পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য নাম ঘোষণার পরই বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছিল পাক বংশোদ্ভূত আদনান সামির নাম। বৃহস্পতিবার সেই বিতর্কে মুখ খুললেন আদনান সামি স্বয়ং। গায়কের সাফ বক্তব্য অযথা তাঁর নাম তুলে এনে 'তুচ্ছ রাজনীতিক'রা রাজনীতির মঞ্চে ফায়দা পেতে চাইছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন সামি। পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর মোদী সরকারের প্রতি তাঁর "অসীম কৃতজ্ঞতা" প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক ক্ষেত্র জুড়ে প্রতিটি মানুষের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে'।
আদনান সামি বলেন, “যারা আমার বিরুদ্ধে এই সব বলছে বিতর্কের সৃষ্টি করছেন, তাঁরা তুচ্ছ রাজনীতিবিদ। তাঁরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই এ সব করে বেড়াচ্ছেন। এদের ‘পলিটিকাল অ্যাজেন্ডা’ রয়েছে। আমি কোনও রাজনীতিক নই। আমি একজন শিল্পী। যাঁরা এগুলো বলে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের ভারত সরকারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সমস্যা রয়েছে। আমার নাম তাঁদের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: বৃদ্ধাবেশে সোহিনী, প্রকাশ্যে ‘আগন্তুক’-এর পোস্টার
শনিবার পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য নাম ঘোষণার পরই জাতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়বীর শেরগিলের সঙ্গে টুইটযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন আদনান সামি। সেখানে তাঁর বাবার প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসের মুখপাত্র পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর পাইলট হিসাবে আদনান সামির বাবার অতীতকে নিয়েও সমালোচনা করেন। তবে সামি জয়বীরের যুক্তিটিকে “অপ্রাসঙ্গিক” উল্লেখ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন। গায়কের স্পষ্ট জবাব, "আমার বাবা পাইলট এবং একজন পেশাদার সৈনিক ছিলেন। তিনি তাঁর দেশের জন্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি। এটাই ছিল তাঁর জীবন। তিনি এর জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন। আমি সেই কৃতিত্বের যেমন ভাগীদার হতে পারিনি তেমনই আমি যা করি সেখানে তিনিও কোনও কিছুর ভাগীদার হতে পারেন না। বাবার সঙ্গে আমার পুরস্কারের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি একটি অপ্রাসঙ্গিক বিষয়।"
আরও পড়ুন: হাইওয়েতে দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য বাঁচলেন অঙ্কুশ
তবে যেভাবে তাঁর নামকে রাজনীতির নামে রাঙানো হচ্ছে, তা নিয়ে যথেষ্টই ক্ষুদ্ধ আদনান সামি। তিনি বলেন কংগ্রেস সরকারের সময়কালে তাঁকে নওশাদ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। তিনি কিন্তু সেই সময় পাকিস্তানের নাগরিক ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি একজন ভারতীয় নাগরিক, এক্ষেত্রে কেন এমন প্রশ্ন উঠছে তাতে যথেষ্ট অবাক আদনান। মুম্বাইয়ের এই গায়ক বলেন, "যারা করছে এই কাজ তাঁরা আমার জুনিয়র। তাঁরা জানেন না কীভাবে বড়োদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হয়। তবে আমার সঙ্গে সকলেরই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তা সে বিজেপিই হোক কিংবা কংগ্রেস। আমি তো মিউজিকের লোক। তাই গানে গানেই আমার ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে চাই।"
Read the full story in English