Plane Crash Death 2025: বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর। কিন্তু, সেই সময়ের বিবাহিত জীবনে রঙিন সুখী যেন সহ্য হলো না ভগবানের। ২০০০ সালে প্লেন ক্র্যাশে মারা যান স্বামী। শুধু তাই নয়, অল্প বয়সে অভিনেত্রী তখন তিন বছরে বিবাহিত জীবন সদ্য পার করেছেন। তিনি তখন বৈধব্যের কঠিন পর্যায় দেখেছেন। ২৫ বছর পর যখন, আবার এক এমন ঘটনা ঘটলো যাতে, ভারতের আত্মা কেঁপে উঠেছিল। আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট মাঝ আকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে একটি হাসপাতালের ওপর ভেঙে পরে, এবং তারপর বাকিটা সকলেরই জানা।
কেবলমাত্র একজন সেই প্লেন থেকে বেঁচে ফেরেন। বাকি আর কাউকে ইহলোকে ফিরতে হয়নি। সকলেই না ফেরার দেশে পাড়ি দেন। এবং, খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই বিমান দূর্ঘটনার রেশ আজও বহাল। নানা তথ্য এখনও উদঘাটিত হচ্ছে। কারোর কারোর জীবনে যেমন এই ঘটনার মর্মান্তিক সত্যি হয়ে বেচে রইল, ঠিক কিছু মানুষের জীবনে যেন আবার ফিরে এলো হাহাকার! প্রসঙ্গে বিদ্যা মালবাড়ে। প্রাক্তন স্বামী ক্যাপ্টেন অরবিন্দ, প্লেন ক্র্যাশে না ফেরার দেশে বাড়ি দেন। তাই ফের যখন আবার দেশের বুকে এরকম এক ঘটনা ঘটলো, অভিনেত্রীর কি সেই দিনের বিষাক্ত স্মৃতি মনে পড়েছিল।
সম্প্রতি তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "যখনই খবরটা কানে শুনলাম তখন যে আমি কি কি অনুভব করেছি তা আমি বলে বোঝাতে পারবো না। ১২ই জুনের দূর্ঘটনা সব থেকে বেশি কষ্ট দেয় আমাকে। আমার জীবনে যে আঘাত প্লেন দুর্ঘটনা রেখে গেছে, এখনো আমার মনে তাজা সেই দগদগে ঘা। আমি আজও ভুলিনি সেসব দিন, কী কেটেছিল আমার।" তার স্বামীর চলে যাওয়া তাকে জীবনে অনেক কিছু শিখিয়েছিল। এমনকি এও শিখিয়েছিল, চারপাশে প্রত্যেকটা জিনিস ক্ষণস্থায়ী। এবং প্রত্যেকটা মুহূর্তকে সহজে লালন করতে হয়।
অভিনেত্রী বললেন, "এই সমস্ত ঘটনায় সত্যিই আমি উত্তরহীন হয়ে যাই। যদিও এখন কোন অনুশোচনা ছাড়াই জীবন যাপন করি। কখনো কখনো কিছু মানুষকে আমরা প্রচন্ড মিস করি কারণ তাদের উপস্থিতি আমাদেরকে অনেক ভালো সময় দিয়েছেন। অরবিন্দ চলে যাওয়ার পর আমি বুঝতে পেরেছি, জীবনে কতটা মূল্যবান এবং কতটা অপ্রত্যাশিত। তাই, একটাই কথা প্রিয়জনকে কাছে ধরে রাখুন।"
প্রাক্তন প্রয়াত স্বামীকে নিয়ে, তিনি আরও বলেন, "এই তিক্ত শিক্ষাগুলো আশীর্বাদ। আমি বিশ্বাস করি অরবিন্দ কাছাকাছি আছেন। তিনি, এখন আমার অভিভাবক। আমার জীবনের দেবদূত।"