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যখন তাঁরা সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন। এই ভোটব্যাঙ্ক সেই সব প্রার্থীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিন্তু কোনও রকম ব্য়ক্তিগত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়া, নিতান্তই নিরপেক্ষভাবে, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে কিছু কথা বলেছেন সোলাঙ্কি সোশ্য়াল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন: শুটিংয়ে ‘ভূত’! হাড়-হিম করা অভিজ্ঞতা জয়জিতের
কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া সাধারণত জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বিভিন্ন স্পর্শকাতর রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে কথা বলেন না কিন্তু সোলাঙ্কি বলেছেন। গৌরী লঙ্কেশ থেকে সারদাকাণ্ড-- সাম্প্রতিক সময়ের বাংলার ও জাতীয় স্তরের বৃহৎ ইস্যুগুলির উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ভোট দিতে যাওয়ার সময়ে যেন সাধারণ মানুষ এগুলি মাথায় রাখেন।
বাংলা বিনোদন জগতের অনেকেই নোটা-তে ভোট দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে, অনেকে আবার সম্পূর্ণ ভোট বয়কট করেছেন কিন্তু খুব কমজনই ধর্মান্ধ উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে মুক্তচিন্তার লড়াই জারি রাখার কথা এতটা সরাসরি বলেছেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সোলাঙ্কির ওই পোস্টে অনেকেই মন্তব্য় করেছেন যে এই লেখা অত্যন্ত সময়োপযোগী কিন্তু আরও কিছুদিন আগে যদি এটা লিখতেন অভিনেত্রী তবে ভাল হতো।